বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আমদানি দ্ৰব্য Main Import Items of Bangladesh

বাংলাদেশের প্রধান প্রধান আমদানি দ্ৰব্য Main Import Items of Bangladesh
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ । স্বাধীনতার পূর্বে ব্রিটিশ সরকারের শোষণ, পাকিস্তান সরকারের শোষণ ও অবহেলা এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে কোন সুষ্ঠু শিল্পনীতি না থাকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত হয়ে। ফলে বাংলাদেশ কৃষি ও শিল্পে অত্যন্ত অনুন্নত। আর এ কারণে একদিকে যেমন কৃষিজাত দ্রব্য আমদানি করতে হয়, তেমনি শিল্পজাত দ্রব্যও আমদানি করতে হয় । ফলে আমাদের অর্থনীতি অনেকটা আমদানি নির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত হয় । বাংলাদেশের আমদানি দ্রব্যকে প্রধানত চারভোগে ভাগ করা হয় ৷ যথা- (ক) প্রধান প্রাথমিক দ্রব্য, (খ) প্রধান শিল্পজাত দ্রব্য, (গ) মূলধনী দ্রব্য ও (ঘ) অন্যান্য দ্রব্য ।
(ক) প্রধান প্রাথমিক দ্রব্য ঃ বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় । ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী আমদানি করতে হয় । প্রধান প্রধান খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক দ্রব্যসমূহের মধ্যে রয়েছে।
১। চাল : বাংলাদেশকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল আমদানি করতে হয় ৷ ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে যথাক্রমে ৩৪৭ ও ৩৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চাল আমদানি করা হয় ।
২। গম : আমদানির তালিকায় চালের পরেই রয়েছে গম । ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে যথাক্রমে ১১১৮ ও ৫৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের গম আমদানি করা হয় ।
৩ । তৈলবীজ ঃ আমদানিকৃত দ্রব্যের মধ্যে তৈলবীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দেশে উৎপাদিত তৈলবীজ দ্বারা দেশের চাহিদা মিটানো সম্ভব হয় না। ফলে বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে তৈলবীজ আমদানি করতে হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে যথাক্রমে ৫০৮ ও ২৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈলবীজ আমদানি করা হয় ।
৪। অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ও আমদানিকৃত প্রধান প্রাথমিক পণ্যসমূহের মধ্যে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম অন্যতম । ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ান আমদানি বাবদ ব্যয় হয় যথাক্রমে ৯২৯ ও ২৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫। তুলা ও বাংলাদেশ বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে থাকে। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে তুলা আমদানি বাবদ ব্যয় হয় যথাক্রমে ২৪২৫ ও ১৪৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
(খ) প্রধান শিল্পজাত দ্রব্যসমূহ ঃ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি কারণে ভোগ্য দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের জন্য শিল্পজাত দ্রব্য আমদানি করতে হয়। নিম্নে প্রধান শিল্পজাত দ্রব্যসমূহ যা প্রতি বছর অমদানি করা হয়, তার একটি বিবরণ দেওয়া হলো ।
১। ভোজ্য তৈল ঃ শিল্পজাত দ্রব্যের মধ্যে ভোজ্য তৈল একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ মূল্যের ভোজ্য তৈল আমদানি করা হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) অর্থবছরে যথাক্রমে ১৭৬১ ও ১৯৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ভোজ্য তৈল আমদানি করা হয়।
২। পেট্রোলিয়াম সামগ্রী : বাংলাদেশে যে পরিমাণ পেট্রোলিয়াম সামগ্রী উৎপন্ন হয় তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রতি বছর পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় । ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) অর্থবছরে যথাক্রমে ৪০৭০ ও ২৯০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পেট্রোলিয়াম সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় ।
৩। সার : বাংলাদেশ বিদেশ থেকে সার আমদানি করে থাকে২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) অর্থবছরে যথাক্রমে ১০২৬ ও ১১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সার আমদানি করা হয় ।
৪। সিমেন্ট : বাংলাদেশ বিদেশ থেকে পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, সাদা সিমেন্ট ইত্যাদি আমদানি করে । ২০০২-০৩ সালে পোর্টল্যান্ড ও সাদা সিমেন্ট আমদানি বাবদ যথাক্রমে ১৮ ও ১০৪ মিলিয়ন টাকা ব্যয় হয় ।
৫। ক্লিংকার : কঠিন শিলা বা কঠিন ছাই আমদানিতে প্রতিবছর অনেক টাকা ব্যয় হয় । ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) অর্থবছরে ৬১৯ ও ৩৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্লিংকার আমদানি করা হয়।
৬। স্টাফেল ফাইবার : পোশাক শিল্পের ব্যবহারের জন্য প্রতি বছর স্টাফেল ফাইবার আমদানি করা হয় । ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে যথাক্রমে ৪৯৩ ও ৬৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্টাফেল ফাইবার আমদানি করা হয়।
৭। সুতা ঃ পোশাক শিল্পের জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের সুতা আমদানি করতে হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) সালে সুতা বাবদ যথাক্রমে ১৫০৬ ও ১৪৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় ।
(গ) মূলধনী যন্ত্রপাতি ঃ কৃষিখাত ও শিল্পখাতের উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হয়। মোটরগাড়ি, রেলগাড়ি, বিমান, ইত্যাদিতে এসব মূলধনী যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত) অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ ব্যয় হয় যথাক্রমে ২৩৩২ ও ২১৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]