শিল্প মূলধন বাংলাদেশের শিল্প মূলধনের স্বল্পতার কারণ

দেশের শিল্প কারখানাসমূহের মূলধনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে অর্থ সরবরাহ করা হয় তাকে বলা হয় শিল্প মূলধন । শিল্পায়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শিল্প মূলধন। শিল্পোন্নয়নের জন্য প্রধানত দুই ধরনের মূলধনের প্রয়োজন হয় । যথাঃ
"
১। স্বল্পমেয়াদী বা কার্যরত মূলধন (Short-term or working capital )
২। দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ী মূলধন (Long-term or fixed capital )
শিল্প কারখানার কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকদের মজুরি প্রদান প্রভৃতি কাজের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয় তাকে বলা হয় স্বল্পমেয়াদী বা কার্যরত মূলধন। অন্যদিকে, শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ভবন নির্মাণ, ভারী মেশিন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রভৃতি কাজের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয় তাকে বলা হয় দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ী মূলধন। একটি দেশের দ্রুত শিল্পোন্নয়নের জন্য এই উভয় ধরনের মূলধনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য ।
বাংলাদেশের শিল্প মূলধনের স্বল্পতার কারণ Causes of Shortage of Industrial Finance in Bangladesh
দেশকে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য পর্যাপ্ত মূলধন আবশ্যক। মূলধন ব্যতিরেকে কোন শিল্প স্থাপন সম্ভব নয় । শিল্প উন্নয়নের জন্য দু'প্রকার মূলধন প্রয়োজন হয় । স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী মূলধন। স্বল্প সময়ের জন্য যে মূলধনের প্রয়োজন তাকে স্বল্পকালীন মূলধন বলে। যেমন- শ্রমিকের মুজরী প্রদান, উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল ক্রয়, বাজারজাতকরণ, স্বল্পকালীন মূলধনের পর্যায়ে ফেলা যায়। আবার শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য যে টাকা ব্যয় করা হয়ে থাকে তাকে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন বলা হয়। যেমন- বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জন্য বিনিয়োগ, ইমারত তৈরি, প্রকল্প
সম্প্রসারণের জন্য দীর্ঘকালীন মুলধনের প্রয়োজন। বাংলাদেশে শিল্প মূলধনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ব্যক্তিগত অথবা রাষ্ট্রীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ কম বলেই এতদ্বঞ্চলে পর্যাপ্ত ভারী শিল্প গড়ে উঠেনি। স্বাধীনতা পূর্বকালে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য খুব সংকুচিত ছিল বিধায় শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠা নানানভাবে ব্যাহত হয়েছে। নিমে বাংলাদেশের শিল্প মূলধন অভাবের কারণসমূহ আলাচনা করা হলো।
১। সঞ্চয়ের পরিমাণ কম ও বাংলাদেশে লোকসংখ্যা অনুযায়ী বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ এখনো অনেক কম । এত কম টাকায় একজন মানুষের জীবনধারণ করা অত্যন্ত কঠিন। দেশের মুদ্রা বাজারে বারবার টাকা অবমূল্যায়ন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বণ্টনে বেশি লোকের অংশীদারিত্ব ইত্যাদির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক গুণ বেড়েছে । তাই সঞ্চয়ের পরিবর্তে ব্যক্তির খরচের ভাগ বেশি থাকে। সে কারণে এ দেশের শিল্পখাতে বিনিয়োগ হার অতি কম ।
২। ঋণদান নীতি ঃ ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাংক মূখ্য ভূমিকা পালন করে। এ দেশে শিল্প বিকাশের জন্য শিল্প ঋণ সরবরাহকারী ব্যাংকের সংখ্যা অত্যন্ত কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিল্প উদ্যোক্তারা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদানে অনিচ্ছুক হওয়ায় শিল্প উদ্যোক্তাদের পক্ষে নতুন শিল্প স্থাপন দুরূহ হয়ে পড়ে ।
৩। অপর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণ ঃ শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঋণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের শিল্পের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত ঋণ প্রদানের ক্ষমতা আমাদের ব্যাংকগুলোর নেই। কারণ আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং জনসাধারণের বেশির ভাগ এখনো ব্যাংকিং লেনদেনের সাথে পরিচিত নয় । তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে তারা ব্যাংকের নিকট গচ্ছিত না রেখে হাতে রাখাকে শ্রেয় মনে করে। ফলে সঞ্চয় বৃদ্ধি না হওয়ায় ব্যাংকসমূহ শিল্প উদ্যোক্তাকে পর্যাপ্ত ঋণ দিতে পারে না বলেই নতুন শিল্প সম্ভব হয় না ।
৪ । বীমা কোম্পানীর অভাব ঃ দেশে শিল্প উৎপাদনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিল্পের বেলায় অনেক ঝুকি বরাবরই থেকে যায়। তাই ছোট ছোট অর্থশালী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ ঝুঁকি নিতে চায় না । স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এ দেশের বীমা সংস্থাগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীনে ছিল । পূর্বে বিভিন্ন শিল্পের দুর্ঘটনার জন্য যে ভর্তুকী দেয়া হতো তা উৎসাহ ব্যঞ্জক ছিল না। আজকাল অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। সরকারের বিনিয়োগ নীতি আরো অনেক সহজতর হয়েছে। দেশে এখন বেসরকারি পর্যায়েও অনেক বীমা কোম্পানী গঠিত হয়ে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে ।
৫। শেয়ার বাজার : শেয়ার বাজার সম্পর্কে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের অভিজ্ঞতা অনেক কম । শেয়ার বাজার সম্পর্কে ব্যাংক প্রচারণা না থাকায় পুঁজি সংগঠন করা যাচ্ছে না ।
৬ । অনভিজ্ঞতা ঃ অজ্ঞতা মূলধন গঠনের জন্য একটি বড় রকমের বাধা । বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে অনেক ধনী ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজস্ব পুঁজি খাটিয়ে অতি সহজে ছোট খাট শিল্প স্থাপন করতে পারে। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও অজ্ঞতার জন্য এরা কৃষি ভূমির উপর পুঁজি বিনিয়োগ ছাড়া শিল্প কারখানাতে বিনিয়োগে উৎসাহী হয় না । তাই শিল্পখাতে পুঁজির সরবরাহ পূর্বের মত এখনো সীমিত রয়েছে ।
৭। ঝুঁকি গ্রহণে অনীহা : শিল্প স্থাপন কিংবা পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞতার প্রয়োজন । কারখানার ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধা করার জন্য অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন অধিক । বিনিয়োগের ক্ষমতা থাকার পরেও অনেক উদ্যোক্তা এ খাতে পুঁজি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না । তাই শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধনের অভাব লক্ষ্য করা যায় । বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রদত্ত শিশু নীতি অনেক উদ্যোক্তাকে শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করেছে।
৮। সংগঠনের অভাবে ৪ বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের উপার্জিত অর্থের অপরিকল্পিত ব্যবহার চলছে। সরকারি পর্যায়ে এদের সংগঠনের জন্য তেমন কোন জোরালো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সংগঠনের অভাবে এ অর্থ আত্মীয়-স্বজনদের বিলাসী জীবনে ব্যয় হচ্ছে। এ কারণেই কষ্টার্জিত এসব বৈদেশিক মুদ্রা শিল্পখাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না ।
৯ । অন্যান্য ঃ মূলধনের অভাবের অন্যান্য কারণের মাঝে ব্যবস্থাপনা, পরিবহণ, যোগাযোগ, উপযুক্ত বাজার ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । এ সকল কারণ শিল্পের পর্যাপ্ত ঋণ প্রাপ্তির পথে অন্তরায়।
শিল্প মূলধন গঠনের উপায় Means to Form the Industrial Finance
দেশের শিল্পায়নের জন্য মূলধন গঠন অপরিহার্য। বাংলাদেশে শিল্পের মূলধন বৃদ্ধি করা অত্যন্ত কঠিন হলেও এ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকা ঠিক হবে না । বাংলাদেশে শিল্প গঠনের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে ।
১। জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধি ঃ দেশকে শিল্পায়ন করার লক্ষ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সঞ্চয়ের আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত । এ উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত বিভিন্ন প্রকার বণ্ড, পলিসি, লটারী ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণকে সঞ্চয়ী হওয়ার জন্য আগ্রহী করে তুলতে হবে ।
২। আমদানি হ্রাস ঃ আমদানি বাণিজ্যে কেবল অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ছাড়া বাদ বাকী দ্রব্যের উপর সরকারি বিধি নিষেধ থাকা উচিত। স্থানীয় শিল্পের উৎপাদন দ্বারা বাজার চাহিদা পূরণ সম্ভব, এরূপ দ্রব্য আমদানি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত । এতে সরকারের হাতে উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ থেকে শিল্প স্থাপনের জন্য নতুন উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হবে ।
৩। বিদেশ থেকে প্রেরিত টাকা সংগঠনে সরকারি উদ্যোগ ঃ বিদেশে চাকুরীরত বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রেরিত অর্থের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রাখা উচিত । উক্ত টাকার একটি অংশ সরকারি তত্ত্বাবাধনে ব্যক্তির নিজ নামে সংরক্ষিত হবে । এভাবে প্রতিজন বিদেশী চাকুরীরত ব্যক্তিকে দিয়ে সমিতি গঠন করে দেশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে । সমিতির পক্ষে এ সকল শিল্পের পরিচালনার ভার সরকারি তত্ত্বাবধানে রেখে লভ্যাংশ প্রতিজন শেয়ার হোল্ডারের নামে বন্টন হতে পারে ।
৪। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রসার লাভ : শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সহায়তা দানকারী ব্যাংক, বীমা ইত্যাদির প্রসার আবশ্যক। এ সকল প্রতিষ্ঠান প্রসারের সাথে শিল্পায়নের একটি নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। শিল্পখাতে বেশি পরিমাণ ঋণ সরবরাহ করে উৎপাদনকে অক্ষুণ্ণ রাখার যে কোন ঝুঁকি গ্রহণের জন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দান করা যেতে পারে। এ জন্য আর্থিক সহায়তা দানকারী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসমূহে। প্রসার আবশ্যক । বাংলাদেশ সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে দেশে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানীর সৃষ্টি হয়েছে যা আমাদের দেশে নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা যায় ৷
৫। রাজস্ব আদায় ঃ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে শিল্পের জন্য পুঁজি গঠন সম্ভব। সকল ধরনের আয় ও ভোগের উপর রাজস্ব নির্ধারণের মাধ্যমে পুঁজি গঠন করা যেতে পারে। তবে ভোগ্যপণ্যের উপর রাজস্ব
নির্ধারণ থেকে বিরত থাকা উচিত। যেমন- গম, চাল ও ডাল জাতীয় খাদ্যসামগ্রী। এ জাতীয় খাদ্যদ্রব্যের উপর রাজস্ব নির্ধারণ হলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিষ্ট হবে।
৬। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হ্রাস ও বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে আমাদের শিল্পখাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা উচিত । শিল্পোন্নত দেশে যে হারে যন্ত্রপাতি ব্যবহার চলছে তার অনুকরণে আমাদের দেশে শিল্প স্থাপিত হলে তা কখনো বাস্তব ভিত্তিক হবে না। দেশের পরিবেশ অনুযায়ী আমাদের দেশে এ পর্যায়ে মধ্যবর্তী প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্বল্প পুঁজিতে অধিক শিল্প স্থাপন সম্ভব হবে।
৭। রপ্তানি বৃদ্ধি ও দেশেকে শিল্প সমৃদ্ধ করতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার দরকার। কারিগরি দিক থেকে আমাদের দেশ অনেক পশ্চাতে বিধায় শিল্পের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির জন্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় । তাই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে দেশীয় সামগ্রী বৃদ্ধি করা একান্ত অপরিহার্য ।
৮। বাজেট বরাদ্দে শিল্পকে গুরুত্ব প্রদান ঃ উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিল্পখাতকে অগ্রাধিকার প্রদান করা উচিত । অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহকে উন্নয়ন কর্মসূচির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের জন্য রেখে শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা উচিত। তাছাড়া এ দেশে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে কোন বিষয়ের উপর বাস্তব স্থায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে। বিলাসী পণ্য উৎপাদনে সীমিত অনুমতি দানে ও সম্ভাব্য খাত থেকে ব্যয় সংকোচন করে অতি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য পুঁজি গঠন করা উচিত
৯। অন্যান্য ঃ আমাদের অর্থনীতিতে বৈদেশিক ঋণ বা সাহায্য একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে । দেশের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রাপ্ত এ সকল সাহায্য দ্বারা দেশকে শিল্পায়ন করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা দরকার । বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে শিল্প সেক্টরে বড় ধাক্কা (Big push) সৃষ্টি করা হলে শিল্প উৎপাদনে ব্যাপক পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকে। Big push মতবাদ লিভেষ্টন ও হার্সম্যানের মত বড় বড় অর্থনীতিবিদেরা সমর্থন করেছেন ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]