শক্তি ও জ্বালানি Power and Energy

ভূমিকা Introduction
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো বিদ্যুৎ শক্তির পরিকল্পিত ও যথোপযুক্ত ব্যবহার । কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশসহ দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ শক্তির চাহিদা ব্যাপক । দৈনন্দিন জীবনে গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার ছাড়াও কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা ও বিভিন্ন আয় বর্ধনকারী কর্মকাণ্ডে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে দেশে মোট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তি এখনও পর্যাপ্ত নয় । বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে ।
বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বর্তমানে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ কম । বর্তমানে দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৩৪৮ কিলোওয়াট আওয়ার। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এ খাতের সার্বিক ও সুষম উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে যা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে ।
জিডিপি'তে বিদ্যুতের অবদান এবং ইহার প্রবৃদ্ধি হার Contribution of Electricity in GDP and it's Growth Rate
বিদ্যুৎ বর্তমান সভ্যতার অন্যতম চালিকা শক্তি । দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জ্বালানি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অবকাঠামোগত উপাদান । স্থির মূল্যে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ খাতের অবদান ১.৪৬ শতাংশ এবং “প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম” এবং “কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ" খাতের সমন্বিত অবদান ১.৬৪ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে (বিবিএস, সাময়িক হিসাব)। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ দুটি খাতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৭.৪০ শতাংশ ও ৫.২২ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে (বিবিএস, সাময়িক হিসাব) । কৃষি, শিল্প, পরিবহন ও যোগাযোগ, গৃহস্থালী, সেবাখাতসহ বিভিন্ন আয় বর্ধনকারী কর্মকাণ্ডে বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । গ্রামীণ অর্থনীতিতেও এ সকল উপাদানের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । তবে দেশের মোট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্তি এখনও পর্যাপ্ত নয় । এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে । বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে যেমন- পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শীপ (পিপিপি), রেন্টাল পাওয়ার প্রডিউসার (আরপিপি) ও ইণ্ডিপেডেন্ট পাওয়ার প্লান্ট (আইপিপি) নির্মাণে উৎসাহিত করার জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। অপরদিকে, কৃষি, শিল্প, পরিবহণ ও যোগাযোগ, গৃহস্থালী কাজে পেট্রোলিয়াম দ্রবাদি, গ্যাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জ্বালানির চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের ঘোষিত ভিশন- ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য এবং উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাহন হিসেবে বিদুৎ, তেল, গ্যাস ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণকল্পে সরকার বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালাদি সম্পদ খাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে । বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় গ্যাস সংকটকে বিবেচনায় রেখে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি তরল জ্বালানি, কয়লা, ডুয়েল ফুয়েল, LNG, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে ।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ও চাহিদা Electricity Generation Capacity and Demand
২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে সরকারি খাতে ৫,৮১২ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাতে ৪,৬০৪ মেগাওয়াটসহ মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১০,৪১৬ মেগাওয়াট । ২০১৪-১৫ অর্থবছরে (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত) দেশে সরকারি খাতে ৬,২০০ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাতে ৪,৫৬৫ মেগাওয়াট এবং ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিসহ মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ১১,২৬৫ মেগাওয়াট এ দাঁড়িয়েছে। অতি পুরানো হওয়ায় সরকারি খাতের কোন কোন বিদ্যুৎ ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা এবং এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে । গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির জন্য প্রকৃত বিদ্যুৎ চাহিদা মোটনো সম্ভব না হওয়ার লোড শেডিং অব্যাহত রয়েছে । বিগত কয়েক বছর ধরে উৎপাদন ঘাটতির কারণে প্রকৃত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্যাস সংকটে বন্ধ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে Liquified Natural Gas (LNG) সরবরাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন ও বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবারে (ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত) জ্বালানির ধরন ও মালিকানার ভিত্তিতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে লেখচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো ।
এছাড়া, বিদ্যুতের ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়ে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বছরওয়ারি বিদ্যুতের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা ও নির্ভরযোগ্য ক্ষমতা নিয়ে সারণিতে দেয়া হলো । বছরওয়ারি বিদ্যুতের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদা ও নির্ভরযোগ্য ক্ষমতা

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]