বাংলাদেশের বহিঃবাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর Chittagong Sea Port
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর। এটি কর্ণফুলি নদীর মোহনা হতে প্রায় ১৩ কি.মি. অভ্যন্তরে অবস্থিত। দেশের আমদানি বাণিজ্যের ৮৫ ভাগ এবং রপ্তানি বাণিজ্যের ৮০ ভাগ এ সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর পোতাশ্রয় অত্যন্ত উৎকৃষ্ট ও স্বাভাবিক। সমগ্র বাংলাদেশ এর পশ্চাতভূমি। পূর্বে এটি বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক বন্দর ছিল।। কিন্তু ১৯৫০ সালে মংলা বন্দর নির্মিত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চাতভূমি সামান্য হ্রাস পেয়েছে। চট্টগ্রাম একটি প্রথম শ্রেণীর সামুদ্রিক বন্দর। একে বাংলাদেশের প্রবেশ যার বলা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ বন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এর কর্মচঞ্চলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেলপথ ও সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। পণ্যদ্রব্য আমদানি ও রপ্তানি সুবিধা ভোগের জন্য এ অঞ্চলে অনেকগুলো শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে ।
বাংলাদেশের বহিঃবাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব Importance of Chitagong Port to the External Trade of Bangladesh
বাংলাদেশের বহিঃবাণিজ্য তথা গোটা অর্থনীতিতেই এ বন্দরের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। বাংলাদেশের আন্ত জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এ বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। প্রধান প্রধান রপ্তানিজাত দ্রব্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কাগজ, চামড়া, তামাক, চা ইত্যাদি । আমদানিকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য, কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, বস্ত্র, তুলা, ঔষধপত্র, খনিজ তেল, তেলবীজ, কেরোসিন, কয়লা, সিমেন্ট, বিলাস সামগ্রী ও ধাতব দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বন্দরের মাধ্যমে ১,৬৪২.১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ Chittagong Port Authority
বিশ্বের আধুনিক বন্দরসমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি অত্যাধুনিক বন্দর হিসাবে গড়ে তোলা চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঐ বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধির হার গড়ে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রাম এর মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ পরিচালিত হয়ে থাকে ।
সারণিতে ২০০৫-০৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের আয়-ব্যয়ের সার্বিক পরিসংখ্যান দেখানো হলো ।
মংলা বন্দর Mongla Port
খুলনা শহর থেকে প্রায় ৩২ কি.মি. দক্ষিণে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত ছিল চালনা বন্দর। কিন্তু চালনায় নদীর গভীরতা কম ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সুবিধার অভাব হেতু একে আরও ১৬ কি.মি. দক্ষিণে মংলা নামক স্থানে স্থানান্তর করা হয় এবং নাম দেওয়া হয় মংলা বন্দর। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর। ১৯৫০ সালের ৮ ডিসেম্বর এটি জাহাজ চলাচলের জন্য খোলা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মব্যস্ততা হ্রাস করা এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য এ বন্দর নির্মাণ করা হয় ।
সুবিধা ঃ এ বন্দর নির্মাণের ফলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য অত্যন্ত সহজ হয়েছে। সমুদ্র পথে রপ্তানি বাণিজ্যের ১৩% এবং আমদানি ও রপ্তানির প্রায় ৮% মংলা বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় । বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল এবং উত্তর অঞ্চলের মধ্যে নৌপথে পণ্য বিনিময় সহজতর করেছে। আমদানিজাত পণ্যগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরবরাহ করা অত্যন্ত সহজ। পক্ষান্তরে রপ্তানিজাত পণ্যসামগ্রীও অল্প খরচে বন্দর আনয়ন করা যায় ।
এ বন্দরের প্রধান অসুবিধা হলো সড়ক ও রেলপথের অভাব। এ বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্যগুলো হলো কলকব্জা, যন্ত্রপাতি, খাদ্যদ্রব্য, রাসায়নিক ও ধাতব পদার্থ, কয়লা, পেট্রোলিয়াম, বস্ত্র, তুলা ও ঔষধপত্র ইত্যাদি । রপ্তানিকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে পাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, মৎস্য, বনজ সম্পদ, সুপারি ও নারিকেল উল্লেখযোগ্য। বন্দরের সাথে দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ তেমন উন্নত নয়। ফলে এ বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখতে পারে না। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বন্দরের মাধ্যমে প্রায় ১৫৫.৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। তবে বন্দরের ব্যয় আরও বেশি ছিল।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ Mongla Port Authority
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে প্রাকৃতিক দূর্যোগমুক্ত বন্দর হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মংলা বন্দরের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এ বন্দরে ৩৫,৭৫২ বর্গমিটার এলাকায় বিস্তৃত ৩টি কন্টেইনার ইয়ার্ডে এক উচ্চতায় ২,১৮০টি টিউজ কন্টেইনার সংরক্ষণ এবং ৪টি ট্রানজিট শেড ও ২টি ওয়্যারহাউজে ৩৩,২৫৮ মেট্রিক টন কার্গো গুদামজাতকরণের সুবিধা রয়েছে। বিদ্যমান সুবিধায় মংলা বন্দর দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে এবং নেপাল ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাণিজ্য সেবা প্রদান করতে সক্ষম। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মোট ৩০.১৭ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য, ২৭,০৭৮টি টিউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে এবং ১০৪.৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। সারণিতে ২০১০-১১ হতে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত মংলা বন্দরের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের পরিসংখ্যান দেখানো হল ।
মংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য মোট ৬০৩.৬৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্পগুলোর জন্য ৬৬.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে । প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এ বন্দর দক্ষতার সাথে পরিচালিত হবে বলে আশা করা যায় । প্রকল্পভিত্তিক বিবরণ নিম্নরূপ ।
নেভিগেশনাল এইডস্ টু মংলা পোর্ট ঃ এ বন্দরে দিবা রাত্রি নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন জাহাজ চলাচল উপযোগী চ্যানেল চিহ্নিত করার লক্ষ্যে চ্যানেলে লাইটেড বয়া, মুরিং বয়াসহ বিভিন্ন ধরনের নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ২৩.০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ।
মংলা বন্দরে পশুর চ্যানেলের আউটার বারে ড্রেজিং ও মংলা বন্দরে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং সুবিধা সৃষ্টির জন্য নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটির অধীনে পশুর চ্যানেলের আউটার বার এলাকায় ৩১.৯৯ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং কার্য সম্পাদন এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য । প্রকল্প ব্যয় ১২২.৮২ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবার চ্যানেল এলাকায় ড্রেজিং : মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের পোতাশ্রয় এলাকায় নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪১.৯৬ লক্ষ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্য সম্পাদনের জন্য ১৩২.০৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ।
মংলা বন্দরের জন্য একটি কাটার সাকশান ড্রেজার, পাইলট ও ডেসপাচ বোট সংগ্রহ : মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণের লক্ষ্যে নিয়মিত ও নিরবিচ্ছিন্ন ড্রেজিং পরিচালনা এবং সমুদ্রগামী জাহাজ আনা-নেয়ার নিমিত্তে কাটার সাকশান ড্রেজার এবং পাইলট ও একটি ডেসপাচ বোট সংগ্রহের জন্য ৮২.৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে ।
পানি সম্পদ মন্ত্রানালয় এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের জন্য আনুসঙ্গিক সরঞ্জামাদি ও সুবিধাদিসহ ৬টি ড্রেজার সংগ্রহঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের জন্য আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি ও সুবিধাদিসহ ড্রেজার সংগ্রহের (বিআইডব্লিইটি এর জন্য ৩টি, বিডব্লিইডিবি' এর জন্য ২টি এবং মংলা বন্দরের জন্য ১টি) নিয়িত্তে ৬৩৮.২৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । ভারতের আর্থিক সহযোগিতায় গৃহীত এ প্রকল্পের অধীনে ১০৪.২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মংলা বন্দরের জন্য আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদিসহ ১টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) Bangladesh Shipping Corporation (BSC)
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক নৌপথে দক্ষ শিপিং সেবা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পদান করে থাকে । পুরাতন ও অলাভজনক জাহাজের সংখ্যা বিক্রির পর এ সংস্থার অধীনে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩টিতে (১০টি সাধারণ পণ্যবাহী, ১টি কন্টেইনারবাহী ও ২টি লাইটারেজ ট্যাংকার)। বিএসসি তাদের জাহাজের এ বহরের সাহায্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের মাত্র ৬-৭ শতাংশ পরিবহণ করতে সক্ষম। তবে মোট আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের অধিকাংশ নিজস্ব জাহাজে বহন করা বিএসসির মূল লক্ষ্য। ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ১৪ পর্যন্ত বিএসসি'র মোট আয়-ব্যয় ও লাভ-লোকসানের বিবরণ নিম্নের সারণিতে দেখানো হলো ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআইডব্লিইটিসি) Bangladesh Inland Water Transport Corporation (BIWTC)
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্পোরেশন সরকারি মালিকানাধীন বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ সংস্থা । ফেরি সার্ভিস, প্যাসেঞ্জার সার্ভিস, কার্গো সার্ভিস এবং শিপ রিপেয়ার সার্ভিস ইত্যাদি সেবা প্রদানের জন্য বিআইডব্লিইটিসি এর অধীনে বর্তমানে ১৮২টি জলযান রয়েছে ।
৪টি বিগত ২ বছরে বিআইডব্লিউটিসি প্রায় ৩৮.০১ কোটি টাকায় ৪টি নতুন ফেরি, ৪টি পন্টুন, ৪টি সি-ট্রাক, ওয়াটার বাস এবং ২টি ঘাট পন্টুনসহ সর্বমোট ১৬টি নতুন জলযান নির্মাণ করে বিভিন্ন সার্ভিসে নিয়োজিত করেছে । জলযানগুলো ফেরী ও যাত্রীবাহী সার্ভিসে বিশেষ ভূমিকা রাখছে । নির্মিত ৫টি ফেরি ও ৫টি পন্টুন পাটুরিয়া ও মাওয়া সেক্টরসহ অন্যান্য ফেরী ঘাটে ক্রমবর্ধিত যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে । ৪টি সি- ট্রাকের সংযোজনও বিভিন্ন দ্বীপাঞ্চলের মধ্যে উপকূলবাসীর দৈনন্দিন যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে । বিভিন্ন সার্ভিসে নিয়োজিত জলযানের বিবরণ সারণিতে এ দেখানো হলো
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় এবং নিজস্ব অর্থায়নে ২টি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ, ২টি রো রো ফেরি, ২টি কে-টাইপ ফেরি, ৬টি রো রো পন্টুন পুনর্বাসন এবং ৪টি সি-ট্রাক, ২টি ইউটিলিটি টাইপ-১ ফেরি, ২টি ইউটিলিটি টাইপ পন্টুন, ২টি ঘাট পন্টুন ও ২টি ওয়াটার বাস নির্মাণ করা হয়েছে । বিআইডব্লিউটিসি'র জনযান বহরে নতুন জলযানের সংযোজন, পুনর্বাসন এবং আধুনিকায়নের ফলে সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) Bangladesh Inland Water Transport Authority (BIWTA) সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ ব্যবস্থা, উন্নয়ন, সংরক্ষণ, পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করে থাকে । বিভিন্ন মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে। লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অবলুপ্ত নৌপ উদ্ধার ও বিভিন্ন নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, নিরাপদ নৌযান চলাচল নিশ্চিতকরণ, অভ্যন্তরীণ নে বন্দরসমূহের উন্নয়ন, ঢাকার চারপাশের নৌপথ সচলকরণ, অভ্যন্তরীণ নৌপথে কন্টেইনার পণ্য পরিবহণে, অবকাঠামো সৃষ্টি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট প্রণয়ন ইত্যাদি ।
২০১৪-১৫ অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে মোট ১০টি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত আছে । এসব প্রকল্পের বিপরীতে মোট ৪৭১.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অনুকূলে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট ৯০.৬৬ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় হয় ৩২০.৯৪ কোটি টাকা । বিআইডব্লিউটিএ'র আয় ব্যয়ের বিবরণ সারণিতে দেয়া হলো ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর অভ্যন্তরীণ নৌপথের বিভিন্ন স্থানের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ, খনন/ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ সহজতর করা এ কার্যক্রমের লক্ষ্য । ২০০৫-২০০৬ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন এর পরিমাণ সারণিতে দেখানো হল ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]