পৃথিবীপৃষ্ঠে স্বাভাবিক চৌম্বকত্ব লাভ করা এবং দীর্ঘকাল পড়ে থাকা লোহার মধ্যে চৌম্বক শক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, পৃথিবী নিজেই একটা চুম্বক। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এ প্রশ্নও তাদের ভাবিয়ে তোলে, এই চৌম্বকত্ব পৃথিবী পেলো কোথা থেকে?
এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক ব্যাখ্যাই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ বলেছেন, পৃথিবীর কেন্দ্র ভেদ করে উভয় দিকে মেরু পর্যন্ত একটি চুম্বক অবস্থান করছে; তার প্রভাবেই পৃথিবী চৌম্বকত্ব লাভ করেছে।
অন্য বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর অভ্যন্তরে চুম্বক তৈরি হচ্ছে অনবরত; এ কারণেই লোডস্টোন বা স্বাভাবিক চুম্বক পাওয়া যাচ্ছে পৃথিবীতে।
যে সময় এ ধরনের ব্যাখ্যা দেয়া হতো, সে সময় পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিলো না বিজ্ঞানীদের। পরে তারা দেখতে পান, পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি-প্রাপ্তির পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরটা এতোই উত্তপ্ত আর তার তাপমাত্রা এতোটাই বেশি যে, সেখানে কোনো পদার্থের চৌম্বকত্ব টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাছাড়া ভূপৃষ্ঠের অল্প গভীরে এতো চৌম্বক পদার্থ নেই, যা থেকে পৃথিবী একটা বিশাল চুম্বকে পরিণত হতে পারে। মোটকথা, প্রথম দিকে বিজ্ঞানীরা যেসব ব্যাখ্যা প্রচার করেছিলেন, তা নতুন গবেষণার মধ্য দিয়ে ভুল প্রমাণিত হয়। ফলে বিজ্ঞানীরা নতুন করে গবেষণায় নামেন। এ সময় বিদ্যুতের কাজ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা বুঝতে পারেন, পৃথিবীপৃষ্ঠে কিছু কিছু স্থির বিদ্যুত্ ক্ষেত্র রয়েছে। পৃথিবীর রয়েছে আহ্নিকগতি। এর সাহায্যে পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের ওপর প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ঘুরপাক খাচ্ছে। এ কারণে বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর আহ্নিকগতি এবং চৌম্বক ক্ষেত্র পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত। পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে না-তরল না-কঠিন অবস্থায় থাকা বিপুল পরিমাণ ভারী পদার্থ। আহ্নিক গতির ফলে সেই অর্ধেক তরল পদার্থের মধ্যে সব সময়ই আলোড়নের সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই আলোড়নের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে একধরনের তড়িত্চুম্বকীয় আবেশ। ওই আবেশের ফলে উত্পন্ন হচ্ছে বিদ্যুত্তরঙ্গ। একইভাবে উত্পন্ন বিদ্যুত্প্রবাহ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে চলছে। প্রতিনিয়ত এর পরিধি বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি এলাকায় চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হবে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ