নিউক্লিয়াসের ভেতরে অবস্থিত নিউক্লিওপ্রোটিনে গঠিত যে সব তন্তুর মাধ্যমে জীবের জাবতীয় বৈশিষ্ট্য বংশ পরম্পরায় সঞ্চারিত হয়,তাকে ক্রোমোসোম বলা হয়।
আবিষ্কারঃ১৮৭৫ সালে স্ট্রাসবুর্গার সর্বপ্রথম ক্রোমোসোম আবিষ্কার করেন।১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী ভালডেয়ার সর্বপ্রথম এই নামটি ব্যবহার করেন।
প্রকারভেদ
যে সব ক্রোমোসোম জীবের দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রন করে সেগুলোকে অটোসোম বলা হয়।যেমন-মানুষের একটি ডিপ্লয়েড কোষে ২২ জোড়া অটোসোম থাকে।অন্যদিকে এ ক্রোমোসোম জীবের যৌন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রন করে তাকে যৌন ক্রোমোসোম বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোসোম বলা হয়।মানবদেহে এই ক্রোমোসোমের সংখ্যা ১ জোড়া।অর্থাৎ মানবদেহে মোট ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম থাকে।
হিম (হিমোগ্লোবিনের লৌহযুক্ত প্রস্থিটিক গ্রুপ) ভেঙে প্লীহায় যে বর্জপদার্থ তৈরি হয় তা বিলিরুবিন নামে পরিচিত।এটি পিত্তরসে অবস্থান করে।আমাদের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি হয়। বিলিরুবিন বিজারিত হলে সবুজ বিলিভার্ডিন তৈরি হয়।রক্তের বিলিরুবিন যকৃতে গ্লুকো-ইউরোনিক অ্যাসিডযুক্ত হয়ে জলদ্রাব্য পরিণত হয় এবং পিত্তের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্র পৌছয়। সেখানে ব্যক্টেরিয়া দ্বারা অর্ধেক বিলিরুবিন থেকে ইউরোবিলিনোজেন উৎপন্ন হয় যা অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে শেষে হলুদ ইউরোবিলিন হিসাবে মূত্রে পৌছয় বলে মূত্রের রং হলুদ।ইউরোবিলিনোজেন অন্ত্রে থেকে গেলে জারিত হয়ে খয়েরী স্টারকোবিলিন তৈরি করে।দেহে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তাকে জন্ডিস বলা হয়।
যকৃত মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি।এটি দেখতে অনেকটা কালচে লাল রঙের এবং ওজনে প্রায় ১.৫ কেজি হয়ে থাকে।
অবস্থান
এবডুমেনের ডান হাইপোকন্ড্রিয়াক,এপোগ্যাস্ট্রিক ও সামান্য অংশ বাম হাইপোকন্ড্রিয়াক অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
কাজ
১ পিত্ত তৈরি করে নিঃসরণ করে।
২ এলবুমিন,ফাইব্রিনোজেন,প্রোথম্বিন নামক প্লাসমা প্রোটিন তৈরি করে।
৩ ভিটামি এ,ভিটামিন বি ও আয়রন জমা রাখে।
৪ গর্ভাবস্থায় লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে।
৫ রক্তে গ্লুকোজেন ভারসাম্য রক্ষা করে।
লসিকা সংবহনতন্ত্রঃলসিকা সংবহনে সাহায্যকারী অঙ্গ গুলি মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠন করে, তাকে লসিকা সংবহন তন্ত্র বলে।
উপাদানঃলসিকা সংবহন তন্ত্র লসিকা, লসিকা বাহ ও লসিকা গ্রন্থি নিয়ে গঠিত।
লসিকাঃলসিকা একরকম হালকা হলুদ বর্ণের স্বচ্ছ ক্ষারীয় তরল যোগ কলা। এটি একরকম পরিবর্তিত কলারস। লসিকার উপাদান অনেকটা রক্তের মত। তবে এতে প্রোটিনের পরিমাণ রক্তরসের অধিক। লসিকায় ফাইবিনোজেনের পরিমাণ খুব কম হওয়ায় লসিকা খুব ধীরে ধীরে তঞ্চিত হয়। লসিকায় কেবল লিম্ফোসাইট প্রকৃতির শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে। লোহিত কণিকা ও অণুচক্রিকা থাকে না।এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০১৫১।
লসিকার প্রধান কাজ হল
১৷ লসিকা কোষে কোষে পুষ্টি রস, সরবরাহ করে এবং বিপাকীয় দূষিত পদার্থ গুলি কোষ থেকে রক্ত স্রোত প্রেরণ করে।
২৷ লসিকা মধ্যস্থ লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকার জীবাণু ধ্বংস করে।
৩৷ লসিকা ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিলাই থেকে সরল ফ্যাট জাতীয় খাদ্য বস্তু শোষণ করে।
৪৷ দেহের যে সব স্থানে রক্ত পৌঁছাতে পারে না, সেই সব স্থানে পুষ্টি উপাদান, , ভিটামিন প্রভৃতি লসিকার মাধ্যমেই পৌঁছায়।
লসিকা সংবহনতন্ত্রঃরক্তজালক থেকে লসিকা উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন কলা কোষে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে খাদ্যরস ও অক্সিজেন পরিবেশন করে এবং কোষ থেকে বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ গ্রহন করে লসিকাবাহের মাধ্যমে থোরাসিক ডাক্ট ও ডান লিম্ফ্যাটিক ডাক্টে এসে সঞ্চিত হয় এবং সাবক্লেভিয়ান শিরার রক্তে মিশে যায়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ