গলায় কোনও খাদ্য দ্রব্য কিংবা অন্য কোনও জিনিস আটকালে প্রাথমিক চিকিৎসা

খাবার সময় খাদ্য দ্রব্য শ্বাসনালীতে আটকে শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে। আবার গলায় মাছের কাঁটা কিংবা মাংসের হাঁড়ও আঁটকাতে পারে। কিংবা ছোট শিশুরা যদি মার্বেল, পয়সা ইত্যাদি নিয়ে খেলা করে এগুলো তবে খেলার সময় গলায় আঁটকে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় রোগী অস্থির হয়ে পড়ে মুখমন্ডল ও মাথা ঘামতে থাকে। মুখ দিয়ে কথা বলতে পারে না। এই অবস্থায় কখনও রোগী শক্ প্রাপ্ত হয়ে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এজন্য এ সময় সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছের কাঁটা বিধলে ভাত, কলা, চিড়া, মুড়ি ১/২ গ্লাস পানির সাথে গিলে খেলে কাঁটা নিচে নেমে যাবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
১। রোগীকে উপুড় করে জোরে কাশি দিয়ে আটকে যাওয়া বস্তু বের করার চেষ্টা করতে হবে ।
২। রোগী যদি সাহায্যকারীর চাইতে ছোট হয় তবে তার পেছনে দাঁড়িয়ে কোমরটা দু'হাতে জড়িয়ে ধরতে হবে।
৩। এরপর সাহায্যকারীর হাতের মুঠি তার পেটের ওপর নাভির থেকে ওপরে কিন্তু পাঁজরের নিচে রাখতে হবে।
৪। এরপর রোগীকে ওপরের দিকে ঝাঁকি দিতে হবে এবং সেই সাথে পেটে চাপ দিতে হবে। এতে করে রোগীর ফুসফুস থেকে বাতাসটা বেরিয়ে গেলে আস্তে গলাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এভাবে কয়েক বার এরকম করতে হবে।
৫। রোগীর কোমর ভাঁজ করে সামনের দিকে উপুড় এবং মাথা নিচু অবস্থায় পিঠে কয়েকবার চাপড় দিলে আটকে যাওয়া বস্তু বেরিয়ে যাবে।
৬। রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে এরপর রোগীর ওপরে বসতে হবে। হাতের চেটোর গোড়াটা তার পেটের নাভি আর পাঁজরের মাঝখানে রাখতে হবে।
৭। মট্ করে ওপরের দিকে ঠেলা দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে হবে ।
৮। যদি রোগীটি শ্বাস প্রশ্বাস না নিতে পারে তবে কৃত্রিম উপায়ে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস চালাতে হবে। 472
৯। অতি দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
নাকে কিংবা কানে কিছু ঢুকলে
শিশুদের নাকে অনেক সময় খেলতে গেলে কিছু ঢুকে যেতে পারে যেমন- মার্বেল কিংবা কোনও ফলের বিচী জাতীয় পদার্থ ।
করণীয়
১। এ সময় রোগীকে মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বলতে হবে।
২। নাকের যে পাশের ছিদ্রে কিছু ঢোকেনি সেই ছিদ্র ও মুখ বন্ধ রেখে আক্রান্ত নাক দিয়ে জোরে শ্বাস ছাড়তে বলতে হবে। এতে নাকের ভিতরে যদি কিছু আটকে থাকে তবে তা বেরিয়ে আসবে ।
৩। যদি জিনিসটি বের না হয়। তবে খোঁচাখুঁচি না করে অতি সত্ত্বর হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে !
অনেক শিশুর কানে কিছু ঢোকানোর অভ্যাস থাকে। এছাড়াও অনেকের কানে কীটপতঙ্গ ঢুকতে পারে।
আক্রান্ত কান ওপরের দিকে রেখে রোগীকে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে এবং কুসুম গরম পানি কানের মধ্যে ঢালতে হবে। এতে কানে কিছু ঢুকে থাকলে তা পানির সাথে বেরিয়ে আসবে ।
এরপরও যদি কানে কিছু থেকে যায় তবে অতি সত্বর রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে, অযথা কানে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না ।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]