মানব সম্পদ গঠনের নির্ণায়ক/মান্ডসমূহ Indicators of Human Resource Formation

১। প্রাথমিক, কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও যুগোপযোগী
২। দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী খাদ্য সমস্যায় ও পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত;
৩। সমাজে নারী ও শিশুদের অবস্থার উন্নয়নে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব রয়েছে। যেমন- নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কর্মজীবি মহিলাদের জন্য হোস্টেল সুবিধা, অসহায় ও নির্যাতিতা মেয়েদের আশ্রয়, চিকিৎসা, আইনগত ও সহায়তা প্রদান, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, শিশু শ্রম দূরীকরণ, শিশুর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও আশানুরূপ সফলতা অর্জন করতে পারেনি;
৪ । স্বাস্থ্য সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। মানব সম্পদের উন্নয়ন একটি উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাংলাদেশে এ খাতটি এখনও অবহেলিত। শিশু (১ থেকে ৪ বছর বয়সী) মৃত্যুহার হ্রাস, মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, ডাক্তার প্রতি জনসংখ্যা এখনও কাম্য পর্যায়ে উপনীত হয়নি;
৫ । এদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান নিম্ন। তাই এদের কর্মদক্ষতাও কম;
৬। যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নেরও সন্তোষজনক অবস্থান নেই। জনসংখ্যার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও উৎপাদনমুখী অংশ যুব সমাজ। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন সর্বতোভাবে যুব সমাজের কর্মস্পৃহা ও কর্মোদ্দীপনার উপর নির্ভরশীল। এ যুব সমাজকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন কর্মসূচি সুবিধাদী চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত ।
৭ । মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনীয় কর্ম-কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এদেশে সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে । ৮। সমাজকল্যাণ কার্যক্রম প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সমাজে কিশোর অপরাধ দূরীকরণ, প্রতিবন্ধীদের পুণর্বহাল, এতিমদের লালন-পালন, ভবঘুরেদের পুনর্বাসন, নিরাপদ আবাসনসহ বহুবিধ সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের অভাব তীব্রতর;
৯। মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য সর্বজন স্বীকৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় না। এদেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিকল্পনাও পরিবর্তিত হয় । এরফলে সম্পদের অপচয় হয় ।
উপরিউক্ত বিষয়সমূহ হচ্ছে বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের পথে অন্তরায় ।
১২.৮ বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের উপায়
Means of Human Resource Development in Bangladesh
বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে জনসাধারণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের উপায়সমূহ নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল ।
১। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা : দেশের সকল অনুর্ধ্ব ১০ বছর বয়স্ক ছেলে মেয়েদের জন্য সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা, একজন পুরুষকে শিক্ষিত করা হলে শুধুমাত্র একজন লোককেই শিক্ষিত করা হয়। একজন মহিলাকে শিক্ষিত করে তুলতে পারলে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা হয়। সুতরাং দেশের সকল নাগরিককে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানব উন্নয়ন Human Development ভূমিকা
Introduction

বর্তমান বিশ্বায়নের পটভূমিকায় মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব নতুন মাত্রা লাভ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মানব সম্পদ উন্নয়নও তাই অপরিবহার্য। এ কারণেই ১৯৯৫ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলন এর ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার শতকরা ২০ ভাগের অধিক হারে অর্থ সামাজিক খাতে ব্যয় করে আসছে। একই সঙ্গে মানব সম্পদ উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত খাতসমূহ যেমন- শিক্ষা ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারী ও শিশু, সমাজকল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষার সকল স্তরে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ প্রণয়নসহ বহুবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতকরা ৬০ ভাগ মহিলা শিক্ষক নিয়োগের বিধি প্রবর্তনের ফলে মহিলা শিক্ষকের হার ১৯৯১ সালে ২১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৬৪.২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয় ভর্তি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, উপবৃত্তি ও ছাত্র-শিক্ষক সংযোগ ঘন্টা বৃদ্ধির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে জেন্ডার বৈষম্য লোপ করে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সংখ্যা সাম্য অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলংকার পরেই বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে। যা স্বল্পোন্নত দেশসমূহের মধ্যে এক বিরল অর্জন। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে সরকার স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান করায় দেশের স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রজনন হার ও মৃত্যুহার কমেছে। গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ নবজাত শিশু ও মাতৃ-মৃত্যু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অপুষ্টির হারও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় অর্জিত সাফল্য অব্যাহত রেখে এ খাতের আরও উন্নয়নের জন্য ২০১১-২০১৬ মেয়াদে সমন্বিত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন সেক্টর কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারীদের শিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা ও জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১। এছাড়া শিশু স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা এবং শিশু কল্যাণের লক্ষ্যে ২০১১ সালে গৃহীত হয়েছে জাতীয় শিশু নীতিমালা-২০১১।
১। স্বাস্থ্য সুবিধা এবং সেবা- অর্থাৎ ঐসব ধরনের ব্যয় যা মানুষের জীবন প্রত্যাশা, শক্তি উদ্যম এবং জীবনী শক্তি প্রভাবিত করে;
২। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ স্তরে শিক্ষা সম্পর্কিত কর্মসূচি;
৩। কৃষি এবং অপরাপর ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কর্মসূচিসহ বয়স্কদের জন্য হাতে শিক্ষা;
৪ । কাজে নিয়োজিত অবস্থায় শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ;
৫ । পরিবর্তিত নিয়োগের সাথে সমন্বয়ের লক্ষ্যে ব্যক্তি এবং পরিবারের স্থানান্তর:
অধ্যাপক F. Harbison এবং C.A. Myers মানবীয় সম্পদ উন্নয়নের মানদন্ডকে বিস্তৃত অর্থে দু'ভাগে ভাগ করেন । যথাঃ
১ । ঐসব মানদন্ড যা দেশের মানবীয় মূলধনের স্টক পরিমাপ করে;
২ । অপরাপর মানদন্ড যা মানবীয় মূলধনের নীট স্টক পরিমাপ করে ।
Harbison এবং Myers বিভিন্ন দেশের মানবীয় সম্পদের মধ্যে তুলনা করার জন্য নিম্নের দুটি মানদন্ড উল্লেখ করেন।
১। অর্জিত শিক্ষার স্তর ঃ কোন দেশের মানবীয় মূলধন গঠনের হার অনেকটা নির্ভর করে সে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার উপর । যদি দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজন বেশি হয় তাহলে মানবীয় মূলধন গঠন উঁচু স্তরে নয় বলা যায় । দেশে উচ্চ শিক্ষার হার বেশি হলে মানবীয় মূলধন গঠন উঁচু স্তরের বলা যায়। কারণ এসব স্তরের লোকেরা বৈজ্ঞানিক, কারিগরী এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আসতে পারে ।
২। শ্রমশক্তির নিয়োগ স্তর ঃ দেশে বিভিন্ন স্তরে এবং বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষিত লোকজন থাকে । এদের সংখ্যা দ্বারা মানবীয় মূলধন গঠনের স্তর অনেকটা নির্ভর করে। যেমন- কোন দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকর্মী ইত্যাদি ধরনের জনশক্তি আপেক্ষিকভাবে বেশী থাকলে সেখানে মূলধন গঠনের হার বেশ উঁচু স্তরে আছে বলা যায় ।
বাস্তবে বিভিন্ন দেশের মানবীয় মূলধনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তাই Harbison এবং Myers নিম্নোক্তভাবে কোন দেশে মানবীয় মূলধন গঠনের হার পরিমাপের সুপারিশ করেছেন ।
১। ৫ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার শতকরা কতজন প্রাথমিক শিক্ষা লাভের জন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে তা সরকার বের করবেন ।
২। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের মোট ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যকার অনুপাত নির্ধারণ
৩। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে কতজন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিক রয়েছে তা নিরূপণ করা ।
৪। ১৫-১৯ বছর বয়সী লোকদের শতকরা কত ভাগ মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনায় নিয়োজিত রয়েছে তা নিরূপণ করা ।
৫। ২০-২৪ বছর বয়সী লোকদের শতকরা কত ভাগ উচ্চ শিক্ষার স্তরে প্রবেশ করেছে এবং পড়াশুনায় নিয়োজিত রয়েছে।
৬। প্রতি ১০ হাজার লোকের মধ্যে ডাক্তারের সংখ্যা কত ?
প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও সুশিক্ষিত মানব সম্পদ অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দক্ষ মানব সম্পদ ব্যতীত গতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান বিশ্বায়নের পটভূমিকায় মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব তাই নতুন মা লাভ করেছে। এ কারণে জাতিসংঘ ঘোষিত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস মানব কল্যাণ এবং দ বিমোচনকে বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে দিয়েছে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রশিক্ষিত ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের জীবনমান উন্নয়নে, দারিদ্র্য বিমোচনে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন এজেন্ডার মূল অঙ্গীকার হচ্ছে মান কল্যাণ। সরকার এ অঙ্গীকার অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচির দ্বারা সুবিধা বঞ্চিত ও দারিদ্র জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ।
মানব সম্পদ Human Resource
সাধারণ অর্থে কর্মক্ষম মানুষ অথবা শ্রমশক্তিকে মানব সম্পদ বলা যায়। কিন্তু অর্থনীতিতে মানব সম্পদ ধারণার সাথে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা জড়িত। কাজেই একটি দেশের উৎপাদনশীল ও দক্ষ শ্রমশক্তি বা জনশক্তিকে মানব সম্পদ বলা হয়। একটি দেশের ভূমি ও মূলধনকে বস্তুগত সম্পদ বলা হয় বিধায় তার প্রেক্ষিতে শ্রমশক্তিকে মানব সম্পদ বলা হয়। আধুনিক অর্থনীতিবিদ B.F. Kiker মনে করেন নিম্নোক্ত কারণে কর্মক্ষম মানুষকে সম্পদ হিসাবে নির্দেশ করা যায় ।
১ । মানুষকে গড়ে তোলা এবং শিক্ষিত করার জন্য এক ধরনের প্রকৃত ব্যয় আছে;
২। শ্রম দ্বারা উৎপাদিত পণ্য জাতীয় সম্পদের একটি অংশ;
৩। অপরাপ বিষয়সমূহ স্থির থাকলে কর্মক্ষম মানুষের উপর বিনিয়োগ করলে তা উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি করে।
মানব সম্পদকে আবার মানব মূলধন (human capital) হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ মানুষই অর্থনীতিতে মানব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত ।
অধ্যাপক F.H. Harbison এর মতে, “Process of acquiring and increasing the number of person who have the skills, education and experience which are critical for the economic and the political development of a country. Human capital formation is thus associated with investment in man and his development as a creative and productive resource."
মানব সম্পদ গঠনের নির্ণায়ক/মান্ডসমূহ Indicators of Human Resource Formation
যে সকল উপাদান মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে সেগুলোকে বলা হয় মানব সম্পদ গঠনের মানদন্ড/নির্ণায়ক। অধ্যাপক T. W. Schultx এ ধরনের পাঁচটি কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো মানব সম্পদ গঠনে সাহায্য করে। যেমন-

৩। ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম
৪। প্রতি হাজারে খুব মৃত্যুর হার ৫.৫ ভাগ,
৫। ৯৩% শিশু অপুষ্টি স্বীকার,
৬। গড় আয়ুস্কাল ৬৯.০ বৎসর।
৭। দেশের মোট শ্রম শক্তির শতকরা ৪০% দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে;
৮। প্রতি হাজারে ৫৩ জন শিশু এবং ৬ জন প্রসূতি মৃত্যুবরণ করে;
607
৯। কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর ২৩.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য আমদানি করতে হয়; ১০। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৮৭%;
১১। মোট ৫.৪১ কোটি শ্রম শক্তির মধ্যে ৩.৯৭ কোটি পুরুষ এবং মাত্র ১.৬২ কোটি মহিলা শ্রমিক; ১২। কুসংস্কার, কুশিক্ষা ইত্যাদি কারণে এদেশের জনসাধারণের সুপ্ত গুণাবলীর কাঙ্খিত বিকাশ ঘটে না । উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, অদক্ষ, প্রশিক্ষণবিহীন এবং তাদের উৎপাদনশীলতা খুবই কম। এ মানুষগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্খিত অবদান রাখার পরিবর্তে উল্টো নানা রকম প্রতিবন্ধকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে চলেছে। এ কারণে অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত, অদক্ষ এসব মানুষ বাংলাদেশে আজ 'দায়' বা 'বোঝা' (burden) হিসেবে বিবেচিত I

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]