যেসব নালিকার মাধ্যমে রক্ত পরিবাহিত হয় সেগুলো রক্তবাহিকা নামে পরিচিত।এরা তিন প্রকার-ধমনী,শিরা আর কৈশিক জালিকা।
ধমনীঃ যেসব রক্তবাহিকা অক্সিজেনযুক্ত রক্ত হৃদপিন্ড থেকে সারা দেহে বহন করে তাদের ধমনী বলা হয়।এগুলো বেশ পুরু,দৃঢ ও স্থিতিস্থাপক হয়।এগুলো হৃদপিন্ড থেকে উৎপত্তি লাভ করে কৌশিক জালিকায় শেষ হয়।তবে,পালমোনারী ধমনী হৃদপিন্ডের ডান নিলয় থেকে সৃষ্টি হয়ে ফুসফুসে পৌছায়।রক্ত ধমনির ভেতর দিয়ে দেহ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত অক্সিজেনময় হওয়ার জন্য ফুসফুসে নিয়ে আসে।রক্তের এই প্রবাহ রক্তনালীতে একপ্রকার স্পন্দনের সৃষ্টি করে।ডাক্তার নাড়ী দেখার সময় মূলত ধমনীর এই স্পন্দনই পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।
শিরাঃযেসব রক্তবাহিকা কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত দেহ হতে হৃদপিন্ডে বহন করে তাদের শিরা বলা হয়।এগুলো কৌশিক জালিকা থেকে শুরু হয়ে হৃদপিন্ডে শেষ হয়।তবে পালমোনারী শিরা ফুসফুস থেকে সৃষ্টি হয়ে বাম অলিন্দে পৌছায়।এগুলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেনময় রক্ত দেহে সরবরাহের জন্য হৃদপিন্ডে পৌছায়।রক্ত শূণ্যতা হলে আমাদের দেহের শিরা চুপসে যায়।
কৌশিক জালিকাঃশুধুমাত্র একস্তরবিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়ামে গঠিত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম রক্তবাহিকা যা প্রশাখা ধমনী ও শিরার সংযোগস্থলে জালিকাকারে বিন্যস্ত,তাদের কৌশিক জালিকা বলা হয়।কৌশিক জালিকার রক্ত ও কলারসের মধ্যে ব্যপন ক্রিয়ায় খাদ্যসার,শ্বসন বায়ু,রেচন দ্রব্য ইত্যাদি আদান প্রদান ঘটে।
দাঁত মেরুদন্ডী প্রাণীর মুখে অবস্থিত একটি অঙ্গ। এটি খাদ্য চর্বণ ও কর্তনের (কাটা) কাজে ব্যবহৃত হয়। অধিকাংশ প্রাণীর দেহে দাঁতই হচ্ছে কঠিনতম অঙ্গ।
প্রকারভেদ
মোলার(বাংলায় "কষ দাঁত") -এটি খাদ্যকে চিবিয়ে পিষে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়।
কার্নাসিয়াল দাঁত-এটি ব্যবহৃত হয় খাদ্য কর্তনের কাজে। এটি কেবল শ্বাপদ (মাংসাশী) প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়।
প্রিমোলার-এটি দাঁত মোলার দাঁতের মতই, কিন্তু আকারে ছোট, এবং অনেক সময় এদেরকে বাইকাস্পিডও বলা হয়।
শ্বদন্ত বা ক্যানাইন খাদ্য ছিঁড়ে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়। একে কাস্পিড দাঁতও বলা হয়ে থাকে
ছেদন দন্ত বা ইনসিসর খাদ্য ছেদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
দাঁতে উপস্থিত কলাসমূহ
এনামেল: এটি মানবদেহের সবচেয়ে কঠিন অংশ,যা দাঁতের বাইরের শক্ত আবরণ হিসেবে কাজ করে। ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এর মাধ্যমে এটি গঠিত হয়।
ডেন্টিনঃ এটি ভিতরের স্তর, যা দাঁতের অধিকাংশ স্থান জুড়ে বিদ্যমান।
দন্তমজ্জ্বাঃ (ডেন্টাল পাল্প) এটি দাঁতের ভিতরের অংশ। এখানে স্নায়ু ও রক্তবাহী নালিকা বিদ্যমান।
সিমেন্টঃ এটি দাঁতের মূলের চারিদিকে অবস্থিত পাতলা স্তর। এটি এক ধরনের অস্থিসমৃদ্ধ আবরণ, যা দাঁতকে চোয়ালের সাথে সংযুক্ত করে রাখে।
এছাড়াও, দাঁতের সিমেন্ট ও চোয়ালের মাঝখানে যে সূক্ষ ফাঁকা থাকে, সেখানে অগণিত অতিসূক্ষ তন্তুসদৃশ লিগামেন্ট থাকে যাকে পেরিওডন্টাল টিস্যু বলে। দাঁতকে হাড়ের সাথে সংযুক্ত রাখাই এর প্রধান কাজ।
ত্বক বা চামড়া হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে ভারী ও বড় অঙ্গ। ত্বকের ওজন শরীরের মোট ওজনের শতকরা প্রায় ১৬ ভাগ (১৬%)।পরিবেশ ও জন্মগত কারণে মানব ত্বকের বর্ণ বিভিন্ন হয়ে থাকে।এর পিছনে মূলত ভূমিকা রাখে মেলানিন নামক এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ।আমাদের ত্বকে দুটি স্তর রয়েছে বাইরের স্তরকে বহিঃত্বক বা এপিডারমিস আর ভিতরটিকে বলেআন্তঃত্বক বা ডরমিস।বহিঃত্বককে আবার কয়েকটিস্তরে ভাগ করা যায়।এদের মধ্যে সবচেয়ে ভিতরের স্তরটিকে বলে স্ট্যাটাম বেসাল। এই স্তরে কয়েকটিবিশেষ ধরনের কোষ আছে। তাদের বলে মেলানোসাইট সাধারন স্ট্যাটাম বেসালে প্রতি বর্গমিলিমিটারে ১০০০-৩০০০ টি মেলানোসাইট থাকে।
এই মেলানোসাইট গুলোর মধ্যে থাকে রঞ্জক কণা বা মেলানিন।এই মেলানিন দ্বারা মানুষের ত্বকের রং নির্ধারিত হয়ে থাকে।যাদের ত্বকে মেলানিন এর পরিমান বেশী থাকে তাদের গায়ের রং কালো হয়ে থাকে। আর যাদের গায়ে মেলানিনের পরিমাণ কম থাকে তারা ফর্সা হয়ে থাকে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ