বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য

ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ হতে বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে স্থলপথ, নৌপথ ও বিমানপথ এ তিন ভাগে ভাগ করা হলেও পরিবহণ ব্যবস্থার ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায় ।
পরিবহণ ব্যবস্থা
স্থলপথ
নৌপথ
খাল
নদী
মানুষ পরিবহন
জীবজন্তু
পাইপ লাইন
আকাশপথ
হ্রদ .
উপকূলীয় নৌপথ
সড়ক
রেলপথ
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে অসংখ্য খাল বিল, নদী নালা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের সকল পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে নৌ পরিবহণের গুরুত্ব বেশি। নদীপথে অতি সহজে এবং স্বল্প ব্যয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবাহিত হয় । বাংলাদেশে সর্বত্র নদী নালা, খাল বিল থাকায় এখানে সড়ক ও রেলপথ উন্নতি লাভ করতে পারেনি । অবশ্য বর্তমানে বাংলাদেশের নদীগুলোর তলদেশ পলিতে ভরে যাচ্ছে এবং সড়ক পরিবহণের উন্নতি সাধন করা হচ্ছে । ফলে পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে নৌ পরিবহণের গুরুত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ।
বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য Nature and Characteristics of Bangladesh Transport System
বাংলাদেশে যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থায় নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ দেখা যায় ৷
১। অনুন্নত যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থা : দেশের উন্নয়নের জন্য উন্নত যাতায়াত ও পর্যাপ্ত পরিবহণের বিকল্প নেই । ঔপনিবেশিক শাসন আমল অবসানের পর রেল যোগাযোগের আশানুরূপ উন্নতি না হলেও সড়ক পথের অনেক উন্নতি ঘটেছে। খুব পর্যাপ্ত না হলেও এ বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা লক্ষ্য করা > গেছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক পথে নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্থানীয় নদ নদীগুলো মজে যাওয়ার কারণে নৌ যোগাযোগ প্রায় ঋতুভিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের নদ নদীগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়াতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন ।
২। পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাব ঃ দেশে যানবাহনের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে বিনিয়োগের হার অতি কম । বিশেষ করে যাত্রীবাহী গাড়ীর সংখ্যা অতি অল্প। সড়ক পথে যে সকল যানবাহন চলাচল করে তার অধিকাংশ মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে চলাচলের অযোগ্য। সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরটিসি, রেল বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ সংস্থা দেশের চাহিদার তুলনায় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। রাজপথের প্রায় অনুপযোগী যানবাহন দ্বারা নগদ চাহিদা মিটানো হচ্ছে বলেই জন নিরাপত্তার বিষয়টি বরাবর উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে । ৩। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিশ্চয়তা ঃ উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ভাল যোগাযোগের বিষয়কে সকল অর্থনীতিবিদরা স্বীকার করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধারণা তেমন বিস্তার লাভ করেনি। মালিকগণ নিজেদের মর্জিমত সময় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । কেবল মুনাফা অর্জনই এদের লক্ষ্য। খোদ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন রেল বিভাগও সময়ানুবর্তিতার প্রতি প্রায়ই অমনোযোগী হতে দেখা যায়,
৪। যাতায়াত ব্যবস্থার শ্রেণীভেদ ঃ এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হয় । নদীমাতৃক দেশ বলেই অনেক অঞ্চলে নৌকা ছাড়া আর অন্য কোন যানবাহন থাকে না। মানুষ বহনকারী পাল্কী, পশু চালিত গাড়ী, দাঁড়টানা নৌকা থেকে শুরু করে ইঞ্জিন গাড়ী, উড়োজাহাজ ইত্যাদি যানবাহন এদেশে দেখা যায় ।
৫। যাতায়াত ব্যবস্থায় বহুমুখী কৰ্তৃত্ব ঃ ট্রাফিক আইনে বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থায় বহুমুখী মালিকানা স্বীকৃত । একমাত্র রেল ও বিমান পথকে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন রেখে নৌ ও সড়ক পথে বিনিয়োগের জন্য সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানা, সমবায় সমিতি কিংবা সংস্থাকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। অতি লাভজনক বিনিয়োগ জেনেও ব্যবস্থাপনার জটিলতার জন্য সাধারণ লোকজনকে এ ব্যবসায় এগিয়ে আসতে দেখা যায় না । অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুটি কয়েক ব্যক্তি কিংবা সংস্থা দ্বারা এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে, তাই একচেটিয়া বিনিয়োগের ফলে পরিবহণের গুণগত মানের বিষয়টি প্রায় অবহেলিত থেকে যাচ্ছে ।
৬। অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট ঃ সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট দেখার অভিজ্ঞতা প্রতিটি, বিবেকবান নাগরিকেরই রয়েছে । শহরাঞ্চলের চলমান গাড়ীর সংখ্যা অনুসারে রাস্তাঘাট প্রশস্ত না হওয়ায় যাতায়াত সহজে ও দ্রুততার সাথে করা যায় না । আন্তঃজেলা সড়কপথগুলো প্রায় একই রকম। ভারী দুটো গাড়ী অতি সহজে পাশাপাশি অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব । রেলপথের অবস্থা বেশ অনুন্নত । কেবল একটি লাইন দ্বারা উভয় দিকেই গাড়ী আসা যাওয়া করে । তাই গাড়ীর নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা অনেক সময় সম্ভব হয় না ৷
৭। মৌসুমী যোগাযোগ ব্যবস্থা ঃ বাংলাদেশের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল বর্ষাকালে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে । এ সময়ে নৌ পথের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় । বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালামাল আমদানি রপ্তানির জন্য খুব কম খরচে এ পথকে ব্যবহার করা হয় । দেশের অনেক নিম্নাঞ্চলে নৌ-যোগাযোগ ছাড়া বিকল্প থাকে না । পশুশক্তি চালিত পরিবহণ দ্বারা মালামাল আনা নেওয়ার কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ব্যয় হ্রাসের জন্য নৌপথ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এদেশের নদ নদীসমূহ সংস্কারের অভাবে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে । ট্রাফিক আইন নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি দ্বারা আইনের যথাযথ পরিপালন হচ্ছে না। সে সাথে চালকদের অদক্ষতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে সড়ক ও নৌপথের অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে ।
যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থার গুরুত্ব Importance of Transport System to the Economy of Bangladesh
নিম্নে তে পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
১। শিল্পায়ন ও উন্নয়ন খাত হিসেবে কৃষির পরে শিল্পের স্থান। শিল্প স্থাপন করে অর্থনৈতিকভাবে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য উন্নত পরিবহণ ও যোগাযোগের বিকল্প নেই। পণ্যের স বাজারজাত সম্ভব হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা লাভবান হবে। চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং নতুন শিল্প স্থাপিত হয়ে অর্থনীতিতে স্বাচ্ছন্দ ফিরে আসবে ।
২। বাজার ব্যবস্থার উন্নতি : বাজার ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ভাল যোগাযোগ এবং পর্যাপ্ত পরিবহণের জুড়ি নেই। দেশের দূর দূরান্তের কৃষিপণ্য শহরে এবং শহরের শিল্পপণ্য গ্রনে আনা নেয়ার ফলে উভয়ে লাভবান হতে পারে । এতে দেশে নতুন নতুন বাজার গড়ে উঠে এবং কখনো কোন কোন বাজারের গুরুত্ব বেড়ে যেতে পারে ।
৩। খাদ্য ঘাটটি পূরণ : খাদ্য ঘাটতি পূরণের জন্য বিতরণ ব্যবস্থায় সমতা আনয়ন একটি অপরিহার্য বিষয়। উৎপাদনে কোথায় উদ্বৃত্ত, কোথাও ঘাটতি ইত্যাদি থাকা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে সহজ পরিবহণ সকল স্থানের মধ্যে পণ্য বিতরণে সমতা ফিরিয়ে আনতে পারে । ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দায়ী করা চলে । তাই দেশের যে কোন অঞ্চলের সাথে সহজ যোগাযোগের বিকল্প চিন্তা করা যায় না ।
৪ । শ্রমের গতিশীলতা ঃ উন্নত যাতায়াত ও পরিবহণ ব্যবস্থা শ্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। উদ্বৃত্ত শ্রম শক্তিকে কাঙ্খিত অঞ্চলে স্থানান্তরের জন্য সহজ ও উন্নত যোগাযোগের অবদান অপরিসীম । এতে দেশের সকল অঞ্চলে মজুরী হারের সমতা বজায় থাকে। তাছাড়া প্রকৃতির গঠন অনুসারে এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষিকাজ বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে । সে জন্যই বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষ দূরবর্তী অঞ্চলে শ্রম বিনিয়োগের আশায় যাতায়াত করে বিধায় বেকার সমস্যার লাঘব হওয়ার সুযোগ ঘটে ।
৫। বণ্টনের ভারসাম্য : রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভোগের অধিকার দেশে সকল নাগরিকের জন্য সমান। সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগের জন্য গ্রামীণ পর্যায়ে ভাল যাতায়াত ব্যবস্থা থাকা চাই । শহর থেকে থানা কেন্দ্র পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা গেলে বেশির ভাগ জনসাধারণ উপকৃত হবে । এতে গ্রাম ও শহরের অধিবাসীদের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবধান কমবে ।
৬। জরুরি অবস্থার মোকাবেলা : বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, মহামারী, অগ্নি ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত অঞ্চলে জরুরি সাহায্য পৌছানোর জন্য উন্নত যোগাযোগ ও পর্যাপ্ত পরিবহণ অপরিহার্য। ত্রাণ কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা উচিত । দেশের নাব্য নদীসমূহ যে সকল এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সে সকল অঞ্চলে কম খরচে সাহায্য পৌঁছানোর কাজ ত্বরান্বিত
করা যায়।
৭। রাজনৈতিক গুরুত্ব : রাজনৈতিক কারণে উন্নত যাতায়াতের গুরুত্ব অপরিসীম । বহিঃআক্রমণ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশ গ্রহণের জন্য জনগণকে যোগ্য করে গড়ার ক্ষেত্রে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের চলাচল গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে গচেতন নাগরিকেরা দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিষয়ের উপর অধিকার প্রয়োগে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা দেশ উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবে ।
৮। সামাজিক গুরুত্ব ও দেশে ভাল যাতায়াতের উপর সামাজিক গুরুত্ব বহুলাংশে নির্ভর করে । বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে জনসাধারণ জ্ঞানী ও শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত হয়ে উঠে। যে অঞ্চল যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নত সেখানে নানান ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে । এর ফলে অঞ্চলের সামাজিক চেহারার পরিবর্তন ঘটে। দূর দূরান্তে ভ্রমণের সুবিধা বিদ্যমান বলেই পারস্পরিক সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অসে । তাছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয় ।
৯। উন্নয়নের ভারসাম্য ও উন্নয়নের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের সকল অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ থাকা উচিত । অপেক্ষাকৃত উন্নত যোগাযোগের কারণেই দেশের কিছু কিছু এলাকাসমূহ রাতারাতই শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিণত হতে পারে। দেশের সকল অঞ্চলের মধ্যে উন্নয়নের সমতার জন্য পরিবহণ ও ভাল যোগাযোগ অপরিহার্য ।
১০। শিক্ষার ক্ষেত্রে ঃ দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিতের হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। যোগাযোগের সুবিধা থাকলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছাত্ররা স্কুল কলেজের সুবিধা লাভ করে ক্রমেই উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
.
সর্বোপরি দেশের বেকার সমস্যা নিরসনের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে । উৎপাদন ও বাণিজ্যিক সুবিধা পেলে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা কলকারখানা স্থাপনে আগ্রহী হবে। মানুষ নিজ ক্ষমতানুসারে ছোট-খাট ব্যবসা বাণিজ্যে নিয়োজিত হবে। দেশে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে বর্ধিত শ্রমশক্তির কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের উপর থেকে নির্ভরশীলতা অনেকটা কমে আসবে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]