বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বিইপিজেড) Bangladesh Export Processing Zone (BEPZ)

বাংলাদেশের মত কৃষি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্খিত গতিশীলতা অর্জনকল্পে প্রয়োজন দ্রুত শিল্পায়ন । এ প্রেক্ষিতে শিল্পখাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দ্রুত শিল্পায়নকল্পে বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে উৎসাহ প্রদান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে শিল্প ঋণ বিতরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে। ফলে শিল্পখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও আদায় ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছর হতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত বছরওয়ারী শিল্প ঋণ বিতরণ ও আদায় পরিস্থিতি সারণিতে
২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত শিল্পখাতে বিতরণকৃত ও আদায়কৃত ঋণের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,০৮,৬৭১.০৮ কোটি টাকা ও ৮১,৭৬৩.৭০ কোটি টাকা। বিতরণকৃত ও আদায়কৃত শিল্প ঋণের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি দেশের শিল্পায়নকে গতিশীল করবে। শিল্প ঋণের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও উচ্চতর মাত্রা নিশ্চিত করতে মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায় ।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বিইপিজেড) Bangladesh Export Processing Zone (BEPZ)
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বলতে এরূপ একটি এলাকা বা স্থানকে বুঝায় যেখানে শুধুমাত্র রপ্তানির উদ্দেশ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (Export Processing Zone) সংক্ষেপে ইপিজেড হলো দেশের ভিতর বৈধভাবে গঠিত একটি বিশেষ অঞ্চল যেখানে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে । 'ইপিজেড' এমন একটি শিল্পাঞ্চল যেখানে রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা যেমন- বিদ্যুৎ সরবরাহ, উন্নত রাস্তা-ঘাট, উন্নত আবাসন ব্যবস্থা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা, উন্নত আর্থিক অবকাঠামো, শুষ্ক রেয়াত প্রভৃতির ব্যবস্থা করে থাকে। ইপিজেড-এ প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কাচামাল, যন্ত্রপাতি ও সেমি ফিনিশড গুডস্ কোন প্রকার আমদানি শুল্ক ছাড়াই আমদানি করা যায়। আবার এ অঞ্চলে উৎপাদিত দ্রব্য রপ্তানির জন্য কোন প্রকার শুল্ক প্রদান করতে হয় না।
, বাংলাদেশে ইপিজেড প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা : বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৭৮ সালে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার ধারণাটি নীতিগতভাবে গৃহীত হয়। ১৯৮০ সালে জাতীয় সংসদে 'গৃহীত ৩৬ নং আইন' বলে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (The bangladesh export processing zone authority, BEPZA) গঠন করা হয় ।
এ কর্তৃপক্ষ সংক্ষেপে বেপজা (BEPZA) নামে পরিচিত । চট্রগ্রামের পতেঙ্গায় ১২৫ একর জমি নিয়ে ১৯৮৩ সালে প্রথম ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ঢাকার অদূরে সাভারে আরেকটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করা হয় । গাজীপুরে ইপিজেড প্রতিষ্ঠাকরণের কাজ চলছে এবং খুলনা সামুদ্রিক বন্দর সংলগ্ন এলাকায় একটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠাকরণের প্রস্তাব রয়েছে । এছাড়া ঈশ্বরদী ইপিজেড এবং কুমিল্লা ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । ঢাকা ও চট্রগ্রাম ইপিজেডে মোট ১১২টি শিল্প কারখানা উৎপাদন করছে এবং ১০৭টি শিল্প কারখানা বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে ।
সম্প্রতি সরকার বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা পিইপিজেড প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় আইন জারী করা হয়েছে ।
বেপজার (BEPZA) প্রধান অফিস চট্রগ্রামে অবস্থিত, ঢাকাতে এর একটি অফিস রয়েছে। এ সংস্থাটি পরিচালনার জন্য রয়েছে একজন চেয়ারম্যান, দু'জন পূর্ণকালীন ও কয়েকজন খণ্ডকালীন সদস্য । বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান, সুইডেন, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশের বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে । এগুলোর মধ্যে উল্লেযোগ্য প্রস্তুতকৃত পোশাক শিল্প, ধাতব শিল্প, চামড়াজাত দ্রব্য, বস্ত্র, ইলেক্ট্রনিক্স, প্লাস্টিক দ্রব্য ও খেলাধুলার সামগ্রী।
ইপিজেড (EPZ) এ প্রদত্ত সুবিধাসমূহ Advantages Given to EPZ
১ । উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা পেয়ে থাকে । এর মধ্যে রয়েছে উন্নত রাস্তাঘাট, আবাসন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিযোগাযোগ, পানি ও উন্নত পয়ঃপ্রণালী প্রভৃতি ।
২। EPZ এ আর্থিক অবকাঠামোগত খাও পাওয়া যায়, যেমন- উন্নত ব্যাকিং সেবা, উন্নত বীমা সেবা ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা ইত্যাদি ।
৩ । বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের উপর কর মওকুফ করা হয় । তাছাড়া বিদেশিদের মূলধন ও লাভ দেশে ফেরত নেওয়ার সুবিধা দেওয়া হয় ।
৪ । EPZ এ প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিমুখী শিল্পসমূহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০ বছর পূর্ণ কর রেয়াত পায় । ১০ বছরের পর রপ্তানি আয়ের উপর শতকরা ৫০ভাগ হারে কর রেয়াত প্রদান করা হবে ।
৫ । দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সাহায্যে দ্বৈতকর থেকে প্রতিষ্ঠানসমূহকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ।
৬। EPZ এ স্থাপিত শিল্প কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুবিধা পায় ।
৮। আধুনিক সকল সুযোগ-সবিধা প্রদান করে শিল্পের পরিবেশ তথা উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]