আলো কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পেলে দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলো আগের মাধ্যমে ফিরে আসে, এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে। আলোর প্রতিফলনর একটি অন্যতম উদাহরণ হল- সমতল দর্পণ বা আয়নার সামনে যখন আমরা দাঁড়াই তখন আমরা আমাদের বিম্ব দেখতে পাই। দর্পণে আলোর প্রতিফলনের জন্যেই বিম্বের সৃষ্টি হয়। আলোর প্রতিফলন সাধারণত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করেঃ আলোর আপতন কোণ ও মাধ্যমগুলোর প্রকৃতি। আপতিত রশ্মি যত বেশি কোণে আপতিত হবে এবং প্রতিফলক যত বেশি মসৃণ হবে আলোর প্রতিফলন তত বেশি হবে। পক্ষান্তরে, আমসৃণ কিংবা স্বচ্ছ প্রতিফলক থেকে আলোর প্রতিফলন কম হয়।
যে কাপড় যত বেশি তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয় সেই কাপড় ব্যবহার করলে তত বেশি গরম লাগে। গরমের দিনে এমন কাপড় ব্যবহার করা হয় যা তাপ কম শোষণ করে আর শীতের দিনে এমন কাপড় ব্যবহার করা হয় যা বেশি তাপ শোষণ করে।
বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা তার রংয়ের ওপরও নির্ভর করে। সাদা বস্তুর তাপ শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কম এবং আপতিত তাপের বেশিরভাগই প্রতিফলিত করে, অপরপক্ষে রঙিন বস্তু বেশি তাপ শোষণ করে। গরমের দিনে সাদা কাপড় ব্যবহার করলে সূর্যের বিকীর্ণ তাপ সাদা কাপড়ে পড়ে বেশিরভাগই প্রতিফলিত হয়ে যায়। কাপড়ের তাপমাত্রা তাতে সামান্যই বাড়ে। শীতের দিনে রঙিন কাপড় ব্যবহার করলে সূর্যের তাপ কাপড়ে পড়ে শোষিত হয়। ফলে কাপড়ের তাপমাত্রা বাড়ে এবং আরাম লাগে। এ কারণে গরমের দিনে সাদা কাপড় আর শীতের দিনে রঙিন কাপড় ব্যবহার করা আরামদায়ক।
তাপ বিকিরণ: কোনো প্রকার মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই একস্থান থেকে অন্যস্থানে তাপ সঞ্চালনকে তাপ বিকিরণ বলা হয়। বিকীর্ণ তাপের বৈশিষ্ট্য: ১। বিকীর্ণ তাপ সঞ্চালনের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। ২। বিকীর্ণ তাপ প্রতিফলন ও প্রতিসরণের সূত্র মেনে চলে। ৩। বিকীর্ণ তাপ একধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ। ৪। বিকীর্ণ তাপ আলোর বেগে চলে। ৫। বিকীর্ণ তাপ ব্যতিচার, অপবর্তন ও পোলারায়ণ প্রদর্শন করে। ৬। বিকীর্ণ তাপ বিপরীত বর্গীয় সূত্র মেনে চলে। কৃষ্ণকায়া বা কৃষ্ণ বস্তু: যে বস্তু তার ওপর আপতিত সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ শোষণ করে এবং অত্যধিক উত্তপ্ত করলে এটি আবার বিস্তীর্ণ পাল্লার বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শোষিত বিকিরণ নির্গত করে তাকে কৃষ্ণকায়া বা কৃষ্ণ বস্তু বলে। যেহেতু একটি কৃষ্ণবস্তু তার ওপর আপতিত সকল বিকিরণ শোষণ করে, আবার এটাকে উত্তপ্ত করলে তা সকল বিকিরণ নিঃসরণও করে, তাই একটি কৃষ্ণ বস্তু উত্তম শোষক ও উত্তম বিকিরক। আদর্শ কৃষ্ণ বস্তু: যে বস্তু তার ওপর আপতিত সকল দৃশ্য ও অদৃশ্য বিকীর্ণ তাপশক্তির সব অংশই শোষিত হয়, কোনো অংশই প্রতিফলিত কিংবা সঞ্চালন ঘটে না, তাকে আদর্শ কৃষ্ণবস্তু বলে। কিন্তু বাস্তবে কোনো বস্তুই সব তাপমাত্রায় সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সমস্ত আপতিত বিকীর্ণ শক্তিকে সম্পূর্ণরূপে শোষণ করতে পারে না। সুতরাং আদর্শ কৃষ্ণ বস্তু কাল্পনিক। প্রদীপের কালি (ভুসাকালি) এবং কালো প্লাটিনাম যথাক্রমে প্রায় ৯৬% এবং ৯৮% আপতিত বিকিরণ শোষণ করতে পারে। বিকিরণ ক্ষমতা: নির্দিষ্ট তাপমাত্রার কোনো বস্তুর প্রতি একক ক্ষেত্রফল থেকে প্রতি একক সময়ে নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের যে পরিমাণ তাপ লম্বভাবে বিকীর্ণ হয় তাকে ওই বস্তুর বিকিরণ ক্ষমতা বলে। আপেক্ষিক বিকিরণ ক্ষমতা: কোনো বস্তুর বিকিরণ ক্ষমতা ও একটি আদর্শ কৃষ্ণ বস্তুর বিকিরণ ক্ষমতার অনুপাতকে আপেক্ষিক বিকিরণ ক্ষমতা বলা হয়। শোষণ ক্ষমতা: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো বস্তু বিকীর্ণ তাপের যে পরিমাণ শোষণ করে এবং ওই সময়ে বস্তুর ওপর যে পরিমাণ বিকীর্ণ তাপ আপতিত হয়, তাদের অনুপাতকে ওই বস্তুর শোষণ ক্ষমতা বলে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ