অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলোর মধ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
দুর্ঘটনাবশতঃ কিংবা অজ্ঞতা ও অসাবধানতার জন্য লোকে বিষ খেয়ে থাকে। যেমন- কেরোসিন, পেট্রোল, সোডা ইত্যাদি দ্রব্য তরল খাবারের সাথে রাখলে শিশুরা অসাবধানতা বশে খেয়ে ফেলতে পারে ।
আত্মহত্যার জন্য কিংবা অন্যকে হত্যার জন্যও অনেক ক্ষেত্রে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটে। অনেক সময় ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষক্রিয়া ঘটে তাকে। গ্যাস জাতীয় বিষ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে মৃত্যু ঘটাতে পরে। সুয়ারেজ ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস, গভীর অব্যবহৃত কূপের বিষাক্ত গ্যাস ইত্যাদি থেকে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু ঘটে। আবার অগ্নিকাণ্ডের ফলে বন্ধ ঘরে এক ধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং ঐ স্থানে আটকে পড়া লোকের মৃত্যু ঘটে। অনেক কীটনাশক ওষুধ জমিতে দেয়ার সময় এবং দীর্ঘক্ষণ এ কাজে থাকার ফলে ত্বকের ভেতরে ওষুধ প্রবেশ করে মৃত্যু ঘটাতে পারে।
সাধারণত যে বিষগুলোর কারণে অধিক মৃত্যু ঘটে থাকে
১। ইঁদুর মারার বিষ ।
২। যে কোনও ওষুধ মাত্রাধিক সেবন।
৩। কেরোসিন, ডিজেল কিংবা পেট্রোল খেলে ।
৪। আরসেনিকে আক্রান্ত হয়ে।
৫। ডি. ডি. টি. কিংবা অন্য কোনও কিটনাশক ওষুধের জন্য ।
৬। ধুতুরার বিষ প্রয়োগে ।
৭। মদ, গাঁজা কিংবা হিরোইন ইত্যাদি মাত্রাতিরিক্ত সেবন করে ফেললে। ৮। উগ্র ক্ষার কিংবা কড়া এসিড।
৯। বিভিন্ন বিষোধক দ্রব্য ।
১০। অতিরিক্ত ধূমপান করলে । ১১। টিংচার আয়োডিন ।
প্রাথমিক চিকিৎসার পদ্ধতি
১। বিষ খেলে যদি লোকটির জ্ঞান থাকে তবে বমি করানোর চেষ্টা করা উচিত। রোগীর গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করাতে হবে।
২। অনেক লবণ মিশিয়ে গরম পানি খাওয়াতে হবে।
৩। ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম ফেটে তা খাইয়ে দিতে হবে ।
৪। কাঁচা সরষের তেল খাইয়েও বমি করানো যায়।
৫। বমি করানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে বমি ফুসফুস বা শ্বাসনালীতে প্রবেশ না করে। সেজন্য রোগীর মাথা কিছু নিচের দিকে কাত করে
রাখতে হবে।
বিষক্রিয়াতে করণীয়
১। রোগীকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।
২। তাৎক্ষণিক মেডিকেল সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। রোগী যখন বমি করে তখন সেই বমি কোনও পাত্র, কাগজ কিংবা নিকটে কোনও শিশি বোতল থাকলে তাতে সংগ্রহ করতে হবে। যাতে করে কখন, কি ও কতটুকু বিষয় খেয়েছে তা যেন ডাক্তার জানতে পারে।
৪। রোগী যদি অজ্ঞান থাকে তবে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে এবং মাথা একদিকে ফিরিয়ে রাখতে হবে। মাথায় কোনও বালিশ ব্যবহার করা যাবে না, যদি বেশি বমি করে জামাকাপড় ভিজিয়ে ফেলে তবে তা সরিয়ে দিতে হবে।
৫। শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ থাকলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে চালু করতে
হবে।
৬। রোগী ঝিমিয়ে পড়লে তাকে জাগিয়ে রাখতে হবে।
৭। শক্ হলে তার প্রতিকার করতে হবে।
৮। উপযুক্ত নিরোধক পাওয়া গেলে তা প্রয়োগ করতে হবে।
কোন্ কোন্ অবস্থায় বমি করানো যাবে না
১। রোগী যদি এসিড খেয়ে থাকে তবে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি, দুধ, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। রোগী যদি সাথে সাথেই বমি করে
তখন বিপদ কমে গিয়েছে মনে করতে হবে। কারণ কড়া এসিড তখন দ্রবিভূত
হয়ে যায় !
২। রোগী যদি গ্যাস জাতীয় বিষ দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে প্রথমেই রোগীকে খোলামেলা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। রোগীর পরিধেয় বস্ত্র ঢিলা করে দিতে হবে। শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপায়ে চালিয়ে যেতে হবে।
৩। এলকালি কিংবা ক্ষার দ্বারা বিষক্রিয়া ঘটলে প্রচুর পানি, দুধ এবং টক জাতীয় সরবত যেমন- লেবুর সরবত, কমলার রস ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। ওগুলো খাওয়ার পর যদি রোগী বমি করে তবে বিপদ অনেকটা কেটে যাবে।
৪। কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করার সময় নাকে মুখে গামছা বেঁধে হাতে দস্তানা পরে নিলে ভাল হয়। যদি হাতে কিংবা গায়ে ওষুধ লেগেই যায় তবে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ