কুকুরে কামড়ালে কখনও কখনও ভয়ের কিছু থাকে না। যদি কামড়ানো কুকুরটি গৃহপালিত সাধারণ কুকুর হয় তবে। কিন্তু কুকুরটি যদি পাগলা হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে এর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ধরনের কুকুরের লালায় জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস থাকে। কুকুর, বেড়াল, শেয়াল, নেকড়ে, বেজী রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জলাতঙ্ক রোগের সৃষ্টি করে। এই ধরনের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত পশুগুলো মানুষ কিংবা গৃহপালিত কোনও পশুকে কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়।
জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ব্যাধি। তাই এ ব্যাধি থেকে সাবধান থাকতে হবে। পাগলা কুকুরের কামড়ে যদি কোনও মানুষের জলাতঙ্ক হয় সেই মানুষের কামড়ে অন্য লোকেরও এই রোগ হতে পারে। পাগলা কুকুরের সামান্য আঁচড়েও এই রোগ হয় যদি ক্ষত লালা দ্বারা স্পর্শ পায়। এই ধরনের রোগী অবিরাম আর্ত চীৎকার করে, কামড়াবার চেষ্টা করে, লালা ঝরে এবং উন্মাদের মতো আচরণ করে।
প্রাথমিক চিকিৎসকের কিছু কর্তব্য
১। প্রথমেই খোঁজ নিতে হবে কুকুরটি পোষা কুকুর ছিল, না রাস্তার কুকুর ছিল। ২। যদি পোষা কুকুর হয় তবে গৃহকর্তার নিকট ঐ কুকুরের আচরণ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে কি-না।
৩। যে কুকুর কামড় দিয়েছে তাকে বেধে রাখতে হবে। ডাক্তার দেখবেন কুকুরটি রোগগ্রস্থ কি-না। যদি কুকুরটি রোগগ্রস্থ হয় তবে ১০ দিনের মধ্যেই সেটির মৃত্যু হবে।
৪। কুকুরটি যদি ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মারা যায় তবে জলাতঙ্কের ইনজেক্শন দিতেই হবে ।
৫। যদি বোঝা যায় যে কুকুরটি জলাতঙ্ক গ্রস্থ, তবে কুকুরটিকে মেরে তার ব্রেনটি অবিকৃত রাখতে হবে যাতে চিকিৎসক বুঝতে পারেন জন্তুটি সত্যিই রোগগ্রস্থ ছিল কি-না I
৬। জলাতঙ্ক গ্রন্থ কুকুর প্ররোচনা ছাড়াই কামড় দেয়। তাই দেখতে হবে কুকুরটি প্ররোচনা ছাড়া কামড় দিয়েছিল কি-না I
৭। জলাতঙ্ক গ্রন্থ কুকুরের মৃত্যুর পর তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে কারণ এই কুকুরের মাংস যদি অন্য কোনও প্রাণী খেয়ে থাকে তবে সেই প্রাণীও মৃত্যুবরণ করবে।
জলাতঙ্ক গ্রস্থ কুকুর চেনার উপায়
১। জলাতঙ্ক গ্রন্থ কুকুর সর্বক্ষণ ছোটাছুটি করে এবং যাকে কাছে পায় তাকেই কামড়াতে চায় ।
২। রোগগ্রস্থ কুকুরের মুখ থেকে সর্বক্ষণ লালা ঝরতে থাকে সেই লালার সাথেই ভাইরাস নির্গত হয় ।
৩। জলাতঙ্ক গ্রন্থ কুকুর সর্বক্ষণ ঘেউ ঘেউ করতে থাকে এবং খাওয়া দাওয়া
বন্ধ করে দেয় ।
৪। পরবর্তীতে কুকুরের সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে এবং কুকুরকে অসুস্থ
দেখায়।
৫। খিঁচুনী হয় এরপর নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকে
প্রাথমিক চিকিৎসা
১। কার্বলিক সাবান ও পানি দ্বারা আহত স্থানটি পরিষ্কার করতে হবে। ২। আহত অঙ্গটি যতদূর সম্ভব নিচে রাখতে হবে।
৩। রক্তপাত হলে তা বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। এন্টিসেপটিক লোশন দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে এবং ড্রেসিং দিতে হবে। ৫। ক্ষতস্থানে ড্রাই ড্রেসিং ব্যবহার করতে হবে।
৬। হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত ইনজেকশন দেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ