বাংলাদেশের পাট শিল্পের সমস্যা সমাধানের উপায়/ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

Means to Solve Problems of Jute Industry/ Future Prospectus বাংলাদেশের পাট শিল্প বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো অত্যন্ত সহজেই সমাধান করা যায় । এছাড়া সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে বিশ্ববাজারেও আমাদের প্রধান্য অক্ষুণ্ণ থাকবে । স্বাধীনতার পর পরই ব্যবস্থাপনার দক্ষতার কথা চিন্তা না করে সরকার সমস্ত পাটকলগুলো জাতীয়করণ করায় পাট শিল্পের সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারন করে। বর্তমানে সরকার এ সকল সমস্যা সমাধানকল্পে পাট শিল্প বিজাতীয়করণের নীতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই ৪২টি পাটকল ব্যক্তি মালিকানায় ফেরত দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি পাটকল ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পাটজাত দ্রব্যের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বাংলাদেশকে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে ।
১। কাঁচা পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি : পাটের আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, উন্নত বীজ উদ্ভাবন এবং উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেশে উন্নত জাতের কাঁচা পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
২। উৎপাদন বৃদ্ধি ঃ পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। সাথে সাথে গবেষণার মাধ্যমে উৎকর্ষতাও বাড়াতে হবে ।
৩। প্রয়োজনীয় উপকরণের সংস্থান ঃ পাট শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, বিদ্যুৎ, খুচরা যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৪। বিভিন্নমুখী উৎপাদন : শুধু দড়ি, চট, থলে, বস্তা, কাছি ইত্যাদির মধ্যে উৎপাদন সীমিত না রেখে নতুন নতুন পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করতে হবে। বর্তমানে পাটের তৈরি কার্পেট, বস্ত্র, পর্দার কাপড়, উল, ত্রিপল, গালিচা, ক্যানভাস, তাঁবু ইত্যাদির প্রচুর চাহিদা বিদেশে রয়েছে । এদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে ।
৫। উৎপাদন ব্যয় হ্রাস : উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন করে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করতে হবে ।
৬। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ : বিদেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এ উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ।
৭। বিরোধ হ্রাস ঃ পাট শিল্পের উন্নতি করতে হলে বিভিন্ন প্রকার শ্রম আন্দোলন ও ধর্মঘট হ্রাস করতে হবে । উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পাট শিল্পের উন্নতি যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে ।
বাংলাদেশের কার্পাস বয়ন/বস্ত্র শিল্পের বর্ণনা Description of Cotton Textile Industry in Bangladesh
বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো কার্পাস বয়ন শিল্প। প্রায় সম্পূর্ণরূপে আমদানিকৃত তুলার ওপর নির্ভর করে এ দেশের কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মোট কাপড়ের চাহিদার অতি সামান্য অংশ (প্রায় ৭%) কার্পাস বয়ন শিল্পে উৎপাদিত হয় ।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় মাত্র ৮টি কাপড়ের কল বাংলাদেশের ভাগে পড়ে। এদের ৩টি ঢাকাতে, ৩টি নারায়ণগঞ্জে, ১টি চট্টগ্রামে এবং ১টি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ছিল। তৎকালীন 'পাকিস্তান শিল্পোন্নয়ন সংস্থা (PIDC)' এর উদ্যোগে ১৯৫৩ সাল নাগাদ বস্ত্রকলের সংখ্যা ২৪টিতে উন্নীত হয়। ১৯৭১-৭২ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪টি, ১৯৭৬-৭৭ সালে ৪৯টি এবং ২০০৯-১০ সালে চালু বজ্রকলের সংখ্যা ৬৩টিতে দাঁড়িয়েছে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিদেশ হতে তুলা আমদানি করে সুতা ও কাপড় উৎপাদন করছে। দেশকে কাপড়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার জন্য সরকার বিশেষ কতগুলো কাপড় আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সকল বাকল রাষ্ট্রায়ত করা হয় এবং বাংলাদেশ বস্ত্রকল সংস্থার হাতে এদের পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয়। ১৯৮২ সালে বিজাতীয়করণ আদেশের আওতায় এ পর্যন্ত ৪০টি ব
বেসরকারি মালিকদের নিকট হস্তান্তরিত হয় এবং সরকারি খাতে ২৩টি বর ও সুতাকল আছে ।
গুরুত্ব ও খাদ্যের পরে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হলো বস্ত্রের। বস্ত্র কেবল মানুষের লজ্জার নিবারণ করে না, মানুষকে শীত ও উষ্ণতার হাত হতে রক্ষা করে। বাংলাদেশ উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত বলে অন্যান্য বস্ত্রের চেয়ে কার্পাস বস্ত্র অধিক ব্যবহৃত হয়। তদুপরি কৃত্রিম আঁশের কাপড়ের চেয়ে কার্পাস ব দামে সস্তা এবং ব্যবহারও আরামদায়ক । ফলে বাংলাদেশে কার্পাস বক্সের চাহিদা বেশি। তাই ঘনবসতিপূর্ণ ও দেশে বস্ত্র শিল্পের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এছাড়া বক্স শিল্পে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ লক্ষ দৌর নিয়োজিত রয়েছে। তাই এটি কর্মসংস্থানের অন্যতম প্রধান উৎস। তাছাড়া বস্ত্র শিল্পের সুতা বাংলাদেশের ১,৪৮,৩৪২টি তাঁত শিল্প চলছে এবং এগুলোতে কয়েক লক্ষ লোক কর্মরত রয়েছে। সুতরাং তে কার্পাস বয়ন শিল্পের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
গড়ে উঠার কারণ ও নিম্নে বাংলাদেশে কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক কারণসমূহ বর্ণনা করা হলো ।
(ক) প্রাকৃতিক কারণসমূহ
১। অনুকূল জলবায়ু ঃ বাংলাদেশে কার্পাস বয়ন শিল্প উন্নতি লাভ করার অন্যতম প্রধান কারণ হালা এ দেশের আর্দ্র জলবায়ু। কারণ কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠার জন্য আদ্র জলবায়ু একান্ত প্রয়োজন। কেননা শুষ্ক জলবায়ুতে কার্পাস তুলা ছিঁড়ে যায় ।
৩। সহজলভ্য শক্তিসম্পদ : বাংলাদেশের কার্পাস বয়ন শিল্প উন্নতির আর একটি কারণ হলো সহজলভ্য প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তি ও প্রাকৃতিক গ্যাস ।
২। কাঁচামাল : বাংলাদেশে অতি সামান্য পরিমাণ তুলা উৎপন্ন হয় । তবু ব্যাপক স্থানীয় চাহিদা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, দক্ষ কারিগরি জ্ঞান, অনুকূল জলবায়ু ইত্যাদি সুবিধাদি বর্তমান থাকায় জাহাজযোগে তুলা উৎপাদনকারী বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ হতে সহজ শর্তে ও সস্তায় তুলা আমদানি করে বাংলাদেশে কার্পাস শিল্প গড়ে উঠেছে ।
(খ) অর্থনৈতিক কারণসমূহ
১। প্রচুর দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক : কার্পাস শিল্পে প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ ও সুলভ শ্রমিক পাওয়া যায় । তাই এ দেশের কার্পাস বয়ন শিল্প উন্নতি লাভে সক্ষম হয়েছে ।
২। যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা : বস্ত্রকলগুলোর সাথে বাংলাদেশের সকল অংশের নদী, স্থল ও রেলপথে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় বিদেশ হতে সমুদ্র পথে আমদানিকৃত কাঁচা তুলা ও যন্ত্রপাতি সহজে বজ্রকলে প্রেরণ এবং উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য বাজারজাতকরণ অত্যন্ত সহজ হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে কার্পাস বয়ন শিল্প উন্নতি লাভ করেছে ।
৩। মূলধন যোগান : বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কার্পাস শিল্পে প্রয়োজনীয় মূলধনের যোগান দেওয়া হয়। ফলে এ দেশে দ্রুত কার্পাস বয়ন শিল্প উন্নতি লাভ করেছে ।
৪। নিশ্চিত বাজার : বাংলাদেশে কার্পাস বয়ন শিল্পের উন্নতির অন্যতম কারণ হলো উৎপাদিত সুতা ও বস্ত্রের স্থানীয় চাহিদা ।
৫। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ঃ দেশের কার্পাস বস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দেশে কার্পাস বয়ন শিল্প সমৃদ্ধি লাভ করার এটিও একটি কারণ ।
৬। প্রযুক্তি জ্ঞান ঃ অতি প্রাচীনকাল হতে বিশ্বের এ অংশের কার্পাস শিল্প ব্যাপক সুনামের অধিকারী । ফলে ঐতিহ্যগত কারণে বাংলাদেশে কার্পাস বয়ন শিল্পের প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন প্রচুর কারিগর পাওয়া যায় । এটাও কার্পাস বয়ন শিল্পে উন্নতির অন্যতম কারণ ।
কার্পাস বয়ন শিল্পের সংখ্যা : ২০০৯-১০ সালে বাংলাদেশে ৬৩টি চালু কার্পাস বয়ন শিল্প ছিল । এদের মধ্যে ২৩টি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন এবং বাংলাদেশ বস্ত্রকল সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত । অবশিষ্ট ৪০টি বেসরকারি মালিকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, সিলেট, দিনাজপুর ও মাদারিপুরে আরও ৫টি বস্ত্রকল স্থাপন প্রক্রিয়া চলছে। অল্পদিনের মধ্যে এগুলোতে উৎপাদন আরম্ভ হবে । তদুপরি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আরও কয়েকটি বস্ত্রকল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে । ২০০৯-১০ সালে ৬৩টি কার্পাস বয়ন শিল্পের মোট সংযোজিত তাঁতের সংখ্যা ছিল ৬০০০ এবং এদের মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা হল ৫০০০। মোট স্থাপিত টাকুর সংখ্যা ছিল ১২,২৪,০০০ এবং চালু টাকুর সংখ্যা হল ১২,১৮,০০০ ।
উৎপাদন ঃ ২০১৩-১৪ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১৬৮১ মিলিয়ন কেজি সুতা এবং ৭,৪১৪ মিলিয়ন মিটার বিভিন্ন প্রকার মিলের কাপড় উৎপাদিত হয় । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে বছরে মাথাপিছু ১২ গজ হিসাবে ১৮৬ কোটি গজ কাপড়ের দরকার হয় । তন্মধ্যে বস্ত্রকলসমূহ উৎপাদন করে মাত্র ৭ শতাংশের মতো এবং হস্তচালিত তাঁতসমূহ উৎপাদন করে প্রায় ৪৩ শতাংশ । উৎপাদিত কাপড়ের মধ্যে শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, লং ক্লথ, পপলিন, শাটিং, ড্রিল, বিলুলার, সাল ও মার্কিন কাপড় প্রধান। এর মধ্যে মোট উৎপাদনের প্রায় ৪০ ভাগ শাড়ি, ৩৫ ভাগ লুঙ্গি এবং অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ অন্যান্য কাপড় উৎপাদন করে ।
আধুনিকীকরণ ঃ অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার সরকারি খাতে বস্ত্রকলগুলোকে আধুনিকীকরণ ও সুষমকরণের কাজে হাত দিয়েছে। এরজন্য সরকারের প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫টি মিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট মিলগুলোর সংস্কার শুরু হয় । সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হলে বাড়তি ১ কোটি ৪৮ হাজার পাউন্ড সুতা এবং ১ কোটি ২ লক্ষ গজ কাপড় উৎপাদন হবে ।
বয়ন শিল্পের বণ্টন : বাংলাদেশের কার্পাস বয়ন শিল্পগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থিত বলে
আলোচনার সুবিধার্থে এদের নিম্নোক্ত অঞ্চল ভিত্তিতে ভাগ করা হলো ।
(১) ঢাকা অঞ্চল ঃ বিভিন্ন প্রকার ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক কারণে ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের এলাকায় মোট ৩০টি কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে। ফলে ঢাকা বাংলাদেশের প্রধান কার্পাস বয়ন শিল্প কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে । এ অঞ্চলের নারায়ণগঞ্জে ৫টি, টঙ্গীতে ৮টি এবং অবশিষ্ট মিলগুলো নরসিংদী, কালিগঞ্জ, ডেমরা, কাঁচপুর, মুড়াপাড়া, ফতুল্লা, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, সাভার, জয়দেবপুর, মিরেরবাগ প্রভৃতি স্থানে অবস্থিত ।
(২) কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল ঃ এটি বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কার্পাস বয়ন শিল্প অঞ্চল । এ অঞ্চলে বর্তমানে ৭টি বস্ত্র ও সুতাকল আছে । তন্মধ্যে কুমিল্লায় ৬টি এবং ফেনীতে ১টি । কুমিল্লায় কার্পাস মিলগুলো বাঞ্চারামপুর, দূর্গাপুর, দৌলতপুর, হালিমানগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত। প্রধানত কেন্দ্রীয় অবস্থান, উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রচুর সুলভ শ্রমিক সরবরাহ, অনুকূল জলবায়ু, সহজলভ্য বিদ্যুৎ শক্তি ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি কারণে এ অঞ্চলে বস্ত্র শিল্প উন্নতি লাভ করেছে ।
(৩) চট্টগ্রাম অঞ্চল ঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান কার্পাস বয়ন শিল্প কেন্দ্র অঞ্চল হলো চট্টগ্রাম । এ অঞ্চলে মোট ১২টি বস্ত্র ও সুতাকল আছে । চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট, হালিশহর, ষোলশহর, পাঁচলাইশ, উত্তর কাউলি, কালুর ঘাট প্রভৃতি স্থানে কাপড়ের কলগুলো অবস্থিত ।
(৪) অন্যান্য অঞ্চল : বাংলাদেশের অবশিষ্ট কার্পাস বয়ন শিল্পগুলোর মধ্যে ২টি পাবনায়, ২টি কুষ্টিয়ায়, ২টি যশোরে এবং অন্যানগুলো বগুড়া, টাঙ্গাইল, খুলনা, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, আল্লাদিপুর, রাজশাহী ও নিলফামারীর দায়োয়ানীতে অবস্থিত। তদুপরি মাদারিপুর, সদরপুর, সিলেট ও রাঙ্গামাটিতে আরও ৪টি নতুন কার্পাস বস্ত্র ও সুতাকল স্থাপিত হয়েছে। তন্মধ্যে মাদারিপুর ও রাঙ্গামাটি বজ্রকলে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে ।
বাণিজ্য : বাংলাদেশ বিদেশ হতে আমদানিকৃত তুলা দ্বারা এর বস্ত্র ও সুতা কলগুলো পরিচালনা করে । ২০১৪-১৫ সালে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত ১,৫০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাঁচা তুলা এবং ১,৪৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সুতা আমদানি করা হয়। দেশের বস্ত্র ও সুতা কলগুলোতে উৎপাদিত বস্ত্র স্থানীয় চাহিদার মাত্র ৭ শতাংশ পূরণে সক্ষম হয়। ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রচুর কাপড় বিদেশ হতে আমদানি করে । ২০০৯-১০ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ লক্ষ পাউণ্ড সুতা ও ২৮ লক্ষ বেল তুলা আমদানি করে ।
কাঁচা তুলা আমাদানি ছাড়াও বাংলাদেশ বিভিন্ন মানের প্রচুর সুতাও আমদানি করে থাকে। প্রধানত জাপান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, পাকিস্তান, ভারত প্রভৃতি দেশ হতে তুলা, বস্ত্র ও সুতা আমদানি করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সামান্য পরিমাণ রেশম এবং রেয়ন সুতা (৩ হতে ৬ লক্ষ পাউন্ড) বিদেশে রপ্তানি করে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]