বাংলাদেশের সেচ ব্যবস্থা পানি সেচের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা

বীজ ও রোপণ দ্রব্য Seed and Planting Materials
মানসম্মত বীজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান উপকরণ । অধিক হারে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও কৃষকদের নিকট সরবরাহের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব । বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সারা দেশে ২৩টি দানা শস্য বীজ উৎপাদন খামার, ২টি পাট বীজ উৎপাদন খামার, ২টি আলু বীজ উৎপাদন খামার, ৩টি ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামার, ২টি সবজি খামার উৎপাদন খামার ও ৭৫টি চুক্তিবদ্ধ চাষি
বাংলাদেশের সেচ ব্যবস্থা Irrigation System in Bangladesh
বাংলাদেশের উৎপাদন ব্যবস্থা মূলত কৃষি নির্ভর যা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল । কৃষি নির্ভর অর্থনীতির উন্নয়নে পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। যে বছর বৃষ্টিপাত পরিমিত মাত্রায় হয়, সে বছর কৃষি উৎপান অধিক মাত্রায় হয়। অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির কারণে এদেশের কৃষি উৎপাদন প্রায়ই ব্যাহত হয় । এরূপ নিশ্চয়তা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে কৃষি জমিতে ‘পানি সেচ' করা হয় । সরকারিভাবে ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পসমূহ (শক্তিচালিত পাম্প, গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, ভাসমান পাম্প ইত্যাদি) বাস্ত বায়ন প্রক্রিয়া শুরু করার পর দ্রুত সেচের অধীনে জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে ।
অতএব ভূ-গর্ভস্থ এবং ভূ-উপরিস্থিত পানি বিভিন্ন পদ্ধতিতে উত্তোলন করে প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষি জমিতে সরবরাহ করাকে ‘পানি সেচ' ব্যবস্থা বলা হয় । নিম্নের ছকে পানি সেচের পদ্ধতিসমূহ দেখানো হল ।
পানি সেচ পদ্ধতি
প্রাচীন পদ্ধতি
কূপ, খাল, দোন, হেজত বা ঝুড়ি পদ্ধতি
আধুনিক পদ্ধতি
শক্তিচালিত পাম্প, নলকূপ, গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, হস্তচালিত নলকূপ পদ্ধতি
সীমিত ভূ-খণ্ডে বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই কৃষি জমির পরিমাণ বৃদ্ধিতে জলাবদ্ধতা নিরসন, দক্ষিণাঞ্চলের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও হাওর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত ৭৪.৪৯ লক্ষ হেক্টর আবাদি জমিতে চাষ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে ।
পানি সেচের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা Importance/Necessity of Irrigation in the Economy of Bangladesh
কৃষিপণ্য উৎপাদনে সেচের পানি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত । সরকারিভাবে ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করার পর দ্রুত সেচের অধীনে জমির পরিমাণ অর্থাৎ সেচকৃত এলাক বাড়তে থাকে । নিম্নে তে পানি সেচের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হল ।
১। একাধিক ফসল উৎপাদন ঃ পানি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন সম্ভব হলে একই জমিতে বছরে দুই বা ততোধিক ফসল চাষ করা সম্ভব । এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ।
২। প্রকৃতির উপর নির্ভরতা হ্রাস ঃ কৃষি নির্ভর এবং অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী । এ কৃষি ব্যবস্থা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির হাত থেকে কৃষিকে রক্ষার জন্য সেচ ব্যবস্থার প্রয়োজন অপরিসীম, এতে প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পায় ।
৩। শীতকালীন ফসল উৎপাদন ঃ বাংলাদেশে শীতকালে প্রায়ই বৃষ্টিপাত হয় না । ফলে কৃষি কাজ খুব ধীর গতিতে চলে । এ সময়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হলে ইরি, বোরোসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য যেমন- গম, ডাল, পিঁয়াজ, তামাক, রসুন প্রভৃতি ফসল ভাল হয় ।
এর জন্য প্রয়োজন সময়মত প্রয়োজন মাফিক পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
৫। ফসলের প্রয়োজন অনুসারে পানি সরবরাহ ঃ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয় । পানি সেচের মাধ্যমে তা সন্তোষজনকভাবে করা যেতে পারে ।
৬। অধিক কর্মসংস্থান : পানি সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে জমিতে প্রায় সারা বছরই কোন না কোন
কৃষিকাজ করা যায় । এতে অধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় ।
৭। পানি নিষ্কাশন ঃ বাংলদেশে বর্ষাকালে নিচু জমিগুলো জলমগ্ন থাকে । উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থার দ্বারা এসব জমির পানি নিষ্কাশন করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করা যেতে পারে ।
৮। আমদানি ব্যয় হ্রাস : প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলার জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে খাদ্য আমাদানি করতে হয় । যদি সময়মত পানি সেচের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় তবে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে ।
৯। জমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত পানি সেচ ব্যবস্থা পরিচালিত করা হলে জমির অভ্যন্ত রন্থ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, এতে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
১০। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও সেচ ব্যবস্থার ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি হলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে, কৃষিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদন ও ভোগ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে ।
১১। জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ২০-২৫ ভাগ কৃষিখাত থেকে আসে । পানি সেচের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে জাতীয় আয় আরো বৃদ্ধি পাবে ।
১২। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুদৃঢ় হবে ঃ পানি সেচের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন করতে পারলে, কঠিন শর্তযুক্ত খাদ্য সাহায্য মেনে নিয়ে খাদ্য আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। তখন সহজ শর্তে যে বন্ধু দেশ সাহায্য করতে আগ্রহী সেই দেশ থেকে সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে ।
১৩। অর্থনীতিতে সামগ্রিক উন্নয়ন ও পানি সেচ ব্যবস্থার দ্বারা অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের খাদ্য ঘাটতি হ্রাস করা সম্ভব হলে যে বৈদেশিক মুদ্রা বেঁচে যাবে তার মাধ্যমে শিল্পকারখানা স্থাপন করে অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি প্রসারিত করা সম্ভব ।
সেচ পরিস্থিতি Irrigation Scenario
সঠিকভাবে সেচের পানির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানির অপচয় হ্রাসের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব । পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানির সুসমন্বিত ও সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ফসল উৎপাদন নিবিড়তা, বহুমুখীকরণ ও ফলন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের সেচের এলাকা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেচের পানির পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে Alternate wetting & Drying (AWD) এর উপর বোরো মৌসুমে প্রদর্শনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় ও কৃষকদের কাছ থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায় ৷
.
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলাবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় রেখে ভূ- গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কামানোর লক্ষ্যে ভূ-উপরিস্থ পারি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার খাল-নালা, পুনঃখনন/সংস্কার, পাহাড়ি ছড়ায় ঝিরিবাঁধ ও সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করে বিভিন্ন ক্ষমতার শক্তিচালিত পাম্প স্থাপন, বিদ্যুতায়ন, সেচের পানি অপচয় রোধ করার নিমিত্ত ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ (বারিড পাইপ) সেচনালা নির্মাণ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি/প্রকল্প গ্রহণ করেছে । তাছাড়া ছোট ছোট নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান, সেচ চার্জ আদায় নিশ্চিতকরণ ও পানি সুষ্ঠ ব্যবহারের জন্য গভীর নলকূপে স্মার্ট কার্ড বেজড প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ চলছে । সরকারিভাবে ষাটের দশকের গোড়ার দিকে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প (শক্তিচালিত পাম্প, গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, ভাসমান পাম্প ইত্যাদি) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরুর পর দ্রুত সেচের অধীন জমির পরিমাণ অর্থাৎ সেচকৃত এলাকা বাড়তে থাকে। সেচের আওতাধীন এলাকার সম্প্রসারণ বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে ।
২০১১-১২ অর্থবছরে সেচভুক্ত এলাকা ছিল ৫৩.২২ লক্ষ হেক্টর, যা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৩.৭৩ লক্ষ হেক্টর। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সেচের আওতাধীন জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩.৯৭ লক্ষ হেক্টর। বিএডিসি সংশ্লিষ্ট সেচ প্রকল্প ও এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর নলকূপ, অগভীর নলকুপ, ভাসমান গাম্প ও শক্তিচালিত পাম্প ব্যবহার এবং খাল-নালা সংস্কার, সুইস গেট/সাইফন ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৪.৭৫ লক্ষ হেক্টর, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৪.৮৮ লক্ষ হেক্টর, ২০০৭- ০৮ অর্থবছরে ৪.৯৫ লক্ষ হেক্টর এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৫.০০ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করেছে। বর্তমান সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫.১০ লক্ষ হেক্টর, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫.৩৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৭৩.৯৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রাজশাহী বিভাগের সবগুলো জেলাতে সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ পর্যন্ত সর্বমোট ১৩,৮৪৩টি গভীর নলকূপ ব্যবহার করে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে সর্বমোট প্রায় ৫.৭২ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছে । ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এযাবত ২৯২৪ টি পুকুর পুনঃখনন, ১,১২৭৯ কিঃমিঃ খাল/খাড়ি পুনঃখনন এবং উক্ত খালে ৩৩৬টি পানি সংরক্ষণ কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে । যার মাধ্যমে বিগত অর্থবছরে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদান করা হয়েছে এবং প্রায় ৯০ হাজার কৃষক উপকার লাভ করেছে। দেশে প্রথমবারের মত জলাবদ্ধ হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ফসল আবাদ বৃদ্ধিকরণ তথা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির নিমিত্তে বিএডিসি'র মাধ্যমে ৩১,৩৪৪.২৬ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই, ২০০৯ হতে ডিসেম্বর, ২০১০ মেয়াদে সারা দেশে ৩৬টি ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া বিগত ২০১০-১১ হতে ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৭২.৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৩০টি এবং ২০১১-১২ অর্থবছর হতে ৩৯৪.২৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে আরো ৪২টি কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে । উল্লিখিত কর্মসূচির আওতায় গত জুন ২০১১ পর্যন্ত ১৩৭.৪৭ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৩.৩০ কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ ও ১৫.৮০ কিলোমিটার সেচনালা নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কার্যক্রম চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে বিএডিসি এর মাধ্যমে ১৪০.১৫ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে বিভিন্ন মেয়াদে ক্ষুদ্রসেচ সংক্রান্ত মোট ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উল্লিখিত প্রকল্পসমূহে ১৩২১ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৩৬.০ কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ ও ২১৯৮.৬৬ কিলোমিটার সেচনালা নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। জুন ২০১১ পর্যন্ত ৪৭৫.৬৭ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ১৪.২৫ কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ নির্মাণ ও ৭৭৫.৪২ কিলোমিটার সেচনালা নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কার্যক্রম প্রকল্প মেয়াদের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে । চলমান ১৫টি প্রকল্পের মাধমে ১,০৪,৬৪২ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে । দেশে প্রথমবারের মত নতুন প্রযুক্তি নির্ভর রাবার ড্যাম এর মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে সেচ কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার মেনৈাংছড়া নামক স্থানে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১টি এবং সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় সোনাই নদীতে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১টি সর্বমোট ২টি রাবার ড্যাম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই রাবার ড্যাম দুটি চালু করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাসমূহে ঝিরিবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সেচ কার্যক্রম ও মৎস চাষ সাফল্যের সাথে সম্পাদন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মোট ১০২টি ঝিরিবাধ নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরো ৫০টি ঝিরিবাধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে কার্যক্রম চলমান রয়েছে । এছাড়া ৪২টি ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
সেচের আওতাধীন এলাকার ক্রমবৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে সেচের আওতাধীন জমির পরিমাণ ছিল ৫২.৬৪ লক্ষ হেক্টর, যা ২০১১-১২ অর্থবছরে ৫৩.২২ লক্ষ হেক্টর এ উন্নীত হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সেচের আওতাধীন জমির পরিমাণ ছিল ৫৪.০২ লক্ষ হেক্টর এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সেচের আওতাধীন জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫.৫০ লক্ষ হেক্টর। বছরভিত্তিক সেচকৃত জমির পরিমাণ নিমের সারণিতে দেখানো হলো ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]