বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকা আলোচনা কর ।

যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব
Importance of Communication System to the Economy of Bangladesh আধুনিক কালে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উন্নত যোগাযোগ মাধ্যম ব্যতীত অসম্ভব। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা দূরকে করেছে নিকট, বিশ্বকে করেছে ছোট ও সংকুচিত । পৃথিবীর সকল উন্নত দেশগুলোর যোগযোগ ব্যবস্থা সর্বাধুনিক । নিম্নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব/ভূমিকা আলোচনা করা হল ।
১। দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশন ঃ তথ্য, সংবাদ আদান-প্রদান করা, আপনজনের খবরা-খবর, বিশ্বের সাথে পরিচিত হওয়া সবই দ্রুত পাওয়া যায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বারা ।
২। কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ঃ কৃষক ও ক্ষুদ্র পুঁজিপতিকে রেডিও-টিভির মাধ্যমে উপযুক্ত চাষাবাদ এবং বিনিয়োগ কৌশল শিক্ষাদানের মাধ্যমে দেশে কৃষি ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন সাধন করা যায় ।
৩। দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষা ঃ দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা যায়। এতে অসাধু ব্যবসায়ীগণ ক্রেতাকে ঠকাতে পারে না ।
৪। ব্যবসায়িক যোগাযোগ ঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায় সংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ ও এর উন্নয়ন সাধন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল
J
৫। প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন : যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, আদেশ, নিষেধ প্রভৃতি জনগণকে সঠিক সময়ে অবহিত করানো সম্ভব হয়। এর ফলে জনগণের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক নিবিড় হয় ।
৬। প্রাকৃতিক সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার : বর্তমান সময়ে উপগ্রহের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ করা হচ্ছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অনুসন্ধান করে তা উত্তোলনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধন করা যায় ।
৭ । প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ঃ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয় ক্ষতি কম হয়। কারণ এতে পূর্ব থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করে জানমাল রক্ষা করা যায়। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। অর্থাৎ আমরা এর সাহায্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাই।
৮। মানবাধিকারমূলক কর্মসূচি জোরদার ঃ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধ, বিবেকবোধ জাগ্রত করে সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করে লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে জনমত গঠন করা যায়।
৯। আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা স্থাপন ঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারকরণের দ্বারা বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয় । উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখে ।
১০। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে যোগাযোগ : উন্নত বেতার দ্বারা বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোর সাথে স্বাধীন, দ্রুত ও কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করা যায়। এর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যও প্রসার লাভ করার সম্ভাবনা থাকে ।
১১। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা স্থাপন : দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রম সম্পর্কে দ্রুত অবগত হওয়া এবং দেশের মধ্যে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া আবশ্যক ।
১২ । বিনোদনের মাধ্যম : রেডিও, টেলিভিশনের ন্যায় গণসংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে সেগুলোর মাধ্যমে জনগণকে জাতি গঠনমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করা যায়, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার জনগণকে কর্মচঞ্চল রাখতে সহায়তা করে ।
১৩। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ঃ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় যা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল ।
১৪ । অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঃ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের বিভিন্ন স্থানের সমস্য্যা ও উন্নয়নমূলক খবরা-খবর, আদান-প্রদান, অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের গতি প্রবাহ ও এর বিকাশ সাধনে যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মাধ্যম ।
উপরিউক্ত কারণসমূহের জন্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম ।
ট্রানজিট ও বাংলাদেশ Transit and Bangladesh
ট্রানজিট হচ্ছে 'একটি দেশের আভ্যন্তরীণ পথ দিয়ে অপর রাষ্ট্রের অতিক্রমণ বা চলাচলের আইনগত অধিকার। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা। পারস্পরিক যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহণের জন্য যখন দুই বা ততোধিক রাষ্ট্র চুক্তির মাধ্যমে একে অপরের আভ্যন্তরীণ ভূখন্ড বা পথ ব্যবহারের সুযোগ লাভ করে তখন তাকে ট্রানটিজ বলা হয় ।
ভারত তার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি প্রাদেশিক রাজ্য যথা আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুনাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও মনিপুরে পণ্যদ্রব্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহণের জন্য বাংলাদেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা চাচ্ছে । বর্তমানে ভারত এ সকল রাজ্যে বিমানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাঠিয়ে থাকে । কিন্তু বাংলাদেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা পেলে তার প্রচুর সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের সম্ভাব্য ট্রানজিট পথ নিম্নরূপ ।
১। ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত সড়ক পথ ।
২। ভারতের চালাবাজার থেকে বাংলাদেশের বেতুলী ফুলতলা পর্যন্ত সড়ক পথ । ৩। ভারতের গোজাডাঙ্গা থেকে বাংলাদেশের বুড়িমারি পর্যন্ত সড়ক পথ ।
৪ । ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের তেতুলিয়া পর্যন্ত সড়ক পথ ।
৫। ভারতের বারমোরা থেকে বাংলাদেশের চারগাও পর্যন্ত সড়ক পথ ।
৬। ভারতের পেট্রোপোল হতে বাংলাদেশের বেনাপোল এবং ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ সংযোগ ।
ভারত বাংলাদেশের নিকট এ পথগুলো ট্রানজিট হিসেবে প্রাপ্ত হলে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পরিবহণ করা অত্যন্ত সহজ হবে এবং এর ফলে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যয় হ্রাস পাবে। ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের ৭টি রাজ্যের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ হবে যা ভারতের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
ভারতকে ট্রানজিট দেয়ায় বাংলাদেশের স্বার্থ,
১। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং দু'দেশের মধ্যে বিরাজমান সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে ।
২। বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৮ (আট) শত কোটি টাকা ট্রানজিট ফি পাবে যা দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে ।
৩। ট্রানটিজ সুবিধা প্রদান করলে ট্রানজিটের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের জনশক্তি নিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে, যা দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে অবদান রাখবে ।
৪। ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি দূরকণের জন্য আমদানি হ্রাস করে ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যেতে পারে ।
৫। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে ভারতের উত্তর- পূর্বাঞ্চল থেকে সহজে বিভিন্ন পণ্য আমাদানি করতে পারবে । এতে দেশের প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হতে পারে ।
৬। ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ নেপাল, ভূটান এবং চীনে বাণিজ্যের জন্য ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা পেতে পারে ।
৭। সার্ক কাঠামোর আওতায় ট্রানজিট প্রদানের বিষয়টি স্বীকৃত বিধায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রয়োজনে ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করা হতে পারে ।
ভারতকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ ধীর নীতি অবলম্বন করছে। পর্যবেক্ষকগণ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে উহাতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে। তাদের অভিমতের কারণ নিম্নরূপ ।
(ক) তাদের দৃষ্টিতে ভারত বাংলাদেশের সাথে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আচরণ করে না । সুতরাং ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া যাবে না ।
..(খ) ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করলে যে কোন মুহূর্তে ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভূখন্ড দখল করতে পারে ।
(গ) ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করলে এ রুটে ভারত তার সামরিক সরঞ্জাম ও সৈন্য পরিবহণ করবে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্রোহ দমন করার জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করবে ।
(ঘ) অরুণাচল নিয়ে ভারত-চীন কোন সময় সংঘর্ষ আরম্ভ হলে সেক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশকে সামরিক কাজে ব্যবহার করবে, যার ফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হবে ।
(ঙ) ভারত ট্রানজিট সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের মতো মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানীদের স্থানে পরিণত হবে ।
ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য জাতীয় স্বার্থের আধিক্য রয়েছে কিনা তা বিবেচনা করে সরকার ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন ।
এশিয়ান হাইওয়ে ও বাংলাদেশ Asian Highway and Bangladesh
এশিয়ান হাইওয়ে হচ্ছে একটি প্রস্তাবিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় এশিয়ার দেশগুলো স্থলপথের অন্তর্ভূক্ত যার মাধ্যমে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে ভবিষ্যতে ইউরোপের সাথে যোগাযোগের সেতু স্থাপন করা যাবে। ১৯৫৬ সালে জাতিসংঘের ESCAP (Economic and Social Commission for Asia and the Pacific) এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এশিয়ান হাইওয়ে (Asian Highway) প্রকল্প গ্রহণ করে । আশির দশক থেকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, বাণিজ্যিক কারণে, পর্যটন বিকাশের জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এ গুরুত্ব অনুধাবন পূর্বক ESCAP পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে একটি এশিয়ান স্থলপথ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (Asian Land Transport Infrastructure Development ALTID) গ্রহণ করে । এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ।
১। ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ
২ । এশিয়ান হাইওয়ে বা এশিয়ান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা
৩। সীমান্ত পারাপারের সুবিধা এবং যানবাহন চলাচলের সুবিধা
এসব বিষয়গুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনের মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদনের দ্বারা নির্দিষ্ট ও নির্ধারণ করতে হবে। এশিয়ান হাইওয়ের আওতাভুক্ত রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৫। সরাসরি ২৫টি দেশের রাজধানীর সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা এশিয়ান হাইওয়ে কার্যক্রমের উদ্দেশ্য। এশিয়ান হাইওয়ের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪০ হাজার কিলোমিটার। এশিয়ান হাইওয়ের প্রধান রুট হচ্ছে সিঙ্গাপুর-দক্ষিণ এশিয়া-আফগানিস্তান-ইরান- ইউরোপ । বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলের উপর দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে প্রবাহিত হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি । তবে এক্ষেত্রে সম্ভাব্য পথ হচ্ছে,
১। ভারত হতে রংপুর হয়ে যমুনা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা হয়ে সিলেটের তামাবিল হয়ে উত্তর পূর্ব ভারত । ২। ভারত থেকে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা-সিলেটের তামাবিল হয়ে উত্তর পূর্ব ভারত । ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা সৃষ্টি হতে পারে । এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারলে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। এর মাধ্যমে-
১। এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, যার সুফল বাংলাদেশও ভোগ করবে ।
২। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বারান্বিত হবে । ৩। বাংলাদেশের শিল্প বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। ৪। বর্তমান Globalisation এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে ভোগ্যপণ্যের অবাধ বিনিময় প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে ।
বাংলাদেশ সরকার এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাতে চলে যায় সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধারণা, এশিয়ান হাইওয়ের প্রবেশাধিকারের ভিত্তিতে ভারত বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করবে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যের ( Seven Sisters ) বিদ্রোহ দমনের জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র চলাচল করতে থাকবে। তাছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ভারত বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে । তবে এরূপ অভিমত ও বক্তব্য রাজনৈতিক ।
এশিয়ান হাইওয়েতে অন্তর্ভূক্ত হলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে লাভবান হবে এবং বর্তমান বিশ্ব পরিমণ্ডলে (Globalization) প্রবেশাধিকার পাবে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]