চোখ প্রাণীর আলোক-সংবেদনশীল অঙ্গ ও দর্শনেন্দ্রীয়। প্রাণিজগতের সবচেয়ে সরল চোখ কেবল আলোর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির পার্থক্য করতে পারে। উন্নত প্রাণীদের অপেক্ষাকৃত জটিল গঠনের চোখগুলো দিয়ে আকৃতি ও বর্ণ পৃথক করা যায়। অনেক প্রাণীর (এদের মধ্যে মানুষ অন্যতম) দুই চোখ একই তলে অবস্থিত এবং একটি মাত্র ত্রিমাত্রিক "দৃশ্য" গঠন করে। আবার অনেক প্রাণীর দুই চোখ দুইটি ভিন্ন তলে অবস্থিত ও দুইটি পৃথক দৃশ্য তৈরি করে (যেমন - খরগোশের চোখ)।
স্লেরাঃএটা চোখের আচ্ছাদনকারী সাদা অংশ। এটা চোখে বহীরাবরকের পেছনের দিকের ৫/৬ আংশ স্থান জুড়ে অবস্থিত। এটা এবং ভিতরের তরল পদার্থগুলো (অ্যাকুয়াস হিউমার ও ভিট্রিয়াস হিউমার) মিলে চোখের সূক্ষ্ম অংশগুলোকে অর্থাৎ চোখের আকৃতি রক্ষা করে। এটি সাদা ও অস্বচ্ছ।
কর্ণিয়াঃএটা চোখের আচ্ছাদনকারী সাদা অংশ। এটা চোখে বহীরাবরকের পেছনের দিকের ৫/৬ আংশ স্থান জুড়ে অবস্থিত। এটা এবং ভিতরের তরল পদার্থগুলো (অ্যাকুয়াস হিউমার ও ভিট্রিয়াস হিউমার) মিলে চোখের সূক্ষ্ম অংশগুলোকে রক্ষা করে। এটি সাদা ও অস্বচ্ছ।
অ্যাকোয়াস হিউমারঃএটা পানির মত তরল পদার্থ যা সিলিয়ারি বডি থেকে উৎপন্ন হয়। চোখের সামনের অংশ (লেন্স এবং কর্নিয়ার মধ্যবর্তী অংশ) এই তরলে পূর্ণ থাকে।
আইরিসঃএটা চেখের রঙিন অংশ যা অনেকটা আংটির মত। এটা বিভিন্ন রঙের হয়। যেমন- বাদামি, সবুজ, নীল ইত্যাদি। আলোর তীব্রতার উপর নির্ভর করে আইরিশ সংকোচিত বা প্রসারিত হয়। এতে পিউপিলের আকার পরিবর্তিত হয় এবং লেন্স ও রেটিনায় আপতিত আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়।
পিউপিলঃএটা হল আইরিশের মাঝের খোলা অংশ যেখান দিয়ে আলো লেন্সে প্রবেশ করে। এটার আকার আইরিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
লেন্সঃরেটিনার উপর আলোক রশ্মি কেন্দ্রীভূত করে। এতে রক্ত সরবরাহ নেই। এর আকার সিলীয় পেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।এটি ক্রিস্টালাইন প্রোটিন দিয়ে তৈরি।
ভিট্রিয়াস হিউমারঃএটা জেলির মত পদার্থ যা চোখের বেশিরভাগ অংশ পূর্ণ করে রাখে (লেন্সের পিছন থেকে রেটিনা পর্যন্ত)।
কোরয়েডঃএই স্ক্লেরা ও রেটিনার মধ্যবর্তী রক্তজালিকার স্তর। এটা রেটিনাতে রক্ত সরবরাহ করে এবং রেটিনা হতে আগত অতিরিক্ত আলো শোষণ করে নেয়।
রেটিনাঃএটা হল চোখের আলোক সংবেদী অংশ। এটা আলোকরশ্মিকে তড়িৎ সংকেতে (electrical signal) রূপান্তর করে অপটিক স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। রেটিনায় দুই ধরনের আলোকসংবেদী কোষ (photoreceptor) থাকে। এরা হল – রডকোষ (rod) এবং কোন্কোষ (cone)। রডকোষ রডাকৃতির।এটি আবছা/মৃদু আলোতে দেখতে সাহা্য্য করে, আর কোন্কোষ কোনাকৃতির।এটি স্বভাবিক/উজ্জ্বল আলোতে দেখতে সাহায্য করে। কোন্কোষ থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন রং চিনতে পারি এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের রঙিন বস্তু দর্শনে কোন্কোষগুলো দায়ী।
ফোবিয়াঃরেটিনার মাঝামাঝি এবং অন্ধবিন্দুর কাছাকাছি একটি খাঁজ দেখা যায়। এটাই ফোবিয়া। এখানে প্রচুর কোন্কোষ থাকে কিন্তু কোন রডকোষ থাকে না। আমাদের দর্শনানুভূতির বেশিরভগই এর উপর নির্ভর করে।
অন্ধ বিন্দুঃএটি দর্শন স্নায়ুর প্রান্তবিন্দু। এখানে কোন আলোকসংবেদী কোষ (রড ও কোন্) থাকে না।
দর্শন স্নায়ুঃএটা মানুষের দ্বিতীয় করোটিক স্নায়ু (cranial nerve)। এর মাধ্যমে চোখ থেকে আলোকসংবেদ মস্তিষ্কে পৌছায়।
জিহ্বাঃ জিহ্বার সাহায্যে আমরা প্রধানত স্বাদ গ্রহন করি।এইজন্য জিহ্বাকে স্বাদেন্দ্রিয় [Organ of taste] বলে।জিহ্বার সাহায্যে স্বাদ ছাড়াও ঠান্ডা, গরম, চাপ এবং স্পর্শ অনূভব করা যায়।
গঠনঃ জিহ্বা ঐচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত।জিহ্বার উপরের পৃষ্ঠ কর্কশ এবং নীচের পৃষ্ঠ অর্থাৎ তলদেশ মসৃন।জিহ্বাটি একটি পাতলা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বা মিউকাস পর্দা [mucous membrane] দ্বারা আবৃত।
কাজঃ জিহ্বার বিশেষ কাজগুলি হল: (১) স্বাদ গ্রহণ (২) কথা বলা (৩) খাদ্য চর্বণ এবং (৪) খাদ্য গলাধঃকরণে সহায়তা করা
স্বাদ গ্রহন কৌশলঃজিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি, পশ্চাদভাগে তিক্ত, অগ্রভাগের কিছু ওপরে এবং মাঝখানে লবণাক্ত বা নোনতা এবং দু’পাশে অম্ল স্বাদ-গ্রাহক স্থান অবস্থিত।কোনও খাদ্যবস্তু যখন নির্দিষ্ট স্বাদকোরকের সংস্পর্শে আসে তখন স্বাদকোরকগুলি উদ্দীপিত হয়।ওই উদ্দীপনা স্বাদ কোরক থেকে নির্দিষ্ট স্নায়ুপথে [গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ু] মস্তিষ্কের স্বাদ কেন্দ্রে পৌঁছয়।ফলে আমরা স্বাদটি অনুভব করি।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ