রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ Steps towards Export Development

রপ্তানি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ Steps towards Export Development
বিশেষ করে রপ্তানিতে, বিশ্বব্যাপী চলমান আর্থিক সংকটের প্রভাব পর্যালোচনা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় এবং সামগ্রিক ক্ষেত্রে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ ও ২০০৯-১০ অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এ সকল প্যাকেজের আওতাধীন কোন কোন সুবিধার মেয়াদ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ও ২০০৯-১০ অর্থবছরে শেষ হয়েছে এবং কোন কোন সুবিধা এখনও বিদ্যমান। এর আওতায় নগদ সহায়তা প্রদানসহ রপ্তানিকারকদের নানাবিধ সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে । রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ নিম্নরূপ ।
১। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর আকার ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার-এ উন্নীত করা হয়েছে ।
২। নতুন পণ্য (যে কোন বাজারে বিটিএমএ মিল উৎপাদিত প্রত্যক্ষ সুতা) রপ্তানি ও নতুন বাজার (আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত অন্য যে কোন বাজারে যে কোন পণ্য) প্রতিষ্ঠার জন্য রপ্তানি আয়ের (এফওবি) ওপর বর্ধিত ভর্তুকি হিসেবে প্রথম বছরে ৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছরে ৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ২ শতাংশ হারে ৩ বছর পর্যন্ত বর্ধিত প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিটিএমএ এর জন্য এ সুবিধাটি যে কোন বাজারে প্রত্যক্ষ সুতা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে ।
৩। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রচলিত সার্ভিস চার্জ ও ফি এর ক্ষেতে বিদ্যমান বড় ধরনের পার্থক্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সকল চার্জ ও ফিসের হার যৌক্তিকীকরণের জন্য ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে ।
৪ । রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল হতে একক ঋণ গ্রহীতার ঋণের পরিমাণ ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে উন্নীত করে ৩টি ব্যাংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে । এ ক্ষেত্রে সুদের হার LIBOR + ২.৫% এ নির্ধারণ করা হয়েছে ।
৫। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল সম্পর্কে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) উত্থাপিত জটিলতা নিরসনার্থে বস্ত্রখাতে পূর্ববর্তী অনধিক এক বছরের পরোক্ষ সূতা রপ্তানির মূল্যমান বা ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যেটি কম হয়) মূল্যমানের সূতা/অন্য তন্তু এককালীন আমদানির জন্য বিটিএমএ সদস্য মিলগুলো LIBOR + ২.৫% সুদ হারে স্ব স্ব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক থেকে রপ্তানি উন্নয়ন হবিল (ইউএফ) ঋণ উত্তোলন করতে পারবে ।
৬। National Institute of Textile Training, Research And Design (NITTRAD) প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ও বিটিএমএ এর মধ্যে স্বীকৃত সহায়তা ব্যবস্থা অনুযায়ীঃ (১) ১ম বৎসর সরকার ১০০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে । (২) ২য় বৎসর সরকার ৬০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে (৩) পরবর্তী ৩ বৎসর সরকার ৫০ শতাংশ ব্যয় বাবদ বহন করবে এবং (৪) এর পর হতে বিটিএমএ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব বহন করবে ।
৭। জাহাজ নির্মাণ শিল্প একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করার নিমিত্তে সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ।
৮। Crust Leather শিল্পে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
১৯। হিমায়িত খাদ্য খাতে বর্তমানে চালু এবং রপ্তানি কাজে নিয়োজিত প্রকল্পসমূহে ব্যাংকে এ চলতি মূলধন ঋণ সীমার ৩০ শতাংশ পৃথক করে এক বৎসরের Moratorium সহ পরবর্তী ৫ বৎসরে
ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ্য মেয়াদি ঋণ হিসেবে স্থানান্তরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।
১০। সরকার কর্তৃক ক্ষুদ্র ও মাঝারি তৈরী পোশাক/বস্ত্র সামগ্রী (এসমএই) রপ্তানিকারকদের কতিপয় শর্তাধীনে প্রদত্ত বিশেষ সুবিধার আওতায় ২০১০-২০১১ অর্থবছরের জন্য জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় মূল্য সংযোগ (এফওবি মূল্যের ২৫ শতাংশ হারে) এর ২ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১১ । পণ্য উৎপাদন/ প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে শুল্ক বগু/ডিউটি ড্র-ব্যাক সুবিধা গৃহীত হলে ভর্তুকি সুবিধা না প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
১২। সরকারি ও বেসরকারি খাতের পাটকলসমূহের উৎপাদিত পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানি বিল নেগোশিয়েন/কালেকশনের পাশাপাশি টিটি'র মাধ্যমে প্রাপ্ত অগ্রিম মূল্যের বিপরীতে ভুর্তকি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
১৩। আইটি/সফটওয়্যার ফার্মের অনুকূলে কতিপয় ফিস পরিশোধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়াই অনুমোদিত ডিলারগণ কর্তৃক রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা হিসাব হতে ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
রপ্তানি পরিস্থিতি ও রপ্তানি পণ্য শ্রেণীর গঠন Export Position and Composition of Export Commodities
২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২০,৩১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময় অপেক্ষা ২.৪ শতাংশ বেশি ।
২০১১-১২ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ সময়ে প্রধান প্রধান পণ্যভিত্তিক রপ্তানি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় হিমায়িত খাদ্য ০.৬৪ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্য ১৭.২৪ শতাংশ, স্লগ এণ্ড এ্যাস ৪.১৬ শতাংশ, সিমেন্ট ১৯.৩১ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম উপজাত ৫.৮৫ শতাংশ, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ২৫.৮২ শতাংশ, প্লাষ্টিক সামগ্রী ৩৪.১৪ শতাংশ, চামড়া ১২.৬৩ শতাংশ, চামড়া জাত পণ্য ৪১.৫৩ শতাংশ, হস্তশিল্প ৯.৭৫ শতাংশ, কাগজ ও কাগজ পণ্য ৬.৪৬ শতাংশ, নীটওয়্যার ৫.৯২ শতাংশ, ওভেন গর্মান্টেস ১৯.২৪ শতাংশ, হোম টেক্সটাইল ১১.৩৮ শতাংশ; পাদুকা ১৭.৫৭ শতাংশ, উইগস ২২২.৯৬ শতাংশ, শিপ বোটস এণ্ড ফ্লোটিং স্ট্রাকচারস ৩৫.০৪ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রবাদি ১৭.৩৯ শতাংশ, অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য ১৮.২৭ শতাংশ এবং কম্পিউটার সার্ভিসেস ৭৩.২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে রাবার ২০.২৮ শতাংশ, প্রিন্টেড দ্রব্যাদি ১৭.৮৩ শতাংশ, কাঠ ও কাঠজাত পণ্য ৩২.৫৬ শতাংশ, উল ও উলেন পণ্য ৩২.৫৬ শতাংশ, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল ২৩.৬১ শতাংশ, কটন পণ্য ২১.৯৯ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্য ১২.৪৯ শতাংশ, কার্পেট ১৫.০৬ শতাংশ, স্টেপল ফাইবার ১৮.৮৯ শতাংশ, গ্লাস এও গ্লাসওয়্যার ৮০.৫৮ শতাংশ, টুপি ৩.৫১ শতাংশ, সিরামিক সামগ্রী ৯.৮৫ শতাংশ রপ্তানি বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]