সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়, তরঙ্গের বেগ, আলোর গতিবেগ, শব্দ বেগ

সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়

শব্দোত্তর কম্পন

আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz। কম্পাঙ্কের এই পাল‡াকে শ্রাব্যতার পাল্লা বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম হয় তবে তাকে  শব্দেতর কম্পন বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০,০০০Hz এর বেশি হয় তবে তাকে শব্দোত্তর কম্পন বলে।

সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়: সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য SONAR নামক যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। এর পূরো নাম Sound Navigation And Ranging । এই যন্ত্রে শব্দোত্তর কম্পাঙ্কের শব্দ প্রেরণ ও গ্রহণের ব্যবস্থা আছে।

সমুদ্রের গভীরতা, d = vt / 2

তরঙ্গের বেগ

কোন শব্দায়মান বস্তু হইতে শ্রোতার কানে শব্দ পৌছাতে কিছু সময় লাগে। প্রকৄত পক্ষে আলোক তরঙ্গের বেগের তুলনায় শব্দ তরঙ্গের বেগ অনেক কম।মেঘে মেঘে সংঘর্ষের ফলে আকাশে বিদ্যুতের ঝলক এবং শব্দ একই সাথে উৎপন্ন হয়। বিদ্যুৎ ঝলকের গতিবেগ আলোর সমান, সেকেন্ডে ৩×১০৮ মিটার। অন্যদিকে শব্দের বেগ সেকেন্ডে ৩৩২ মিটার। তাই শব্দ পৌঁছানোর অনেক আগেই আলোর ঝলকানি আমাদের নিকট পৌঁছে যায়।

আলোর গতিবেগ

আলোর গতিবেগ

বিজ্ঞানী নিউটন বলেছেন, ‘আলো’ হচ্ছে ছোট ছোট অসংখ্য কণিকা দিয়ে গঠিত এবং ওই কণিকাগুলির কোনো ওজন নেই। এই কণিকার নাম হলো ‘ফোটন’ (Photon)। যে কোনো উৎস থেকেই এই কণিকা অর্থাৎ ফোটনগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে বের হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পদার্থ বিজ্ঞানী হাইগেন্স বলেন, ‘আলো’ চলে তরঙ্গের মতো করে।
আবার ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক মতানুসারে, ‘আলো’ চলে গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে বা প্যাকেট প্যাকেট আকারে (একে আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব বলে)।

আলোর নির্দিষ্ট গতিবেগ আছে এবং তা হলো শূন্যস্থানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার অর্থাৎ কোনো উৎস থেকে বের হয়ে এটি প্রতি সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার করে দূরে চলে যাবে। আলোক তরঙ্গের বেগের   তুলনায় শব্দ তরঙ্গের বেগ অনেক কম।

শব্দ বেগ

শব্দ বেগ

শব্দ একধরনের তরঙ্গ বিশেষ, যা বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয় এবং জড় মাধ্যমের সাহায্যে প্রবাহিত হয়ে আমাদের কানে পৌঁছায়। শব্দ প্রতি সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে শব্দের বেগ বলে। কোন শব্দায়মান বস্তু হইতে শ্রোতার কানে শব্দ পৌছাতে কিছু সময় লাগে।

শুন্য ডিগ্রি তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক বায়ুচাপে শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩৩২ মিটার। তাপমাত্রা বাড়লে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়। প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য শব্দের বেগ ০.৬ মিটার/সেকেন্ড বৃদ্ধি পায়।  কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ বাতাসের থেকে ১৫ গুন বেশী। বায়ুশুন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য। স্বাভাবিক অবস্থায় লোহাতে শব্দের বেগ ৫২২১ মিটার/ সেকেন্ড।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]