খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের করণীয়

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের করণীয় Necessary Actions for Bangladesh to Secure Food Security
বাংলাদেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার লক্ষ্যে কৃষিক্ষেত্রে নিবিড় চাষাবাদ পদ্ধতির উপর অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। যেহেতু জমির পরিমাণ অপরিবর্তিত সেহেতু আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে একর প্রতি ফলন বৃদ্ধি করতে হবে, অন্যদিকে একই জমিতে বছরে একাধিকবার ফসল ফলিয়ে উৎপাদন পর্যায়ে বিপ্লব আনতে হবে। খাদ্য সমস্যা সমাধানের জন্য শুধুমাত্র খাদ্যের যোগান বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিষয়টি খাদ্য চাহিদার বিভিন্ন বিষয়ের সাথেও সম্পর্কিত। তাই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় ।
১। কৃষি ব্যবস্থায় আবাদযোগ্য জমির পুনঃগঠন ও পুনঃসংস্কার প্রয়োজন যাতে করে বেশি জমির মালিকরা জমি পতিত রাখতে না পারে।
২। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে যাতে কৃষকরা সেচ ব্যবস্থা সার, কীটনাশক ঔষধ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সহজে পেতে পারে।
৩। কৃষি পণ্যের জন্য একটি সুবিবেচনা প্রসূত মূল্যনীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা প্রয়োজন যাতে গুদামজাতকরণ সুবিধা, স্টক ক্রয়, কৃষি পণ্যের চোরাচালান রোধ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে ।
৪। খাদ্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার সব সময়ই বেশি রাখতে হবে।
৫। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি মূলধন তথা ক্ষুদ্র ভূমিহীনদের পর্যাপ্ত সুদমুক্ত ঋণ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৬। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা দূর করতে হবে। তার জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও পানি সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি প্রকল্পমূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে ।
৭। ফসল উত্তোলন ঋতুতে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য মুজদ রাখা দরকার এবং
প্রয়োজনের সময়ে এগুলো যথাযথ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা উচিত ।
এছাড়া পরিকল্পনায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কৃষিক্ষেত্রে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, উন্নয়নমূলক কৃষি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পুনঃসংস্কার ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে ।
সমসময়িক পরামর্শ
১। বাংলাদেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক ফসলী জমিতে বন্যা, খরা মুক্ত করে যেখানে বাধ প্রয়োজন বা সেচ নিষ্কাশন প্রয়োজন তা সরকারকে বৃহৎ প্রকল্প ভিত্তিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে এক ফসলী জমিতে দু'ফসলী বা তিন ফসলী ব্যবস্থা করা হয় । এতে অত্র এলাকায় কৃষি উৎপাদন ২ বা ৩ গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে ।
২। দেশে যে অঞ্চলে কৃষি ভূমি এখনও অসমতল তা বহুধাকরণের নিমিত্তে ভূমি সমতায়ন করা যেতে পারে । এতে কৃষি ফসল দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব ।
৩ । সার সরবরাহে সরকারকে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৪ । সেচ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সুবিধা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
৫। কৃষি পণ্য উৎপাদনে গুণগত মানের সার সরবরাহ কৃষকদের দোর গোরায় সুলভে পাওয়ার
ব্যবস্থা করতে হবে ।
৬। যেসব কৃষক প্রকৃতপক্ষে কৃষি জমি চাষ করে এবং প্রত্যক্ষভাবে সার ব্যবহার করে তাদেরকে সার ব্যবহার পরিমাণ ভিত্তিক সরাসরি আর্থিক ভর্তুকি প্রদান করতে হবে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]