সুনামি

সুনামি

সুনামিঃ 'সুনামি' একটি জাপানি শব্দ,যার অর্থ বন্দরের ঢেউ।সাগরে তলদেশে সৃষ্ট ভূমিকম্প,আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস ইত্যাদি কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়ে থাকে।অগভীর পানিতে সুনামি জলোচ্ছ্বাসের রূপ নেয়।সুনামির ফলে সাগরের ঢেউয়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০০-৮০০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে।

সুনামির ক্ষেত্রে কম্পনজনিত বা তাড়নজনিত কারণে ফুলে উঠা পানি সিলিটনের মতো বিশাল এক বা একাধিক ঢেউয়ের সৃষ্টি করে, এবং তা চারিদিকে সমান মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঢেউ দ্রুততার সাথে পাড়ে বা পাড়গুলোতে এসে আছড়ে পড়ে। বিশাল সমুদ্রের ক্ষেত্রে, উত্থিত ঢেউ নিকটবর্তি ভূভাগের দিকে ধাবিত হয়। কখনও কখনও এই পাহাড় সমান পানি, বিশাল জলক্ষেত্র ঠেলে আসতে আসতে দূর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু কখনও কখনও তীব্র মাত্রার ঢেউ সব বাধা পার হয়ে, কিংবা ভূভাগের কাছে সংঘটিত ভূত্বকের উত্থানে তীব্র মাত্রার ঢেউ কোনো বাধা ছাড়াই নিকটবর্তি ভূভাগে এসে আঘাত করে। এধরনের আকষ্মিক জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় অঞ্চলে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। জলক্ষেত্রের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হলেও পানি এভাবে ফুলে উঠতে পারে এবং সুনামি ঘটাতে পারে। আবার স্থলভাগের কোনো ভূমি থেকে ভূমিধ্বস হলেও তা জলক্ষেত্রে এমন সুনামির সৃষ্টি করতে পারে।

সুনামি যে সবসময়ই বিশাল ঢেউ হয়ে আসে এমনটাও ঠিক নয়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে, সমুদ্রের গভীরে থাকাকালীন সুনামির ঢেউটি নৌকার নিচ দিয়ে চলে গেছে অথচ টেরই পাওয়া যায়নি। এর মূল কারণ হলো সমুদ্রের নিচ অনেক গভীর হয়ে থাকে এবং ফুলে উঠা পানি সহজেই স্থিতাবস্থায় আসার মতো তল পায়। কিন্তু সমুদ্র যতই ভূভাগের কাছাঁকাছি হয়, ততই অগভীর হতে থাকে সমুদ্র, তাই এধরনের ঢেউও চূঁড়ার আকার ধারণ করতে শুরু করে। কিছু কিছু সুনামি ভূভাগের দিকে অগ্রসর হতে হতে ১০০ ফুট (৩০ মিটার) পর্যন্ত উঁচুও হতে পারে।উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শতাব্দীর ভয়াবহ সুনামি সংঘটিত হয়।এর ফলে এশিয়া ও আফ্রিকার ১৩ টি দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে সুনামি জাদুঘর উন্মুক্ত করা হয়। 

  

মহাকাশ অভিযান

মহাকাশ অভিযানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

মহাকাশযানের নাম  উৎক্ষেপণের তারিখ  সাফল্যের বিষয় 
স্পুটনিক-১ ৪ অক্টোবর ১৯৫৭ মহাশূণ্যে পাঠানো প্রথম কৃত্তিম উপগ্রহ।এটি রাশিয়া কর্তৃক উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্পুটনিক-২  ৩ নভেম্বর ১৯৫৭  জীবন্ত কুকুরবাহী প্রথম মহাশূণ্যযান। 
স্কোর  ১৮ ডিসেম্বর ১৯৫৮  মহাশূণ্যে পাঠানো প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ। 
ভস্টক-১  ১২ এপ্রিল ১৯৬১  মানুষ নিয়ে যাওয়া প্রথম মহাশূণ্য যাত্রা। 
ইনটেলসেট-১ বা Early Bird ৬ এপ্রিল ১৯৬৫  বানিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পাঠানো প্রথম  যোগাযোগ উপগ্রহ।
ভাইকিং  ২০ জুলাই ১৯৭৬  মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত নভোযান। 
অ্যাপোলো-১১  ১৬ জুলাই ১৯৬৯  এর মাধ্যমেই নীল আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম পা রাখেন।
গ্যালিলিও                    ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৫      পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতি গ্রহের কৃত্রিম  উপগ্রহ। 
চন্দ্রযান-১  ২২ অক্টোবর ২০০৮  ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী নভোযান, যা চাঁদে পানির সন্ধান পায়।

 

মহাশূণ্যে মানুষ

মহাশূণ্যে গমনকারী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ 

ব্যক্তির নাম   বিশেষত্ব 
ডেনিস টিটো  মহাকাশের প্রথম পর্যটক। 
আনুশেই আনসারি  মহাকাশের প্রথম নারী পর্যটক। 
চার্লস সিমোনি  বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দুবার মহাশূণ্যে যান। 
শাহজাদা সুলতান ইবনে আবদুল আজিজ  বিশ্বের প্রথম মুসলিম নভোচা... 
ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা  মহাকাশের প্রথম নারী নভোচারী। 
নীল আর্মস্ট্রং  মহাকাশের প্রথম নভোচারী । 

 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]