বাংলাদেশ পাট কল কর্পোরেশন (বিজেএমসি)

Bangladesh Jute Mills Corporation (BJMC)
পাট ও পাট শিল্প পরিবেশ বান্ধব, শতভাগ দেশজ কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ দ্বারা পরিচালিত, সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এবং রপ্তানি মূল্যের ১০০ শতাংশ Repatriation ভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প দেশে উৎপাদিত কাঁচা পাটের সিংহভাগ কাঁচামাল হিসেবে বিজেএমসির পাটকলসমূহে ব্যবহৃত হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের পাটকলগুলো কাঁচা পাট ক্রয় করে পাট চাষীদের নায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধান করে থাকে। বিজেএমসির মিলসমূহে প্রধানত হেসিয়ান, স্যাকিং, কার্পেট ব্যাকিং ক্লথ উৎপাদিত হয়। এছাড়া কয়েকটি পাটকলে উন্নতমানের রপ্তানিযোগ্য পাটের সুতা, জিওজুট, কটন ব্যাগিং, নার্সারী পট, ফাইল কভার ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। বিজেএমসির মোট ২৭টি পাটকলের মধ্যে চালু ১৮টি পাটকলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ডিসেম্বর, ২০১৩ পর্যন্ত সময়ে প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে প্রায় ০.৯৪ লক্ষ মেট্রিক টন ।
বিজেএমসি পাটজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত বিজেএমসির আওতাভুক্ত পাটজাত পণ্যের রপ্তানি পরিমাণ ০.৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন ও রপ্তানি আয় ৩৩৭.১৪ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাটজাত পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ও রপ্তানি আয় ছিল যথাক্রমে ১.৭৭ লক্ষ মেট্রিক টন ও ১,৩৬৩.১৮ কোটি টাকা ।
অপরদিকে, বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলসমূহ দেশের অভ্যন্তরে পাটজাত দ্রব্য বিক্রয়ের শুল্ক এবং বিভিন্ন প্রকার কর, ফি ইত্যাদি বাবদ ২০১১-১২ অর্থবছরে (ডিসেম্বর, ২০১১ পর্যন্ত) ৬.৮৬ কোটি টাকা (সাময়িক হিসাব) সরকারি কোষাগারে জমা করেছে । উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরে সংস্থাটি শুল্ক, কর/ফি ইত্যাদি বাবদ ১০.৯৪ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছিল ।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এদেশের প্রায় তিন কোটি জনবলের জীবিকা নির্বাহের সাথে সংশ্লিষ্ট পাট শিল্পের গুরুত্ব ও অবদান অনস্বীকার্য। লোকসানের অজুহাতে শিল্প কারখানা বন্ধ না রেখে লোকসানী শিল্প কারখানা দক্ষতার সাথে পরিচালনার মাধ্যমে লাভজনকভাবে এগুলোকে চালু করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনার পিপলস জুট মিলস লিঃ, খালিসপুর জুট মিলস লিঃ নামে এবং সিরাজগঞ্জের কওমী জুট মিলস লিঃ জাতীয় জুট মিলস লিঃ নামে পুনঃচালু করা হয়েছে । তাছাড়া উৎপাদন ঘাটতি কমানোর জন্য কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্ধ হওয়া আদমজী জুট মিলের মেশিনারীজ বিভিন্ন চালু জুট মিলে ব্যবহার, মেশিন/মেশিনারীজ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি জোরদারকরণ, দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনবলের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ।
৮.৩০ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পখাতভূক্ত সংস্থাসমূহের সংস্কার কর্মসূচি
Reform Programmes in State Owned Industrial Sector
সরকারের হাতে সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের প্রধান উপাদানগুলো হলো (ক) পণ্য বাজারে প্রতিযোগিতা, (খ) বাজার পরিস্থিতির প্রতি সাড়া দানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা, (গ) প্রতিযোগিতামূলক মজুরি ও কর্মসংস্থান, (ঘ) বাজারমুখী অর্থায়ন, (ঙ) বিপণন প্রক্রিয়াকে শক্তিশালীকরণ এবং (চ) প্রতিষ্ঠানকে লাভজনকভাবে পরিচালনা । রাষ্ট্রীয় শিল্পখাতের ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নে বর্তমানে যেসব সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নিম্নরূপ।
১। চালু রাষ্ট্রীয়ত, শিল্পখাতের অতিরিক্ত জনবল হ্রাসসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাসকরণ পূর্বক লোকসান কমানো:
২। রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব সংরক্ষণের জন্য বার্ষিক নিরীক্ষা সময়মত সম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ;
৩। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা আরোপের লক্ষ্যে পুরস্কার/শাস্তি স্কীম সম্প্রসারণ ইত্যাদি।
শিল্প পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ Quality Control of Industrial Products
দেশে শিল্পের বিকাশ, মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য মানকে বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসসিআই) কাজ করছে। বিএসটিআই পণ্যের পরীক্ষা পদ্ধতির জাতীয় মান নির্ধারণ, নির্ধারিত মানের ভিত্তিতে পণ্যের গুণগতমানের পরীক্ষা/বিশ্লেষণ, নিয়ন্ত্রণ, নিশ্চয়তা বিধান এবং ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা তদারকির দায়িত্বও পালন করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠান দেশের উৎপাদিত/আমদানিকৃত/বাজারজাতকৃত পণ্যের নমুনা জমাদান, পরীক্ষণ, গুণগতমানের সনদ প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম 'ওয়ান স্টপ সার্ভিস' ভিত্তিতে সম্পাদন করে থাকে। বিএসটিআই দেশের ৬টি বিভাগে এ সকল কার্যক্রম ৬টি আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকে।
“বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট, ২০০৩” এর আওতায় অবৈধ ও নিম্নমানের পণ্যের উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ বন্ধে বিএসটিআই কর্তৃক ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারী ২০১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬২৫ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মোট ১,১৭৭টি মামলা দায়ের করে প্রায় ২.৮৫ কোটি টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। গত ২০১১-১২ অর্থবছরে এ ধরনের জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ছিল ২.৭৫ কোটি টাকা । তাছাড়া ৬৬ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল ।
অপরদিকে “ওজন ও পরিমাপ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ওজন ও পরিমাপ আইন (সংশোধনী), ২০০১" এর অধীনে মেট্রোলজি কার্যক্রমের আওতায় পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই কর্তৃক ২০১৩-১৪ অর্থবছরে (ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ পর্যন্ত সর্বমোট ৬৬৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৮০২ টি মামলা করে ১৭ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে প্রদান করা হয়েছে। গত ২০১০-১১ অর্থবছরে ১,৭৬৯টি ভ্রাম্যমান আদালত ও সার্ভিল্যান্স টীম পরিচালনার মাধ্যমে ২,৫৫৯টি মামলা দায়ের করে ৫৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয় ।
বিএসটিআই'র সিমেন্ট ল্যাব (রসায়ন ও পদার্থ), ফুড ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব এবং টেক্সটাইল টেস্টিং ল্যাবসমূহের জন্য ৭৩টি প্যারামিটার এর অতিরিক্ত বিভিন্ন পণ্যের আরও ৭৫টি প্যারামিটার ভারত সরকারের অধীনে NABL (National accreditation board for testing and calibration laboratories, department of science & technology, government of india)-এর Accreditation প্রাপ্তি বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সার্ভিলেন্স অডিট ও প্রি-
অসেসমেন্ট প্রভৃতি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ সকল Accreditation পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায় ।
আন্তর্জাতিক মান ISO Guide 65 মোতাবেক বিএসটিআই এর Product certification এর আওতায় বেশ কিছু পণ্যের টেস্টিং এবং ইন্সপেকশন স্কীম এর উন্নয়ন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হে গ্রা. পর্যায় ৫টি Voluntary product এর জন্য ভারতের National accreditation board for certification Body (NABCB) থেকে Accreditation সার্টিফিকেট জানুয়ারি, ২০১২ মাসে পাওয়া গেছে।
শিল্পখাতে কারিগরি সহায়তা Technical Assistance in Industrial Sector
বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) বিভিন্ন বিষয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরামর্শ প্রদান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নকশা প্রণয়ন ও সেগুলো তৈরী/মেরামত করে (স্থানীয় ও আমদানি বিকল্প) দেশের শিল্পায়নে সহায়তা করে থাকে। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিল্পক্ষেত্রে দক্ষ কারিগর জনবল সৃষ্টি করা, উন্নত প্রযুক্তি আহরণ ও হস্তান্তরসহ শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি । এতে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখার সহায়তার পাশাপাশি এরূপ সহায়তা প্রদান খাত থেকে রাজস্ব আহরণ হয়ে থাকে ।
শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরামর্শ প্রদান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের নকশা প্রণয়ন ও সেগুলো তৈরী/মেরামত বাবদ বিটাকের এ খাত থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ পর্যন্ত প্রায় ১,৩৬৯.৫৮ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে । এছাড়া স্থানীয় যন্ত্রপাতি ও আমদানি বিকল্প যন্ত্রপাতি তৈরি করে এবং অন্যান্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিটাক দেশে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দারিদ্র্য বিমোচনেও সহায়তা করছে।
শিল্পখাতে মেধা সম্পদ (পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস) বিষয়ক কার্যক্রম Activities on Intellectual Property (Patent, Design and Trademarks) in Industrial Sector
পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশের মেধা সম্পদ বিষয়ে একটি বিশেষায়িত সংস্থা । নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট মঞ্জুর, নতুন ও মৌলিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন নিবন্ধন এবং ট্রেডমার্কস নিবন্ধন করার দায়িত্ব পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। ট্রেডমার্কস কার্যক্রম ট্রেডমার্কস আইন মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। পেটেন্ট মঞ্জুর, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস নিবন্ধন প্রভৃতি সেবা প্রদান করে সংস্থার নন-ট্যাক্স রেভিনিউ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ২০১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয় ৭.২০ কোটি টাকা, যা গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল প্রায় ১০.১৪ কোটি টাকা ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]