মৌলিক পদার্থ, পদার্থের তাপীয় প্রসারণ

মৌলিক পদার্থ

মৌলিক পদার্থ

যে সকল পদার্থকে  রাষায়নিক ভাবে বিশ্লেষন করলে ঐ পদার্থ ছাডা পৃথক ধর্ম  বিশিষ্ট অন্য কোন নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন– কার্বন, হাইড্রোজেন, লৌহ ইত্যাদি। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলের সংখ্যা ১১৮টি। সর্বশেষ মৌলটির নাম আনআনোক্টিয়াম (ununoctium)। এর ভিতরে ৯৮টি প্রাকৃতিক পৃথিবীতে পাওয়া যায়। এর ভিতর ৮০টি মৌলের স্থায়ী রূপ আছে।

আধুনিক মতবাদ অনুসারে, প্রত্যেক মৌলের সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত পরমাণু থাকে। পরমাণুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়, এর তিনটি উপাদানের বিচারে। এই উপাদান তিনটি হলো— ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। পরমাণুর কেন্দ্রীয় অংশকে সাধারণভাবে বলা হয় নিউক্লিয়াস। সাধারণভাবে মৌলিক পদার্থকে ভৌত রূপ অনুসারে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো— ধাতু (লৌহ, ক্রোমিয়াম, সোনা ইত্যাদি) ও অধাতু (হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, কার্বন  ইত্যাদি)।

পদার্থের তাপীয় প্রসারণ

পদার্থের তাপীয় প্রসারণ

প্রায় সকল পদার্থই তাপ প্রয়োগে প্রসারিত হয় আর তাপ অপসারণে সংকুচিত হয়। যখন কোনো বস্তু উত্তপ্ত হয়, তখন বস্তুটির প্রত্যেক অণুর তাপশক্তি তথা গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কঠিন পদার্থের বেলায় আন্তঃআণবিক বলের বিপরীতে অণুগুলো আরো বর্ধিত শক্তিতে স্পন্দিত হতে থাকে ফলে সাম্যাবস্থা থেকে অণুগুলোর সরণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কোনো অণু এর সাম্যাবস্থা থেকে সরে যাবার সময় টান অনুভব করে। অর্থাৎ, অণুটি যখন পার্শ¦বর্তী অণুর কাছাকাছি যেতে চায় তখন বিকর্ষণ অনুভব করে। আবার আন্তঃআণবিক দূরত্ব যখন বৃদ্ধি পায় তখন আকর্ষণ অনুভব করে।পদার্থের বেলায় আন্তঃআণবিক বলের প্রভাব কম বলে তাপের কারণে এর প্রসারণ বেশি হয়। বায়বীয় পদার্থের বেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অণুগুলোর  ছুটাছুটি বৃদ্ধি পায়। তাপীয় প্রসারণ গ্যাসীয় পদার্থে সবচেয়ে বেশি, তরলে তার চেয়ে কম এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে কম। 

বরফের ঘনত্ব তরল পানির তুলোনায় কম এবং আয়তন বেশি। বরফকে উত্তপ্ত করে পানিতে পরিণত করলে  ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় ফলে আয়তন হ্রাস পায়।

আবার,কিছু কিছু কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাদের ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ বলা হয়। আয়োডিন, কর্পূর,নিশাদল- এগুলোকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাই এদের  ঊর্ধ্বপাতিত বস্তু বলা হয়।

আবার চাপ অপসারণে এর বিপরীত ঘটনা ঘটে।কেননা,তখন পদার্থের অনুগুলোর ছোটাছোটি হ্রাস পায় এবং বস্তু বায়বীয় থেকে তরল ও তরল থেকে কঠিনে রূপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য,নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় জমতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে বলা হয় হিমাংক।আর  নির্দিষ্ট চাপে কোন কঠিন  পদার্থ যে তাপমাত্রায় গলতে  শুরু করে সে তাপমাত্রাকে পদার্থের গলনাংক বলা হয়।আর নির্দিষ্ট চাপে কোন তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় ফুটতে শুরু করে সে তাপমাত্রাকে পদার্থের স্ফুটনাংক বলা হয়।এগুলো পদার্থের ভৌত অবস্থা।কেননা,এক্ষেত্রে পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না। 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]