আইসোটোপঃবিভিন্ন ভরসংখ্যাবিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।আইসোটোপসমূহের নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন হয়।বিভিন্ন পরমাণুর আইসোটোপ সংখা বিভিন্ন।যেমন-হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে-হাইড্রোজেন,ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে তৈরি আইসোটোপের সংখ্যা 1300 এর বেশি।আইসোটোপ দুই প্রকার-সুস্থিত ও অস্থিত।অস্থিত আইসোটোপগুলো তিন ধরনের রশ্মি- বিকিরণ করে।ইউরেনিয়ামের তিনটি আইসোটোপ রয়েছে।যেমন-ইউরেনিয়াম-২৩৪,ইউরেনিয়াম-২৩৫,ইউরেনিয়াম-২৩৮।এর মধ্যে ইউরেনিয়াম-২৩৫ সবচেয়ে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত আইসোটোপ।
আইসোমারঃএকই আণবিক সংকেত যুক্ত কিন্তু আলাদা গঠন ও ধর্মবিশিষ্ট একাধিক জৈব যৌগ পাওয়া যায় । এই ধরনের যৌগগুলিকে আইসোমার বলে।
আইসোবারঃযে সকল পরমানুর ভর সংখ্যা বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা ( অর্থাৎ প্রোটন ও নিউট্রনের মিলিত সংখ্যা) একই কিন্তু পারমানবিক সংখ্যা ভিন্ন তাদেরকে পরস্পরের আইসোবার বলে।
আইসোটোনঃ যেসব পরমাণুর নিউটন সংখ্যা সমান থাকে কিন্তু প্রোটন সংখ্যা বা ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে বলা হয়।
পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ তাদের নিজ নিজ শক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিস্তরে অবস্থান করে।শক্তিস্তরগুলোকে যথাক্রমে K,L,M,N দ্বারা প্রকাশ করা হয়।সুতরাং প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় শক্তিস্তরে যথাক্রমে সর্বোচ্চ 2,8,18,32 টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।
কোন মৌলের প্রোটন সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়। যেমন-আর্সেনিকের প্রোটন সংখ্যা ৩৩,ফলে এর পারমাণবিক সংখ্যাও ৩৩।অনুরূপভাবে সিলিকনের পারমাণবিক সংখ্যা ১৪ ও ক্লোরিনের ১৭,ইউরেনিয়মের ৯২।
কোন মৌলের একটি পরমাণুর ভর একটি কার্বন-12 আইসোটোপের ভরের 1/12 অংশের যত ভাগ তাকে তার আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে।জিংকের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ৬৫।জন ডাল্টন পারমাণবিক ভর ধারণার প্রবর্তক।
যেসব পদার্থ কোন বিক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ঐ বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট নিয়ন্ত্রন করে তাদের যৌগমূলক বলা হয়।এরা দুই প্রকার।যথা-ধনাত্মক যৌগমূলক( অ্যামোনিয়াম) ও ঋণাত্মক যৌগমূলক(হাইড্রক্সাইড আয়ন)।
কোন যৌগে উপস্থিত পরমানুর সংখ্যাকে তাদের পারমাণবিক ভর দ্বারা গুণ করে গুণফলকে যোগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ঐ মৌলের আণবিক ভর বলা হয়। যেমন-কার্বন ডাইঅক্সাইডে একটি কার্বন ও দুটি অক্সিজেন রয়েছে তাই এর আণবিক ভর ৪৪।অনুরূপভাবে সালফিউরিক এসিডে দুটি হাইড্রোজেন,একটি সালফার ও চারটি অক্সিজেন রয়েছে।তাই এর আণবিক ভর ৭৮।
কোন মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করা হলে তাকে ঐ মৌলের এক গ্রাম পারমাণবিক ভর বা এক মৌল বলা হয়।যেমন -এক মোল অক্সিজেন বলতে ১৬ গ্রাম অক্সিজেনকে বুঝায়,আর এক মৌল ম্যাগনেসিয়াম বলতে ২৪ গ্রাম ম্যাগনেসিয়ামকে বুঝিয়ে থাকে।
মৌলের প্রতীক কোন মৌলের একটি পরমাণুকে নির্দেশ করে।এটি কোন মৌলের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।যেমন-'H' দ্বারা হাইড্রোজেন মৌলের পরমাণুকে নির্দেশ করা হয়।
পরমাণু অতিশয় ক্ষুদ্র।এর ব্যাস cm।পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকে প্রোটন ও নিউট্রন।ইলেকট্রন সংখ্যা সবসময় প্রোটন সংখ্যার সমান হয়।প্রোটন সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা (Z)বলা হয়।প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যাকে একত্রে ভর সংখ্যা (A) বা নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলা হয়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ