এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা) Asia-Pacific Trade Agreement (APTA )

আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি Regional Trade Agreement (RTA)
এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা)
Asia-Pacific Trade Agreement (APTA )

এসকাপ-এর উদ্যোগ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সাতটি দেশ, যথাঃ বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, দি রিপাবলিক অব কোরিয়া, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনস এবং থাইল্যাণ্ড মিলিত হয়ে ১৯৭৫ সালে ব্যাংকক এগ্রিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে। এসকাপভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক সুবিধা বিনিময়ের মাধ্যমে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণই এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। উল্লিখিত সাতটি দেশের মধ্যে ফিলিপাইনস এবং থাইল্যান্ড এ পর্যন্ত চুক্তিটি অনুসমর্থন করেনি। ২০০১ সালে চীন এই চুক্তিতে যোগদান করার ফলে চুক্তিটি নতুন গতি লাভ করে । চীন যোগদান করার পর তৃতীয় দফা আলোচনা (negotiation) শুরু হয় এবং চুক্তির নাম পরিবর্তন করে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা) করা হয়। এসব ট্রেড নেগোসিয়েশনে সদস্য দেশসমূহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পণ্যের উপর শুল্ক সুবিধা বিনিময় করেছে। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত আপটার প্রথম মিনিস্টোরিয়াল মিটিং-এ চুক্তিটি একটি নতুন চুক্তিরূপে স্বাক্ষরিত হয়। ২৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে ভারতের গোয়াতে দ্বিতীয় মিনিস্টোরিয়্যাল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার সিদ্ধান্তক্রমে আপটা সদস্য দেশসমূহের ৪র্থ দফা আলোচনা শুরু হয় । এ আলোচনায় শুল্ক সুবিধা গভীরতর ও বিস্তৃত করার সাথে সাথে অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেমন- অশুল্ক বাধা, বাণিজ্য সহজীকরণ, সেবা খাত এবং বিনিয়োগ । ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় মিনিস্টোরিয়্যাল কাউন্সিলের সভায় Framework Agreement on Trade Facilitation Framework Agreement on Investment fe হয়। তাছাড়া, ইতোমধ্যে সেবা খাতের উপর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে এবং তা সদস্য দেশসমূহের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে। আপটা চুক্তিতে মঙ্গোলিয়ার নতুন সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখনও চতুর্থ দফা আলোচনা সমাপ্ত হয়নি ।
সার্ক অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সমঝোতা (সাপটা) SAARC Preferential Trading Arrangement (SAPTA ).
উল্লেখ্য, সাপটা হচ্ছে সার্কভূক্ত ৭টি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ) মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এক প্রকার সমঝোতা চুক্তি । এটি ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকায় সার্কের ৭ম শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন অর্থাৎ ১১ এপ্রিল সার্কভূক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীগণ এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং ৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখ থেকে সাপটা কার্যকর করা হয় । এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পূর্বে সচিব ও মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে সাপটা চুক্তির বিষয়ে মতানৈক্য পদখা দেয় । ফলে বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ে পেশ করা হলে সেখানে সাপটা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। “ঢাকা ঘোষণায়” সাপটাকে কাঠামোগতভাবে গ্রহণ করা হয় । সাপটা গঠনের মূল
লক্ষ্য হল,
১। ‘অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি' চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও উৎপাদন সুবিধার প্রসার, বাণিজ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি এবং অর্থনেতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে দেশগুলোর জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন সাধন ত্বরান্বিত করা ।
২। সার্কের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সুষম সুবিধা ভোগ ও উন্নয়নের স্বার্থে তাদের অর্থনৈতিক ও শিল্প উন্নয়নের স্তর, বৈদেশিক বাণিজ্যের কাঠামো, বাণিজ্য নীতি ইত্যাদির ভিত্তিতে দেশগুলোর মধ্যে উদার বাণিজ্য সুবিধা নীতি অনুসরণ করা ।
৩। সার্ক অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের জন্য বিশেষ ও পৃথক ধরনের বাণিজ্য সুবিধার ব্যবস্থা করা ।
৪। দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সুবিধা যুক্তি সঙ্গতভাবে বণ্টনের জন্য পণ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ অন্য সদস্য দেশের সাথে যোগাযোগ করে শুষ্ক রেয়াতসহ অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা ।
ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি Trade Preferential System among OIC Countries (TPS - OIC)
ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন হয়। এ পর্যন্ত ৩০টি সদস্য দেশ এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট-এ স্বাক্ষর এবং ২৫টি দেশ অনুসমর্থন করেছে। ২০০২ সালে ১০টি ওআইসিভুক্ত দেশ অনুসমর্থন করার পর এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট কার্যকর হয়। TPS-OIC এর আওতায় গঠিত Trade Negotiating Committee (TNC ) ইতোমধ্যে প্রথম দফা বাণিজ্য আলোচনা সম্পন্ন করেছে। প্রথম দফা আলোচনায় সদস্য দেশসমূহ " Protocol on the Preferential Tariff Scheme for the TPS-OIC" (PRETAS) চূড়ান্ত করেছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশসহ ১২টি দেশ Protocol এ অনুসমর্থন করেছে। Protocol অনুযায়ী শুল্ক হ্রাস বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিমরূপ ।
(ক) চুক্তিভুক্ত প্রতিটি দেশ মোট ট্যারিফ লাইনের ৭ শতাংশ পণ্য শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়ার আওতায় আনবে। তবে কোন দেশের মোট ট্যারিফ লাইনের ৯০ শতাংশ অথবা তদুর্ধ্ব পণ্যের বেস যদি ১ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ এর মধ্যে থাকে তাহলে তারা মোট ট্যারিফ লাইনের ১ শতাংশ পণ্য শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে ।
(খ) সদস্য দেশসমূহের শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়া নিম্নরূপ ।
(১) যেসব পণ্যের শুল্কহার ২৫ শতাংশ উর্ধ্বে সেসব পণ্যের শুল্কহার ২৫ শতাংশে;
(২) যেসব পণ্যের শুল্কহার ১৫ শতাংশ এর উর্ধ্বে থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত যেসব পণ্যের শুল্কহার ১৫ শতাংশে; এবং
(৩) যেসব পণ্যের শুল্কহার ১০ শতাংশ এর উর্ধ্ব থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সেসব পণ্যের শুল্কহার ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে ।
(গ) স্বল্পন্নোত দেশসমূহ ছয় বছরের মধ্যে এবং অস্বল্পন্নোত দেশসমূহ চার বছরের মধ্যে এ শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
(ঘ) এখানে স্বেচ্ছায় ফাষ্ট ট্রাক প্রক্রিয়ার শুল্ক কমানোর ব্যবস্থাও রয়েছে ।
(ঙ) (১) শুল্ক হ্রাসের আওতাভুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে কোন নুতন শুল্ক আরোপ অথবা শুল্ক বৃদ্ধি করা যাবে না;
(২) প্যারা-ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধাসমূহ দূরীকরণ/কামানোর ব্যবস্থা আছে ।
(চ) উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ থেকে PRETAS কার্যকর হওয়ার পর শুল্ক হ্রাস কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ হিসাবে প্রথম তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড লাভ করবে। এ কারণে ১লা জানুয়ারি ২০১৪ সাল হতে ছয় বছরে শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]