বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সড়ক পথের গুরুত্ব আলোচনা কর ।

সড়ক পথের গুরুত্ব Significance of Road Transport to the Economy of Bangladesh
পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতিতে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহ ব্যবস্থা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের রেল পরিবহণ ব্যবস্থা দেশের এলাকায় সম্প্রসারিত হয়নি।
অপরদিকে বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও নানা কারণে সর্বত্র নৌ পরিবহণে যাতায়াত করা সম্ভব নয় । ফলে পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে সড়ক পরিবহণের গুরুত্ব আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েই চলেছে। নিে তে সড়ক পরিবহণের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
১। কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ : বাংলাদেশের সকল অংশেই কৃষিজ পণ্য উৎপাদিত হয়। এ সকল কৃষিজ পণ্য অতিদ্রুত বাজারে বা বন্দরে পৌঁছাতে হয়। বাংলাদশে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণেও সড়ক পথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্য সমূহ তথা ধান, পাট, তামাক,ডাল, সবজি, মাছ ইত্যাদি অধিকাংশই সড়কপথে স্থানান্তর করা হয় ।
২। শিল্পপণ্যের বাজারজাতকরণ : বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চলগুলো দেশের কয়েকটি বিশেষ স্থানে গড়ে ওঠেছে। এ সকল শিল্পাঞ্চলে উৎপাদিত সামগ্রী সরাদেশেই ব্যবহৃত হয়। কোন কোন শিল্পপণ্য বিদেশেও রপ্তানি হয়। শিল্পকেন্দ্র হতে উৎপদিত পণ্যসামগ্রী বাজারে বা বন্দরে প্রেরণ করতে সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৩। কৃষি উন্নয়ন ঃ কৃষি উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা। বাংলাদেশের জেল সদরগুলো থেকে প্রায় প্রতিটি থানাতেই উন্নত সড়ক যোগাযোগ ববস্থা রয়েছে। এ সকল সড়ক পথের মাধ্যমে কৃষি উপকরণাদি তথা সার, বীজ, কীটনাশক ঔষধ, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, মাড়াই কল প্রভৃতি কৃষকদের কাছে পৌছানো হয় । ফলে দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষির উন্নয়ন ঘটে ।
৪। শিল্প উন্নয়ন ঃ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন শিল্পোয়নের পূর্বশর্ত । যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্ত্রতম মাধ্যম সড়ক যোগাযোগ । বাংলাদেশের প্রতিটি শিল্প এলাকা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা ভোগের জন্য মহাসড়কের সন্নিকটেই গড়ে ওঠেছে । বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলোতে কাঁচামাল সরবরাহ করে সড়ক পথ শিল্পোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে পাট, চামড়া, ইক্ষু প্রভৃতি গ্রামাঞ্চল হতে সড়কপথেই শিল্পকেন্দ্রে প্রেরিত হয় ।
৫। সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়কপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । দেশের সর্বত্র সড়ক পথ উন্নতি লাভ করলে শিল্পকারখানা দেশের সর্বত্র সমভাবে গড়ে ওঠে। ফলে শিল্পোন্নয়নে গ্রাম ও শহরের ব্যবধান দূর হয় এবং দেশে সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় ।
৬। বনজ সম্পদের ব্যবহার : বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার, খুলনা প্রভৃতি এলাকায় প্রধানত বজন সম্পদ গড়ে ওঠেছে। এ সকল বজন সম্পদের সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সড়ক পরিবহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এ সকল এলাকায় রেলপথও নির্মাণ করা সম্ভব নয় । ফলে সড়কপথই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ।
৭। দ্রব্যমূল্যের সমস্যা ঃ বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ। এদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অধিকাংশই বিদেশে থেকে আমদানি করতে হয় । আমদানিকৃত সামগ্রী বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরভাগে ভোক্তাদের নিকট পৌছাতে সড়ক পথ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল সড়ক পথ দ্বারা সংযুক্ত থাকায় শহরাঞ্চলের শিল্পপণ্য গ্রামাঞ্চলে এবং গ্রামাঞ্চলের কৃষিপণ্য শহরাঞ্চলে অতিসহজে সরবরাহ করা যায় । এতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকে ।
৮। কর্মসংস্থান ঃ কর্মসংস্থানে সড়ক পরিবহণের গুরুত্ব অপরিসীম । বাংলাদেশে সড়ক পরিবহণের সাথে যুক্ত থেকে হাজার হাজার লোক তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এছাড়া পরিবহণ সামগ্রীর কেনাবেচা, আমদানি-রপ্তানি এবং গ্যারেজ বা রিপেয়ারিং শপের সাথেও বহু লোক জড়িত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। মোটকথা সড়ক পরিবহণ বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস।
৯। রাজনৈতিক গুরুত্ব ঃ জাতীয় প্রতিরক্ষা, অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃংখলা রক্ষা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য সড়ক পরিবহণ একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের তিন দিকেই সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত। ফলে সড়ক পথের মাধ্যমেই রাজধানীর সাথে সীমান্তের যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশের সড়ক পথের রাজনৈতিক গুরুত্বও অনেক ।
১০। সামাজিক সুবিধা ঃ বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের জ্ঞানার্জন, সামাজিক পরিবর্তন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন এবং মানুষের কৃষ্টিগত আদান- প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ।
১১। গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগাযোগ ঃ বাংলাদেশের শতকরা ৮০ জন লোক গ্রামে বাস করে কৃষিভিত্তিক গ্রাম ও শহরের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ স্থাপন করে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়ক পরিবহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । গ্রামাঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য শহরে আনয়ন, গ্রামের জনগণের বিভিন্ন কাজে যেমন-অফিস-আদালতের কাজ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধা গ্রহন প্রভৃতির জন্য অতি সহজে সড়ক পথের মাধ্যমে শহরে আগমন করতে পারে। এর ফলে একদিকে যেমন শহর ও গ্রামের মধ্যে সংস্কৃতির আদান- প্রদান সম্ভব হয় অপরদিকে শহর ও গ্রামের ব্যবধানও হ্রাস পায়।
১২। স্বাস্থ্য সুবিধা ঃ বাংলাদশে আধুনিক স্বাস্থ্য সুবিধা বর্তমানে প্রায় সকল ইউনিয়নে সম্প্রসারিত হয়েছে । ফলে গ্রামের লোকেরাও স্থানীয় স্বাস্থকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য সুবিধা গ্রহণ করছে । বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছাতে সড়ক পথের অবদান বেশি ।
উপরের আলোচনা থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রের উন্নয়নেই সড়ক পথ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থার অনুন্নতির কারণ/সমস্যা/অনগ্রসরতার কারণ Problems of Road Transport in Bangladesh
বাংলাদেশের কৃষি ও শিল্প উন্নয়নে তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়ক পরিবহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের সড়ক পথ উন্নতি লাভ করতে পারেনি । নিম্নে বাংলাদেশের সড়ক পথের অনুন্নতির কারণগুলো বর্ণনা করা হলো ।
১। নদ-নদীর অবস্থান ঃ বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের উপর দিয়ে প্রায় ২৩০টি ছোট বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও এদেশে রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল, ডোবা-নালা বা অন্যান্য জলাশয়। এ সকল প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে সড়ক পথ নির্মাণ করা খুবই কঠিন কাজ। প্রতি পদক্ষেপেই সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া একল স্থানে সেতু বা কলভার্ট নির্মাণ করাও সম্ভব নয় । ফলে এদেশের সড়ক পথ এখনো উন্নতি লাভ করতে পারেনি ।
২। প্লাবিত এলাকা : বর্ষাকালে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। এছাড়াও প্রতি বছর বাংলাদেশে একাধিকবার বন্যা দেখা দেয়। অত্যধিক প্লাবনের ফলে আবার রাস্তাগুলো প্রায় বসে পড়ে। ফলে রাস্তাগুলো অনেক উঁচু করে নির্মাণ করতে হয়। উঁচু রাস্তা নির্মাণ করা অত্যন্ত সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ ।
৩। বৈদেশিক সাহায্য : বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। বৈদেশিক সরকার ও এজেন্সিগুলো দেশের উন্নয়নের অংশীদার। সড়ক পথের উন্নয়নেরও সিংহভাগ আসে বিদেশী সাহায্য থেকে। অথচ এ বিপুল পরিমাণ অর্থ কোন একক দেশের পক্ষে বহন করা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অনেক সময় দাতাদেশ ও সংস্থাসমূহ সাহায্যের জন্য নানারূপ শর্তারোপ করে। যা একটি স্বাধীন দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় । এতে দেশে সড়ক উন্নয়ন ব্যাহত হয় । তাছাড়া প্রতিশ্রুত অর্থ যথা সময়ে ও যথা নিয়মে না পেলেও দেশের সড়ক উন্নয়ন বিঘ্নিত হয় ।
৪। মৃত্তিকার বিশেষত্ব : নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় এদেশের মাটি, বালি ও দো-আঁশ শ্রেণীভুক্ত। ফলে মাটি নরম প্রকৃতির। প্রতি বছর বন্যার সময় এদেশের সড়ক পথের ব্যাপক ক্ষতি হয়। রাস্তা ভাঙ্গা ছাড়াও কিছু কিছু পুল বা কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং মৃত্তিকার বিশেষত্ব এদেশের সড়ক উন্নয়নে অন্যতম বাধা।
৫। জমি হুকুম দখলে অসুবিধা ঃ সড়ক পথ নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জমির প্রয়োজন হয়। সাধারণত জনস্বার্থে সরকার মালিকগণের নিকট থেকে এসব জমি হুকুম দখল করে। তবে কখনো কখনো কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জমি হুকুম দখল করতে গেলে নানান প্রতিবদ্ধকতা ও জটিলতার সৃষ্টি হয় । অনেক সময় হুকুম দখলকারীরা এসব ব্যক্তিদের নিকট নতি স্বীকার করে পার্শ্ববর্তী জমি হুকুম দখল করে । এতে রাস্তার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয় । শুধু তাই নয় আইনগত জটিলতার কারণে অনেক সময় অসমাপ্ত রাস্তা বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। সুতরাং জমি হুকুম দখলে প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশের সড়ক পথের অনগ্রসরতার অন্যতম কারণ ।
৬। ভূ-প্রকৃতি ঃ বাংলাদেশের সমতল ভূমি এলাকার ওপর প্রবাহিত হয়েছে অসংখ্য নদনদী, খালবিল ইত্যাদি । ফলে এদেশের মাটি নরম প্রকৃতির। রাস্তা নির্মাণ করতে অনেক উঁচু করে মাটি ভরাট করতে হয় । এছাড়া বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার প্রভৃতি জেলার পাহাড়িয়া অঞ্চলে রাস্তাঘাট নির্মাণ করাও অত্যন্ত ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। বাংলাদেশের উপকূলীয় ও বনাঞ্চলের অভ্যন্তরভাগে রাস্তা নির্মাণ করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় ।
৭। অর্থের অপ্রতুলতা : বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ। এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ও খুব কম । দেশের অধিকাংশ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। মানুষের আয় কম বলে সঞ্চয় কম এবং বিনিয়োগও কম । ফলে দেশের সড়ক পথ প্রশস্ত, আধুনিকায়ন, ব্রীজ নির্মাণ ইত্যাদি কাজের জন্য সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে পারে না। আমরা আজও পদ্মা নদীর ওপর সড়ক পথের সেতু নির্মাণ করতে পারিনি । ফলে ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেতে এখনো নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩-৪ ঘন্টা বেশি সময় ব্যয় হয় । বাংলাদেশের পর্যাপ্ত অর্থ ও প্রযুক্তি থাকলে অনেক আগেই এ সেতু নির্মিত হতো ।
৮ । জলবায়ু ঃ বাংলাদেশে বিরাজিত জলবায়ুও এদেশের সড়ক পথের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে । গ্রীষ্মকালের উচ্চ তাপমাত্রা এদেশের পাকা রাস্তাগুলোর পিচ নষ্ট করে। ফলে রাস্তার উপরিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে । অপরদিকে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ।
৯। যন্ত্রপাতির অভাব : সড়ক পথ নির্মাণ করতে পাথর ভাঙ্গা যন্ত্র, মিক্সার যন্ত্র, মাটি কাটা যন্ত্র, রাস্তা কার্পেটিং যন্ত্র ইত্যাদি ভারী ও হাল্কা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। বাংলাদেশকে এসব যন্ত্রগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা অনেক কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।
১০। নির্মাণ সামগ্রীর অভাব ঃ সড়ক পথ নির্মাণ করতে ইট, বালি, সিমেন্ট, পিচ, নুড়ি পাথর ও রডের প্রয়োজন। এসব উপকরণের মধ্যে এদেশে সিমেন্ট, পিচ ও রডের বড় অভাব। ফলে এদের যোগান অনিয়মিত । এসব নির্মাণ সামগ্রী আমদানি করতে বাংলাদেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। এসব কারণে সড়ক পথের উন্নয়ন ব্যাহত হয় ।
১১। প্রাকৃতিক বাধা ও প্রতি বছর বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের সড়ক পথ বিনষ্ট হয়। বিশেষ করে সড়ক পথের ছোট ছোট পুলগুলো ভেঙ্গে সড়ক পথ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসব রাস্তা মেরামত করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন । অর্থাভাবে অনেক সময় এসব রাস্তা দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে ।
১২ । যানবাহনের অভাব ঃ বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এদেশে যানবাহনের সংখ্যা কম। ফলে সড়ক পথে প্রচন্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া স্বল্প সংখ্যক ফেরিও এদেশের সড়ক পথের উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]