বন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কতিপয় সুপারিশ ।


Recommendations to Protect and Develop Forest and Forest Resources নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে বাংলাদেশের বন ও বনজ সম্পদের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে ।
১। নতুন বন সৃষ্টি করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জরিপের এবং বনবিভাগের কর্মীদেরকে পর্যাপ্ত ট্রেনিং প্রদান করতে হবে ।
২। নদী উপত্যকা, পাহাড়ি ঢাল ও সমুদ্র উপকূলে পর্যাপ্ত বনের সৃষ্টি করতে হবে ।
৩। বনের সম্পদ সংরক্ষণ করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বেপরোয়াভাবে বৃক্ষ যেন কাটা না হয় তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে ।
৪ । মূল্যবান বৃক্ষ নষ্টকারী আগাছা সাফ করে দিতে হবে । অপ্রচলিত অর্থকরী ফসলের
। বনাঞ্চলের রবার, খয়ের, কাজুবাদাম, কুম্বী ও টেণ্ডুপাতা প্রভৃতি
আবাদ বাড়াতে হবে ।
৬। বনজ সম্পদ সংগ্রহ করার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ।
৭। বন্য প্রাণীকে রক্ষা করার তুন অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে হবে এবং বর্তমান পশু সংরক্ষণ
আইন যেন কঠোরভাবে পালন করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
৮। যে সমস্ত বনাঞ্চল নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেগুলোতে নতুন নতুন গাছ লাগাতে হবে ।
৯। বৃক্ষের চাষ, ব্যবহার, সংরক্ষণ ইত্যাদির ব্যাপারে নতুন নতুন পদ্ধতির আবিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত গবেষণার ব্যবস্থা করতে হবে ।
বার্ড ফ্লু ও বাংলাদেশ Bird Flu and Bangladesh
বর্তমানে পৃথিবীতে একটি আতংক হচ্ছে বার্ড ফ্লু। বার্ড ফ্লু রোগের বাহক হচ্ছে পাখি জাতীয় প্রাণী । পাখি জাতীয় প্রাণী যেমন- বিভিন্ন ধরণের পাখি, হাঁস-মুরগীর মাধ্যমে এ রোগ মানুষের মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত হয় মানুষ । ১৯৯৭ সালের দিকে হংকং এ প্রথম মানবদেহে বার্ড ফ্লু পরিলক্ষিত হয়। তারপর ১৯৯৮ সালে চীনে এ রোগ ধরা পড়ে । ২০০৩ সালে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডে। সেই একই বছরে আবার চী ও হংকং এ বার্ড ফ্লু পাওয়া যায় । ২০০৪ সালে থাইল্যাণ্ড ও ভিয়েতনামে মহামারি আকারে বার্ড ফ্লু দেখা দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ায় এ রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে । সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় এ রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আংশকায় কোটি কোটি হাঁস-মুরগী নিধন করা হয়েছে। বাংলাদেশে যেন এ রোগ মহামারি আকারে না ছড়ায় তার আগাম সতর্কতা হিসাবে ভারত, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে মুরগি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতো সতর্কতার পরেও বাংলাদেশের সাভার, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, টঙ্গী, নারায়নগঞ্জসহ ব্যাপক এলাকায় বার্ড ফ্লু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় । লক্ষ লক্ষ মুরগী নিধন করা হয়।
বার্ড ফ্লু এক ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত ইনফ্লুয়েঞ্জা। এই ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নাম হল “টাইট অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা” বা ‘HsHj'। এই ভাইরাস পাখির দেহ থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে এবং খুব সহজেই একজন মানুষ আরেকজন মানুষের কিংবা এক প্রাণি থেকে অন্য প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপসহ বিশ্বব্যাপী আতংকিত এই ভাইরাসের কারণে । বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পশুপাখির হাঁচি কাশির মাধ্যমে শ্লেষা ও কফ আকারে বেরিয়ে আসে জীবাণু এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সুস্থ পশুপাখি ও মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত রোগের উপসর্গগুলো হচ্ছে সাধারণত সর্দি-কাশি, হাঁচি, জ্বর, গলা ব্যাথ্যা এমনকি সারা গায়েও ব্যথা দেখা দিতে পারে। চোখে ইনফেশন হতে পারে, দেখা দিতে পারে মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা । ক্রমশ আক্রান্ত রোগী দুর্বল ও অচল হয়ে পড়ে ।
বার্ড ফ্লু ভাইরাসের বিরোধী প্রতিষেধক তেমন একটা কার্যকর নয় । এমানটাডিন ও রাইমানটাডিন ঔষধ বার্ড ব্লু ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ইতিমেধ্যই তা প্রমাণিত হয়েছে । তাছাড়া সেলটানিডর ও জ্যানাভাভির ঔষুধও বেশ কার্যকর । তবে ঔষধ এর পাশাপাশি বার্ড ফ্লু প্রতিরোধের জন্য সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । যেমন- ফ্লু আক্রান্ত হাঁস-মুরগীগুলো নিধন করতে হবে এবং নিরোগ বা সুস্থ হাঁস-মুরগীগুলো আলাদা রাখতে হবে, মুরগীর বাচ্চা আমদানির ক্ষেত্রেও বার্ড ফ্লু আক্রান্ত দেশকে বাদ দিতে হবে। তাছাড়া বার্ড ফু আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ এর ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে দিনের পর দিন বার্ড ফু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে একদেশ থেকে অন্যদেশে। তবে বিজ্ঞানীরা বসে নেই। ইতিমধ্যে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন ও HSH ভাইরাস বিরোধী ঔষধ আবিষ্কার করেছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এই ঘাতক ভাইরাস ও ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মানুষ ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]