বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে যেমন এসেছে গতি ঠিক তেমনি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন রোগের প্রতিকার ও প্রতিরুধে আবিষ্কৃত হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও প্রতিষেধক।এমনই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের উল্লেখ করা হল আমাদের এ পর্যায়ের আলোচনায়।
থার্মোমিটারঃদেহের তাপমাত্রা নির্ণয়ে থার্মোমিটার ব্যবহৃত হয়।য়ার এর জন্য একে ৩০ থেকে ৩৫ সে. আমাদের দেহের সংস্পর্শে রাখতে হয়।
প্লাস্টিক সার্জারিঃপঞ্চম শতকে ভারতে প্লাস্টিক সার্জারির প্রচলন হয়।৬ষ্ঠ শতকে ভারতের সুশরাত(Sushrata) প্লাস্টিক সার্জারির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আল্ট্রাসনোগ্রাফিঃআল্ট্রাসনোগ্রাফি বলতে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের শব্দের দ্বারা ইমেজিংকে নির্দেশ করে।
এন্ডোস্কোপিঃআলোক উৎসের সাহায্যে একগুচ্ছ কাচের আঁশ শরীরে প্রবেশ করিয়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণই এন্ডোস্কোপি নামে পরিচিত।এটি পেপটিক আলসার নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
কাইমোগ্রাফিঃহৃদস্পন্দন,শ্বাসকার্য প্রভৃতির গতির হার নির্দেশক যন্ত্র কাইমোগ্রাফি নামে পরিচিত।
পেসমেকারঃপেসমেকার যন্ত্রের সাহায্যে হৃদপিণ্ডের ধীর গতিকে স্বাভাবিক করা হয়।
এলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফিঃএলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফি মাংসপেশির জন্য ব্যবহার করা হয়।
এন্টিসেপটিকঃএন্টিসেপটিক জীবানুর বৃদ্ধি ও বিস্তার সীমিত রেখে অসংক্রামক অবস্থায় রাখে।
পেনিসিলিনঃক্ষতিকর নয় এমন ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া থেকে প্রাপ্ত যেসব রাসায়নিক পদার্থ ব্যাক্টেরিয়ার মত ক্ষুদ্রক্ষুদ্র রোগ জীবানুকে ধ্বংস করে কিংবা এদের বংশ বৃদ্ধি রোধ করে তাদের এন্টিবায়োটিক বলা হয়।যেমন-পেনিসিলিন,ক্লোরোমাইসিন প্রভৃতি।
ভেকসিনঃভেকসিন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।যেমন-বিসিজি,ওপিভি,ডিপিটি ইত্যাদি।
ইকো-কার্ডিওগ্রাফি:ইকো-কার্ডিওগ্রাফি হল শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা।
এনজিওপ্লাস্টি: হৃৎপিণ্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানোর জন্য এনজিওপ্লাস্টি ব্যবহৃত হয়।
Exercise tolerance test-এর মাধ্যমে হৃৎ্পিণ্ডের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা হয়।
ট্রানজেনিক প্রাণীঃজিন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নতমানের যেসব প্রাণী উদ্ভাবন করা হয় তাদের ট্রানজেনিক প্রাণী বলা হয়।এ ধরণের প্রাণীর দুধ,রক্ত ও মূত্র থেকে ঔষধ উৎপাদন করা হলেও মাংস থেকে করা হয় না।
এক্সরেঃক্যান্সার সনাক্তকরণে এক্স-রে ব্যবহৃত হয়।পাকস্থলির এক্সরে করানোর পূর্বে বেরিয়াম সালফেট খাওয়ানো হয়।
টেলি মেডিসিনঃটেলি মেডিসিন বলতে টেলিকমিউনিকেশন ও ইনফরমেশন টেকনলজি ব্যবহার করে প্রদত্ত চিকিৎ্সা পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকে।
শব্দোত্তর তরঙ্গঃশব্দোত্তর তরঙ্গ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য (লিঙ্গ নির্ধারণে) ব্যবহৃত হয়।এছাড়া ফেদোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ে এ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।
আকুপাংচারঃআকুপাংচার হল চীনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি।খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে প্রাচীন এ চিকিৎসা পদ্ধতি যাত্রা শুরু করে। হল চীনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি।খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে প্রাচীন এ চিকিৎসা পদ্ধতি যাত্রা শুরু করে।
ক্লোরোফরমঃক্লোরোফরম ট্রাইহেলোমিথেন নামে পরিচিত বর্ণহীন ও মিষ্টি গন্ধযুক্ত এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যা চেতনা লোপ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।অপারেশনের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।
খাবার সেলাইনঃ১৯৬৮ সালে ICDDRB খাবার সেলাইন আবিষ্কার করে।এটি পানি শূণ্যতা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
ভায়াগ্রাঃভায়াগ্রা একটি যৌন উত্তেজক ঔষধ।এর প্রকৃত নাম সিল্ডেনাফিল।মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এটি প্রস্তুত করে।লিঙ্গ সমস্যাজনিত রোগীদের জন্য এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রেডিও আইসোটোপঃপিত্তপাথর গলাতে রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া কিছু ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে যা মানবদেহের রোগের নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।যেমন-
থানকুনিঃথানকুনি বদহজম ও আমাশয় রোগে ব্যবহৃত হয়।স্মৃতিবর্ধক হিসেবেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
কালমেঘঃকালমেঘ জ্বর,কৃমি,অজীর্ণ ও লিভার দোষ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘৃতকুমারীঃঘৃতকুমারী আমাশয় ও পেটের অসুখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সর্পগন্ধাঃসর্পগন্ধা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ও পাগল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ঢেঁড়শঃঢেঁড়শ বহুমূত্র রোগের উপকার করে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ