পরম শুন্য তাপমাত্রা ও ফারেনহাইট স্কেল

পরম শুন্য তাপমাত্রা ও ফারেনহাইট স্কেল

পরম শুন্য বা অ্যাবসলিউট জিরো তাপমাত্রা বলতে বোঝানো হয় এমন একটি তাপমাত্রা যার চাইতে ঠাণ্ডা কোনও কিছু হতে পারে না। এটা হল শুন্য ডিগ্রি ক্যালভিন, -২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা -৪৫৯.৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট 

 

 

 ফারেনহাইট স্কেলটি প্রবর্তনের মূলে বিজ্ঞানী ফারেনহাইটের একটি বদ্ধমূল ধারণা কাজ করে। তা হচ্ছে মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৬ ডিগ্রি। এই হিসেবে তিনি বরফের গলনাঙ্ক ৩২ ডিগ্রি নির্ণয় করেছিলেন। এই ফারেনহাইট স্কেলে পানির হিমাংক বিবেচনা করা হয় ৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং স্ফুটনাঙ্ক বিবেচনা করা হয় ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আর এই দুই দুইয়ের মধ্যবর্তী অংশকে ১৮০টি ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করা হয়। এই ক্ষুদ্র ভাগ হচ্ছে ১ ডিগ্রি ফারহেনহাইট।

মূল ধারণা : ফারেনহাইটের ১৭২৪ সালে সৃষ্ট নিবন্ধ অনুসারে তাপমাত্রা নিরূপণে তিনি তিনটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দুর কথা তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো :
• সর্বনিম্ন তাপমাত্রার জন্য বরফ, পানি এবং অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড লবণকে একত্রিত করে মিশ্রণ প্রস্তুত করা হয়। এরপর সাম্যাবস্থার জন্য অপেক্ষা করা হয়। পরবর্তীতে এ মিশ্রণে থার্মোমিটার রাখা হয় এবং থার্মোমিটারের তরলকে সর্বনিম্ন বিন্দুতে নিয়ে আসা হয়, যা ০° ফারেনহাইট নামে পরিচিত।
• দ্বিতীয় তাপমাত্রার জন্য থার্মোমিটারকে পানিতে রাখা হয়। যখন পানি বরফের আকৃতি ধারণ করে তখন এটি ৩২° ফারেনহাইট নামে পরিচিতি পায়।
• তৃতীয় যোগ্যতা নির্ধারণী বিন্দু হিসেবে থার্মোমিটারকে বাহুর নীচে কিংবা মুখে রাখা হয়। এক্ষেত্রে মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হিসেবে ৯৬° ফারেনহাইট ধরা হয়।

ফারেনহাইট লক্ষ্য করে দেখেছেন যে, ৬০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পারদ তাপে ফুটে উঠে। অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করে তিনি দেখেনে যে, পানির স্ফুটনাঙ্ক হিমাঙ্কের চেয়ে প্রায় ১৮০ ডিগ্রি বেশি। তাই তারা পানির স্ফুটনাঙ্ক এবং হিমাঙ্কের মধ্যবর্তী পার্থক্য পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রি ধরে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের সংজ্ঞা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে নতুন সংশোধিত স্কেলে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৯৮.৬° ফারেনহাইট, যা তার প্রকৃত স্কেলে ছিল ৯৬ ডিগ্রি।

 

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]