নেফ্রন , এনজাইম

নেফ্রন

রেচন হল  বিপাকীয় ক্ষতিকর  ব্যাকটেরিয়া অপসারণ প্রক্রিয়া যা বৃক্কের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।তাই বৃক্ক হল মানবদেহের মূল রেচন অঙ্গ যার গাঠনিক ও কার্যিক একক হিসেবে  নেফ্রন কাজ করে।মানুষের প্রত্যেক বৃক্কে ১০ থেকে ১২ লক্ষ নেফ্রন থাকে যা  মূত্র উৎপাদনের একক হিসেবে কাজ করে এবং দেহ থেকে রেচন পদার্থ অপসারণ করে।

কর্টেক্সে নেফ্রনের ম্যালপিজিয়ান করপাসলের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে নেফ্রনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়,-

১।সুপারফিসিয়াল নেফ্রন (৮৫%):-এই প্রকার নেফ্রন ছোট আকৃতির হয় এবং বৃক্কের সুপারফিসিয়াল কর্টেক্সে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই প্রকারের নেফ্রন ই মূত্র উৎপাদন করে।

২।জাক্সট্রামেডুলারি নেফ্রন (১৫%) - এই প্রকার নেফ্রন তুলনামূলকভাবে বড় আকৃতির হয় এবং বৃক্কের জাক্সট্রামেডুলারি কর্টেক্সে অর্থাৎ মেডুলার ঠিক উপরে কর্টক্সে থাকে। জরুরী অবস্থায় বা পীড়ন অবস্থায় এই প্রকারের নেফ্রন মূত্র উৎপাদন করে।  

মূত্রঃ  নেফ্রনের বিভিন্ন অংশের সক্রিয়তার ফলে দেহেও পক্ষে ক্ষতিকারক অথবা অপ্রয়োজনীয় জৈব ও অজৈব পদার্থ দিয়ে তৈরী স্বল্প অম্লধর্মী ও সামান্য হলুদ বা বর্নহীন তরল তৈরী হয়ে গোবিনী দিয়ে গিয়ে সাময়িকভাবে মূত্রাশয়ে সঞ্চিত হয় এবং পরে মূত্রনালী দিয়ে দেহের বাইরে নির্গত হয় তা মূত্র নামে পরিচিত।একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ১৫০০ মিলিমিটার মূত্র ত্যাগ করে।

উপাদানঃ মূত্রে পানির পরিমাণ সর্বাধিক।এতে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি থাকে।অন্যান্ন উপাদানের মধ্যে রয়েছে-ইউরিয়া (২%),ইউরিক এসিড(০.০৫%),ক্রিয়েটিনিন(০.০৭৫),সোডিয়াম(০.৩৫),অ্যামোনিয়াম(০.০৪%),পটাশিয়াম(০.১৫৫),ম্যাগনেশিয়াম(০.০১৫),ক্লোরাইড(০.৬০%),ফসফেট(০.২৭%),সালফেট(০.১৮%),অন্নান্য(১.২৭৫%)। ইউরোক্রোম নামক এক প্রকার রঞ্জকের উপস্থিতিতে মূত্র তার স্বাভাবিক খড় রঙ প্রাপ্ত হয়।  

 

এনজাইম

মেনজাইম হল এক প্রকার প্রোটিন যা জীবদেহে অল্পপরিমাণ বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে নিজে অপরিবর্তীত থাকে।মানবদেহের বিভিন্ন অংশ থেকে বিভিন্ন ধরণের এনজাইম পাওয়া যায়।যেমন- 

এনজাইমের নাম  প্রাপ্তি স্থান 
 মিউসিন,টায়ালিন,মলটেজ লালারস
 পেপসিন(প্রধানত) ও লাইপেজ ও জিলেটিনেন  পাকস্থলীরস
 ট্রিপসিন,অ্যামাইলেজ,লাইপেজ ও মলটেজ  অগ্ন্যাশয় রস 
অ্যামাইলেজ, মলটেজ,ল্যাকটেজ ও সুক্রেজ  আন্ত্রিক রস

মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে নির্গত এসব এনজাইম ও জারকরস খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।খাদ্য পরিপাকে এদের প্রত্যেকের  রয়েছে সুনির্দিষ্ট ভূমিকা।যেমন-   

১।লালারসের টায়ালিনও  মলটেজ শর্করা পরিপাকে সয়ায়তা করে।

২।পাকস্থালী থেকে  থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নির্গত হয়,যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।এর পেপসিন(প্রধানত),লাইপেজ ও জিলেটিনেন এনজাইম প্রোটিন পরিপাক করে।লাইপেজ এনজাইম লিপিড পরিপাকে অংশ নেয়। তবে এখানে শর্করা পরিপাককারী কোন এনজাইম নেই। 

৩।অগ্ন্যাশয়ের  অ্যামাইনো পেপটাইডেজ,ট্রাইপেপটাইডেজ ও প্রোটিডেজ নামক  এনজাইম আমিষ জাতীয় খাদ্যকে পরিপাক করে।এর এমাইলেজ ও মলটেজ এনজাইম শর্করা পরিপাক করে।লাইপেজ,ফসফোলাইপেজ ও কোলেস্টেরল লিপিড পরিপাক করে।  

৪।অন্ত্রিক রসের অ্যামাইলেজ,মলটেজ,সুক্রোজ,ল্যাকটোজ প্রভৃতি এনজাইম শর্করা পরিপাক করে।এর অ্যামাইনো পেপটাইডেজ,ট্রাইপেপটাইডেজ ও প্রোটিডেজ প্রোটিন পরিপাক করে।আর আন্ত্রিক লাইপেজ,মনোগ্লিসারিডেজ,লিসিথিনেজ লিপিড পরিপাক করে। 

এছাড়া রেনিন নামক জারকরস পাকস্থালীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধাতে সহায়তা করে।আর অগ্ন্যাশয়ের কাইমোট্রিপসিন দুধের প্রোটিন কেসিনকে প্যারাকেসিন ও ছানার পানির প্রোটিনে পরিণত করে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়।  

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]