কার্বন একটি অধাতু।এর দুটি রূপভেদ (হীরক ও গ্রাফাইট ) রয়েছে।এর মধ্যে হীরকে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে,এটি সবচেয়ে কঠিন পদার্থ এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তবে গ্রাফাইটে কার্বন-কার্বন ত্রিবন্ধন ব্যবহৃত হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্বনের বহুমুখী ব্যবহার লক্ষ করা যায়।যেমন-হীরক চূর্ণ রঙ তৈরিতে ও কাচ কাটতে ব্যবহার করা হয়,কালো রঙ তৈরিতে ভুষা কয়লা ব্যবহার করা হয়,অস্তিজ কয়লাকে HCl দ্বারা প্রক্রিয়াজাত করে আইভরি ব্ল্যাক তৈরি করা হয়,এছাড়া স্টেনলেস স্টিল তৈরিতে ৭৪% লোহা,১৮%ক্রোমিয়াম,৮%নিকেল ও ১% কার্বন ব্যবহার করা হয়।এছাড়া জৈব বস্তুর অসম্পূর্ণ দহনে যে কার্বন ডাইওক্সাইড তৈরি হয় তা পানিতে দ্রবীভূত করে সোডা ওয়াটার এবং একে চাপ প্রয়োগে কঠিন করে শুষ্ক বরফ তৈরি করা হয়।
যেসব পদার্থ থেকে আলফা,বিটা ও গামা রশ্মি নির্গত হয় তাদের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলা হয়।ইউরেনিয়াম,নেপচুলিয়াম,প্লুটোনিয়াম প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় পদার্থ।আর তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে অবিরত আলফা( ধনাত্মক চার্জযুক্ত),বিটা(ঋণাত্মক চার্জযুক্ত) ও গামা(চার্জ নিরপেক্ষ) রশ্মি নির্গমনের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলা হয়।১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।আর এর কৃতিত্বস্বরূপ তাঁকে নোবেল দেয়া হয়।
জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে ( বিঃদ্রঃ জীবাশ্ম জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহনে কার্বন মনোক্সাইড সৃষ্টি হয়) ও অন্নান্য কারণে বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবী থেকে বের হতে পারছে না এবং ফলস্রুতিতে বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।যা গ্লুবাল ওয়ার্মিং নামে পরিচিত।একে বলা হয় গ্রিন হাউস প্রভাব ।এর ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরোসল ও হিমায়ক যন্ত্রে যে সিএফসি গ্যাস ব্যবহৃত হয় তা আমাদের বায়ুমন্ডল ভেদ করে ওজন স্তরে পৌছে এবং সেখানে এটি বিযোজিত হয়ে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে,যা নীল বর্ণের ওজনের সাথে বিক্রিয়া করে ওজন স্তর ধ্বংস করে।
লোহার তৈরি জিনিস অনেক দিন আর্দ্র বাতাসের সংস্পর্শে রেখে দিলে বাতাসে অক্সিজেনের সাথে লোহার বিক্রিয়ার এক ধরনের যৌগগ আয়রন অক্সাইড সৃষ্টি হয়। এই যৌগ মরিচা। প্রতিরোধের উপায়ঃ ধাতুর উপরিতলে রং বা গ্রীজ দিয়ে মেশিনের ঘূর্ণনশীল অংশে তেল বা গ্রীজ দিয়ে মরিচা রোধ করা যায়। লোহাকে গলিত দস্তায় ডুবিয়ে লোহার উপর দস্তার পাতলা প্রলেপ দিয়ে মরিচা প্রতিরোধ করা সম্ভব। গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ায় মরিচা রোধ করা সম্ভব। ইলেকট্রোপ্লেটিং পদ্ধতিতে লোহা ও ইস্পাতের উপর মরিচা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সাবান হল উচ্চতর ফ্যাটি এসিডের সোডিয়াম বা পটাসিয়াম লবণ(যেমন সোডিয়াম স্টিয়ারেট)।তেল বা চর্বিকে(গরুর চর্বি ট্যাল্লো নামে পরিচিত) কস্টিক সোডা বা কস্টিক পটাশ সহযোগে সাবান প্রস্তুত করা হয়।সাবান প্রস্তুতির সময় উপজাত হিসেবে গ্লিসারিন উৎপন্ন হয়। সাবন কোমল ও কঠিন দুই ধরণের হয়ে থাকে কোমল সাবান প্রস্তুত করতে কস্টিক পটাশ ব্যবহার করা হয়।কাপড় কাচা ছাড়াও চাপড়া নরম করলে সাবান ব্যবরার করা হয়।সাবান ব্যবহার করে ময়লা পরিষ্কার না হলে আমরা ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করে থাকি যা বিভিন্ন ধরণের সিনথেটিক পদার্থ নিয়ে গঠিত।এটি খর পানিতেও ময়লা পরিষ্কার করে।তবে কাপড়ের দাগ দূরীকরণে ব্লিচিং পাউডার(CaOCl)Cl ব্যবহার করা হয়।
যেসব ধাতু একাধিক ধাতুর সমন্বয়ে গঠিত তাদের সংকর ধাতু বলা হয়।যেমন- পিতলে মোট ৬৫% কপার ও ৩৫% জিংক থাকে।২১ ক্যারটের স্বর্ণে মোট ৮৭.৫% স্বর্ণ ও ১২.৫% কপার থাকে।স্টিলে ৯৯%লোহা ও ১% কার্বন থাকে।পেটা লোহায় ০.২৫-১.৫% কার্বন মিশ্রিত থাকে।ডুরালামিনে ৯৫% অ্যালুমিনিয়ামের সাথে ৪% কপার ও ১% ম্যাগনেসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ ও লোহা মিশালে ব্যবহৃত হয়।স্টেইনলেস স্টিলে ৭৪% লোহার সাথে ১৮% ক্রোমিয়াম ও ৮% নিকেল ধাতু মিশানো হয়।কাসায় ৯০% তামার সাথে ১০% জিংক ব্যবহার করা হয়।স্টিলে ৯৯% লোহা ও ১% কার্বন ব্যবহৃত হয়।
ধাতু আকরিক
মার্কারী সিন্নাবার
জিংক nbsp; জিংক ব্লেন্ড
ক্যালামাইন
লেড গ্যালেনা
আয়রন ম্যাগনেটাইট
হেমাটাইট
লিমোনাইট
কপার কপার পাইরাইট
চেলকোসাইট
আ্যলুমিনিয়াম বক্সাইট
সোডিয়াম সাগরের পানি
ক্যালসিয়াম চুনাপাথর
মেঙ্গানিজ পাইরোলুসাইট MnO₂
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ