বয়স্ক লোকদের কিছু রোগ ও তার ঘরোয়া চিকিৎসার পদ্ধতি আরথ্রাইটিস স্ট্রোক স্ট্রোকের লক্ষণগুলো

সাধারণত বয়স্ক লোকদের আরথ্রাইটিস হয়ে থাকে। এটি হচ্ছে সন্ধির প্রদাহ, সাধারণত মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এ রোগ বেশি হয়ে থাকে । এই রোগে হাতের আঙ্গুলের সন্ধিসমূহের প্রদাহ হয়ে থাকে। একই ভাবে পায়ের আঙ্গুলের সন্ধিসমূহও আক্রান্ত হয়। সেই সাথে রোগীর ওজন হ্রাস পায়। রোগী অসুস্থ বোধ করে এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে জ্বর হয়ে এ ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। সাধারণত হাঁটু, উরুসন্ধি, কাঁধ, কবজি, কনুই প্রভৃতি সন্ধি এবং গ্রীবাদেশের অস্থিসমূহ এতে বেশি আক্রান্ত হয় ।
প্রাথমিক চিকিৎসা
আপনার মধ্যে যদি আরথ্রাইটিসের কোনও উপসর্গ প্রকাশ পায় তবে নিজের ডাক্তারী নিজে করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ খেতে হবে।
১। ব্যথাযুক্ত গাঁটগুলোকে বিশ্রাম দিতে হবে ।
২। প্রয়োজনে ব্যথাযুক্ত স্থানে গরম সেঁক দিতে হবে।
৩। সকল ধরনের আরথ্রাইটিসের জন্য ফিজিওথেরাপী হচ্ছে বেশ কার্যকরী চিকিৎসা। আক্রান্ত যে সন্ধিতে এখনও প্রদাহ শুরু হয়নি সেগুলোর ক্ষেত্রে সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং আশেপাশের মাংসপেশীকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত দরকারী, এতে কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই ।
স্ট্রোক
-----
কতগুলো রক্তবাহী নালীর মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহই এই রক্ত প্রবাহের মূল লক্ষ্য। যদি কোনও কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী নালী ছিঁড়ে যায় কিংবা রক্তপিণ্ড জমে তবে এ সমস্ত
রক্তনালীতে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন পায় না। তখন মস্তিষ্কের কোষসমূহ ধ্বংস হতে থাকে। এ ধরনের একটি অবস্থাকেই স্ট্রোক বলে ।
স্ট্রোকের লক্ষণগুলো
একজন মানুষ কি ধরনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন এটি নির্ভর করে ঐ লোকটির বয়স ও স্বাস্থ্যের ওপরে। কোনও কোনও সময় সামান্য মাথা ব্যথাতেই স্ট্রোক হয়ে থাকে। যদি রোগী একটু বয়স্ক হয় কিংবা হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা থেকে থাকে তবে এই সামান্য মাথা ব্যথাও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
১। মাথা ব্যথা।
২। মাথা ঘোরা ।
৩। হঠাৎ করে শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যাওয়া ।
৪। শরীর নাড়াচাড়া করতে না পারা।
৫। হঠাৎ করে মুখভঙ্গি প্রকাশ করতে অসমর্থ হওয়া।
৬। কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া।
৭। নাড়ীর গতি বৃদ্ধি পাওয়া ।
৮। শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা ।
৯। বমি বমি ভাব ।
১০। খিঁচুনী ।
১১। দু'চোখের পিউপিল দু'রকম হওয়া।
১২। সঙ্গালোপ পাওয়া ।
জরুরী কর্তব্য
আপনার নিকট আত্মীয় (মা, বাবা, ভাই বোন ইত্যাদি) ছাড়াও আপনার পাশেই একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি একজন চিকিৎসক নাও হোন তারপরও আপনার কিছু কর্তব্য থেকে যায়। যে কাজগুলো আপনি নিজেই করতে পারেন। যেমন-
যে সকল রোগী অজ্ঞান হয়নি তাদের ক্ষেত্রে :
১। রোগীর চারপাশে মুক্ত বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। রোগীকে হেলান দিয়ে শুইয়ে দিতে হবে।
৩। রোগীর উপসর্গ কি কি তা খেয়াল করতে হবে।
৪। রোগীকে শান্ত রাখতে হবে। এ ধরনের রোগীরা যদি জ্ঞান নাও হারান
তবুও আশেপাশের সব কথা শুনতে ও বুঝতে পারেন। এজন্য এসময় এমন কোনও কথা বলা যাবে না যা রোগীর মনে ভয়ের সঞ্চার করে।
৫। রোগীকে কিছুই খেতে দেওয়া যাবে না ।
৬। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭। প্রয়োজনে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
যারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন তাদের ক্ষেত্রে
১। রোগীর চারপাশে মুক্ত বাতাসের ব্যবস্থা করুন ।
২। প্রয়োজনে অক্সিজেন দেবেন।
৩। রোগীর শরীরের যে পাশ অবশ হবে সে পাশটি নিচের দিকে রাখুন । ৪। রোগীর উপসর্গগুলো লক্ষ্য করুন।
৫। রোগীকে পাশ ফিরিয়ে অর্ধশায়িত অবস্থায় রাখুন।
৬। অতিসত্বর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]