Nuclear Fusion, এটম বোমা পারমাণবিক শক্তি, পারমানবিক সংখ্যা

সূর্যের প্রধান দুই উপাদান হল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। এছাড়াও আরো কিছু পদার্থ আছে সূর্যে। ভর অনুযায়ী, হাইড্রোজেন ৭১%, হিলিয়াম ২৭.১%, অক্সিজেন .৯৭%, কার্বন .৪০%, সিলিকন .০৯৯%, নাইট্রোজেন .০৯৬% এবং অন্যান্য উপাদানসমূহ .৩৩৫%।

Nuclear Fusion অর্থাৎ পারমাণবিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সূর্যের হাইড্রোজেন প্রতিনিয়ত প্রধানতঃ হিলিয়ামে রুপান্তরিত হচ্ছে। সূর্য হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। এতে তাপ ও আলো উৎপাদিত হচ্ছে। সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা হল ২৭ মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট। এ তাপ ও আলোর একটা অংশ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সেই সুত্রে আদিকালে পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি। এ পারমাণবিক বিক্রিয়া প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬২০ মিলিয়ন টন হাইড্রোজেনকে হিলিয়ামে পরিনত করছে আর এর ফলে প্রতি সেকেন্ডে যে শক্তি নির্গত হচ্ছে তা পৃথিবীর সর্বাধিক শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণে যে শক্তি উৎপন্ন হবে তার চেয়ে ১.৮ বিলিয়ন গুন বেশি।

এটম বোমা পারমাণবিক শক্তি

পারমাণবিক শক্তি হল, শক্তির এক প্রকার রূপ। নিউক্লীয় ফিউশন বা ফিশন বিক্রিয়ার ফলে এ শক্তির উদ্ভব ঘটে।  ফ্রেঞ্চ পদার্থবিদ হেনরি বেকেরেল সর্বপ্রথম ১৮৯৬ সালে পারমাণবিক শক্তি উদ্ভাবন করেন। তিনি অন্ধকারে ইউরেনিয়ামের পাশে রক্ষিত ফটোগ্রাফিক প্লেটের বর্ণ পরিবর্তন দেখে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হন।

কোনো একটি ভারী মৌলের পরমাণুকে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে ভারী মৌলটি ভেংগে দুইটি হাল্কা মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়। এতে বিপুল পরিমাণ তাপ শক্তির বিকিরণ ঘটে। এ শক্তিকেই বলা হয় পরমাণু শক্তি।

এ বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার সময় সাধারণত ৩টি নিউট্রন  উত্পন্ন হয়। এটি পুনরায় নতুন ৩টি বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ফলে আরও ৯টি নিউট্রন পাওয়া যায়। এ ধারা ক্রমান্নয়ে বাড়তে থাকে। এজন্য এ বিক্রিয়াকে বলা হয় চেইন রিএকশান। বর্তমান বিশ্বে গবেষণা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে লাগানোর চেয়ে বরং একটি অস্ত্র হিসেবে এটিকে ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ পারমানবিক বোমা তৈরী করেছে।

পারমানবিক সংখ্যা

রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় কোনো পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যাকে পারমানবিক সংখ্যা বলে। আধান নিরপেক্ষ পরমাণুতে ইলেকট্রন-এর সংখ্যাও পারমানবিক সংখ্যার সমান। পারমাণবিক সংখ্যা অনন্যভাবে একটি মৌলিক পদার্থকে চিহ্নিত করে। নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যার সমান থাকে। প্রোটনের ভর ও নিউট্রনের ভর প্রায় সমান বলে তাদের সমষ্টি অর্থাৎ পরমাণুর ভর সংখ্যাকেই পারমাণবিক ভর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভর সংখ্যা হল নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা যাকে A দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]