ঝিনুক সমুদ্র বিজ্ঞান

ঝিনুক

ঝিনুক এক ধরণের দুই খোলকবিশিষ্ট জলজপ্রাণী।এটি মলাস্কা শ্রেণিভুক্ত।এদের বাসস্থান সমুদ্র অথবা অল্প লবণাক্ত পানিতে হয়ে থাকে। এদের শরীরের খোলস চুনজাতীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত।মানুষ খাবার হিসেবেও কিছু কিছু ঝিনুক ব্যবহার করে।উল্লেখ্য, পঞ্চাশেরও বেশি প্রজাতির ঝিনুক ভক্ষণযোগ্য। এরা সকলেই বিশেষ ধরণের ছাকুনি কাঠামোর সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে ও এর সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত পানি ত্যাগ করে। এছাড়াও, গৃহপালিত হাস-মুরগির  খাবারেও ঝিনুকের কদর রয়েছে। মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুক সাধারণতঃ মানুষ খায় না; যদিও এ জাতীয় ঝিনুক খাবার উপযোগী। 

জাপানে মহিলা ডুবুরীরা মুক্তা ঝিনুক সংগ্রহ করেন।তারা সেখানে 'আমা' নামে পরিচিত।'আমা' শব্দের অর্থ 'সাগরকন্যা'।

জাপানের ককিচি মিকিকটোকে মুক্তা শিল্পের স্থপতি বলা হয়।১৯৯০ সালে টোকিওতে এক শিল্পমেলায় চড়া দামে মুক্তা বিক্রি হচ্ছে দেখে তিনি মুক্তা-ঝিনুক চাষের উদ্যোগ নেন। তিনি ১৯৯৩ সালে মুক্তা শিল্পের সূচনা ঘটান।   

মুক্তাঃ  

ঝিনুকের খোলসের অভ্যন্তরে কোনো শক্ত বস্তু প্রবেশ করলে এ স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং ঐ বস্তুর চারপাশে ঝিনুকের ম্যান্টল এপিথিলিয়াম কোষ থেকে নির্গত এক ধরণের পদার্থ জমা হয়ে কয়েক বছরের মধ্যে বস্তুটি মুক্তায় পরিণত হয়।মুক্তায় ২-৪ শতাংশ পানি,৩.৮-৫.৯ শতাংশ কনকিওলি্‌ এবং ৮৮-৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে। 

 

সমুদ্র বিজ্ঞান

সমুদ্র সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যে বিজ্ঞান আলোচনা করে তা সমুদ্রবিদ্যা নামে পরিচিত।এর  ইংরেজি প্রতিশব্দ-Marine science,Oceanology এবং Oceanography।সমুদ্রের প্রাণী,উদ্ভিদ ও সমুদ্রে বর্তমান বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে সমুদ্র বিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে।

তিমি ও শুশুক ডলফিনঃ  

ডলফিন এবং তিমি( উল্লেখ্য, নীল তিমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী)  এবং পরপয়েজের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত এক ধরনের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রানী। পৃথিবীতে ১৭টি গণে প্রায় ৪0টি প্রজাতির ডলফিন রয়েছে। ১.২ মিটার(৪ ফুট) দৈর্ঘ্য এবং ৪০ কেজি (৯০ পাউন্ড) ওজন (মাউয়ের ডলফিন)থেকে শুরু করে ৯.৫ মিটার (৩০ ফুট)দৈর্ঘ্য এবং ১০ টন (৯.৮ লিট; ১১ স্টোন)ওজন পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের ডলফিন দেখা যায়। পৃথিবীজুড়েই ডলফিন দেখা যায়, বিশেষ করে ্মহীসোপানের কাছের অগভীর সমুদ্রে। ডলফিন মাংসাশী প্রানী, মাছ এবং স্কুইড এদের প্রধান খাদ্য। ধারণা করা হয় দশ মিলিয়ন  বছর আগে মায়োসিন যুগে ডলফিনের উদ্ভব। ডলফিনকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানিদের কাতারে ধরা হয়। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এবং খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা মানবসমাজের কাছে ডলফিনকে খুবই জনপ্রয় করে তুলেছে।ডলফিন ও শুশুক পানিতে বাস করলেও অন্যান্য মাছের মত ফুলকার সাহায্যে পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে না।তাই এরা পানি থেকে ভেসে ওঠে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে।  

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]