ম্যানুফেকচারিং শিল্প কাঠামো Manufacturing Industrial Structure

ম্যানুফেকচারিং শিল্প Manufacturing Industry
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি শিল্প ও তাদের সমন্বিত উৎপাদনের সকল প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় ম্যানুফেকচারিং শিল্প। ম্যানুফেকচারিং শিল্পপণ্য উৎপাদন বলতে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সমগ্র দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে শিল্প-কারখানা স্থাপন করাকে বোঝায়। দেশে শিল্পায়নের শুরুতেই ম্যানুফেকচারিং শিল্পের উন্নয়ন করতে হয়। বর্তমান জাপান, চীন, তাইওয়ান, মালেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশ প্রথমেই ম্যানুফেকচারিং শিল্পের উন্নয়ন করছে। ম্যানুফেকচারিং শিল্প-কারখানা শিল্প অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের দ্রুত উন্নয়ন ব্যতীত উন্নত সমৃদ্ধ অর্থনীতি গঠন করা সম্ভব নয়। ম্যানুফেকচারিং শিল্পপণ্য উৎপাদনের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে সস্তায় বিভিন্ন ধরণের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা । কর্ম সংস্থানের ফলে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং তারা শিল্পপণ্যের ক্রেতা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
ম্যানুফেকচারিং শিল্প কাঠামো Manufacturing Industrial Structure
চারটি মৌলিক খাতের সমন্বয়ে শিল্পখাত গঠিত । যথাঃ
১। মাইনিং ও কোয়ারিং
২। ম্যানুফেকচারিং
৩। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি এবং
৪ । নিৰ্মাণ
এদের মধ্যে ম্যানুফেকচারিং শিল্প কাঠামো হচ্ছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্প এদের সমষ্টি । জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতের মধ্যে ম্যানুফেকচারিং খাতের অবদান সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছর ধরে ম্যানুফেকচারিং শিল্প খাতের যথেষ্ট উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে ।
ম্যানুফেকচারিং শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি ও কাঠামোগত পরিবর্তন Growth and Structural Change in Manufacturing Industry
শিল্প অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে ম্যানুফেকচারিং শিল্প । এ খাতের দ্রুত উন্নয়ন ব্যতীত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে রয়েছে দ্রুত শিল্পায়ন ও শিল্পপণ্য উৎপাদন। কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে সেই দেশের প্রাপ্ত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের উপর। দেশের প্রাপ্ত সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শিল্পায়ন অপরিহার্য । ম্যানুফেকচারিং শিল্পপণ্য উৎপাদনের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে সস্তায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ এবং অতিরিক্ত বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মসংস্থানের ফলে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং তারা শিল্পপণ্যের ক্রেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কর্মসংস্থানের দরুন বেকারদের আয় বৃদ্ধি পায় এবং বাড়তি আয় দিয়ে তার শিল্পপণা ক্রয় করে থাকে ।
"
শিল্পায়ন ও শিল্প কাঠামোর পরিবর্তন বলতে আমরা প্রধানত ফ্যাক্টরি প্রথার বিশেষ কতকগুলো বৈশিষ্ট্য বুঝে থাকি ।
১ । ফ্যাক্টরি প্রথা প্রবর্তনের ফলে একই ছাদের নিচে উৎপাদন ক্ষেত্রে কেন্দ্রিকতার সৃষ্টি হয় । ২। ফ্যাক্টরি প্রথায় উৎপাদন ব্যবস্থায় বৃহদায়তন উৎপাদনের সূত্রপাত ঘটে। এতে ফলে উৎপাদন ক্ষেত্রে অধিক মূলধন ও অধিক পরিমাণে যন্ত্রপাতি ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় ।
৩। এর ফলে উৎপাদন ক্ষেত্রে শ্রমবিভাগের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং নিয়োগকারী ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক ব্যবধান বেড়ে যায় ।
৪ । ফ্যাক্টরি প্রথা প্রবর্তনের ফলে ইচ্ছে করলে কোন শ্রমিক কাজের সময় বিরতিতে থাকতে পারে না । ৫ । ম্যানুফেকচারিং শিল্প কাঠামোই উপকরণের প্রাথমিক স্তরকে শিল্পায়ন করে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার দ্বারা সৌখিন দ্রব্য ও সেবা প্রদানের সক্ষম হয় ।
৬। ফ্যাক্টরি প্রথা প্রবর্তনের ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিশেষ শৃঙ্খলতার প্রয়োজন দেখা যায়, যার ফলে শ্রমিক নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ না করে বিশেষ নিয়মের মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে বেকলমাত্র যন্ত্রের প্রয়োজনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকে ৷
৭ । ফ্যাক্টরি প্রথায় একটি চেইন উৎপাদন প্রক্রিয়া থাকায় উপকরণ যোগান দেয়ার পর শিল্পের কোন অংশে বিরতি দেয়ার সুযোগ থাকে না ।
৮। ম্যানুফেকচারিং শিল্প, শিল্প কাঠামোর মধ্যে প্রথমে পরিবর্তনের সূচনা করে, পরে ধাপে ধাপে উন্নত শিল্প প্রযুক্তি ব্যবহার দ্বারা উন্নতমানের চূড়ান্ত দ্রব্য উৎপাদনে সহায়ক হয় । মোট কথা শিল্পের পরিবর্তন দ্বারা দ্রব্যের উৎপাদনে গুণগত পরিবর্তন হয় ।
ম্যানুফেকচারিং শিল্পখাতের আকার ও প্রবৃদ্ধি Size and Growth Rate of Manufacturing Sector

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পখাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন দ্রুত ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত । দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০১০-১১ অর্থবছরে এ খাতের অবদান ৩০.৩৮ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ খাতের অবদান ১,৪৪,৫৪৩.৮ কোটি টাকা বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে (বিবিএস, সাময়িক হিসাব)। দেশের জাতীয় আয়ে অবদান রাখে এরূপ ১৫টি খাতের মধ্যে চারটি খাতের (খনিজ ও খনন, ম্যানুফেকচারিং, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ এবং নির্মাণ) সমন্বয়ে শিল্পখাত গড়ে উঠেছে। চারটি খাতের মধ্যে জিডিপি'তে ম্যানুফেকচারিং খাতের অবদান সর্বোচ্চ। ম্যানুফেকচারিং খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৮.৭৭ শতাংশ প্রাক্কলন
ম্যানুফেকচারিং শিল্পের উৎপাদন সূচক
Quantum Index of Production of Manufacturing Industries উৎপাদনসূচক (Quantum index of production) ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের পণ্য উৎপাদন পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত অনুযায়ী ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ভিত্তিতে মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পের উৎপাদনসূচক ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১১৭.৫০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১২-১৩ অর্থবছরে গড় সূচক ১৯৫,১৯ দাঁড়ায়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পের গড় উৎপাদন সূচক দাঁড়িয়েছে ২৩১.৮৩ ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]