তরঙ্গ' বা ঢেউ হলো এক ধরনের পর্যাবৃত্ত আন্দোলন যা কোন জড় মাধ্যমের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে নিজ নিজ স্থান থেকে স্থানান্তরিত করে না । কিছু কিছু তরঙ্গ শূণ্য মাধ্যম দিয়েও (অর্থাৎ কোন মাধ্যম ছাড়াই) সঞ্চারিত হতে পারে। এধরনের তরঙ্গ হলো তাড়িতচ্চৌম্বক তরঙ্গ এবং হয়তো মহাকর্ষীয় তরঙ্গ জড় মাধ্যমের কণার আন্দোলনের ফলে যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গ মাধ্যমের কণার কোন স্থায়ী বিচ্যুতি ঘটায় না, বরং এই তরঙ্গ মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দন বা কম্পন দ্বারা সঞ্চালিত হয়।
গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাংকের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। ইহা বিভিন্ন সাব-এটমিক কণার মিথষ্ক্রিয়া, যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন অবলুপ্ত প্রক্রিয়া, পাইয়ন আবক্ষয়,তেজস্ক্রিয় আবক্ষয়, ফিউসান, ফিসান, বিপরীত কম্পটন বিচ্ছুরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি হয়। গামা রশ্মির কম্পাংক সাধারণতঃ ১০১৯ হার্জ এর উপরে, তাই এর শক্তি ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট উপরে এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ পিকোমিটার চেয়ে ছোট, যা প্রায়শঃ অণুর আয়তনের তুলনায় অনেক ছোট। ফরাসি রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী পল ভিলার্ড ১৯০০ সালে রেডিয়াম বিকিরণ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় গামা রশ্মি আবিষ্কার করেন। ইতিপূর্বে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা রশ্মি এবং বিটা রশ্মি নামের দুই প্রকার বিকিরণ ১৮৯৯ এবং ১৯০৩ সালে আবিষ্কার কারেন। রাদারফোর্ড ভিলার্ডের এই নতুন আবিষ্কৃত বিকিরণের নাম দেন গামা রশ্মি।
দর্পন বা আয়না হল এমন একটি মসৃণ তল যেখানে আলোর প্রতিফলনের নিয়মানুযায়ী নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে।সাধারণত কাঁচে একপাশে ধাতুর প্রলেপ দিয়ে দর্পণ তৈরি করা হয়ে থাকে কারণ কাঁচ একটি স্বচ্ছ এবং অনমনীয় বস্তু। কাঁচের যেদিকে সিলভারিং (কাঁচে ধাতুর প্রলেপ লাগানোর পদ্ধতি) করা থাকে তার বিপরীত পৃষ্ঠকে দর্পণের পৃষ্ঠ বা প্রতিফলক পৃষ্ঠও বলা হয়। যে পরিমাণ আলো দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠে আপতিত হয় তার বেশ কিছুটা উক্ত তল কর্তৃক শোষিত হয় এবং বাকিটা প্রতিফলিত হয়। যদিও একপাশে সিলভারিং করা কাঁচ দর্পণ হিসেবে সর্বোৎকৃষ্ট, ভালোভাবে পালিশ করা যেকোন বস্তুর পৃষ্ঠই দর্পণের ন্যায় আচরণ করতে পারে।
দর্পণ প্রধানত দু প্রকারের হয়ে থাকে, যথা: সমতল দর্পণ এবং গোলীয় দর্পণ। নিম্নে আরও বর্ণনা করা হল:
যখন কোন সমতল পৃষ্ঠ মসৃণ হয় এবং তাতে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে, তাকে সমতল দর্পণ (Plane mirror) বলে। যেমন: আমরা চেহারা দেখার জন্য যে আয়না ব্যবহার করে থাকি তা একটি সমতল দর্পণ।
কোন গোলকের অংশবিশেষে যে মসৃণ গোলীয়পৃষ্ঠে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে গোলীয় দর্পণ (Spherical mirror) বলে। গোলীয় দর্পণকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: উত্তল দর্পণ ও অবতল দর্পণ।
উত্তল দর্পণ
যদি কোন গোলকের উত্তল পৃষ্ঠ প্রতিফলকের ন্যায় আচরণ করে তবে তাকে উত্তল দর্পণ (Convex mirror) বলে।অর্থ্যাৎ গোলকীয় দর্পণের বাইরের উত্তলপৃষ্ঠটি উত্তল দর্পণ হিসেবে কাজ করে।
অবতল দর্পণ
যদি কোন গোলকের অবতল পৃষ্ঠ প্রতিফলকের ন্যায় আচরণ করে তবে তাকে অবতল দর্পণ (Concave mirror) বলে।অর্থ্যাৎ গোলকীয় দর্পণের ভিতরের অবতলপৃষ্ঠটি অবতল দর্পণ হিসেবে কাজ করে।
কোন নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে নির্গত আলোক রশ্মি বা রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হয়ে যদি দ্বিতীয় কোন বিন্দুতে মিলিত হয় কিংবা দ্বিতীয় কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তবে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর বিম্ব বলে। উদাহরণস্বরূপ- আমরা যখন কোন সমতল দর্পণ যেমন আয়নার সামনে কোন বস্তুকে রাখি তখন আমরা আয়নায় ঐ বস্তুটির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমাদের কাছে মনে হয় যেন বস্তুটি আয়নার পিছনে আছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বস্তুটি আয়নার সামনেই থাকে। আয়নার জন্য নতুন অবস্থানে আমরা বস্তুটির যে প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই তা-ই বস্তুর বিম্ব। সমতল দর্পণে গঠিত বিম্ব সর্বদা আলোক উত্সের সমান হয়, উত্তল দর্পণে বিম্ব সর্বদা আলোক উত্সের চেয়ে ছোট হয় কিন্তু অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে উত্সের ফোকাস তথা দর্পনের থেকে লম্ব দূরত্বের উপর নির্ভর করে বিম্বের আকার ছোট, বড় বা সমান হতে পারে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ