বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব , প্রতিবন্ধকতাসমূহ

Necessity and Significance of Human Resource Development in Bangladesh বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মানব সম্পদ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । নিম্নে বাংলাদেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব আলোচনা করা হল ।
১। জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর : মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে সম্পদে বা জনশক্তিতে রূপান্তর করা যায় । কেননা উপযুক্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ পেলে মানুষ পরিবার, সমাজ, দেশ এমনকি আন্তর্জাতিকভাবে সম্পদ হিসেবে গণ্য হতে পারে ।
২। দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর তৈরি : উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একদল দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর গড়ে তোলা সম্ভব। দক্ষ শ্রমিক অর্থনীতির যে কোনো খাতে অদক্ষ শ্রমিকদের চেয়ে বহুগুণ বেশি অবদান রাখতে পারে ।
৩। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন : বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতে হলে মানব সম্পদের উপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রয়োজন । তাহলে বিভিন্ন পেশার দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির পাশাপাশি নিয়োগ এবং আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তেমন অবস্থায় জনগণের জীবযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
৪। জনশক্তি রপ্তানী বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ শ্রম শক্তি ও সেবা বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমানো যায়, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানো যায় ।
৫। সঞ্চয়, মূলধন গঠন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আয় বাড়িয়ে সঞ্চয় বাড়ানো যায় । এর ফলে মূলধন গঠন বাড়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় ।
৭। প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে কতজন বিভিন্ন স্তরে ডাক্তার রয়েছে তা নিরূপণ করা । উপরিউক্ত সাতটি পরিমাপের মধ্যে প্রথম তিনটিকে মানব সম্পদের আবশ্যিক মানদন্ড বলা হয়। শেষের
চারিটি অতিরিক্ত মানব সম্পদের মানদণ্ড বলা যায় ।
মানব সম্পদ উন্নয়ন Human Resource Development
মানব সম্পদ একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত । মানব সম্পদ ছাড়া উন্নয়নের অপরাপর উপাদান বিকল ও অকেজো হয়ে পড়ে থাকে । মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে অধিকতর দক্ষ ও বেশী উৎপাদনশীল করা যায। কাজেই কর্মক্ষম জনশক্তিকে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় মানব সম্পদ উন্নয়ন ।
অর্থনীতিবিদ জে.ডি.লেথি বলেন, “মানব সম্পদ উন্নয়ন যদি সামগ্রীক উন্নয়ন হিসেবে বিবেচিত হয় তাহলে তা মানুষের ভিতরে বিদ্যমান বুদ্ধি বৃত্তিক, কারিগরি, উদ্যোক্তা এমনকি নৈতিক সামর্থ্যগুলোর সর্বাধিক ব্যবহার বোঝায়-এটি নতুন নতুন সামর্থ্য সৃষ্টি বোঝায় ।
অর্থনীতিবিদ Gunar Myrdal মানব সম্পদ উন্নয়নের আটটি অপরিহার্য উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হল ।
১। খাদ্য ও পুষ্টি;
২ । বস্ত্ৰ;
৩। বাসস্থান ও তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা;
৪ । শিক্ষা;
৫ । স্বাস্থ্য সুবিধা;
৬। জনসংযোগ মাধ্যম;
৭। পরিবহণ এবং
৮ । শক্তি ভোগ ।
বাংলাদেশে মানব সম্পদের বর্তমান অবস্থা ও প্রকৃতি Present Condition and Nature of Human Resource in Bangladesh
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা হীনবল, কর্মোদ্যমহীন এবং সামগ্রীকভাবে অদক্ষ। বাংলাদেশের মানব সম্পদের গুণগতমান অনেক নিম্ন । এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশ যেমন- মালেয়শিয়া, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিংগাপুর প্রভৃতি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের উৎপাদনশীলতা অনেক কম । নিম্নে বাংলাদেশের মানব সম্পদের বর্তমান অবস্থার প্রকৃতি তুলে ধরা হল ।
১। বাংলাদেশে বর্তমানে একজন মানুষ গড়ে প্রতিদিন ১৮০৫ কিলো ক্যালরীর কম খাদ্য গ্রহণ করছে এমন জনসংখ্যা প্রায় ২০%;
২। ৭০% মা ও শিশু আয়োডিন ঘাটতিতে ভুগছে;
২। বয়স্ক নিরক্ষরতা দূরীকরণ ঃ আমাদের দেশের শিক্ষিতের হার মাত্র ৬৫%। দেশে বয়স্ক পুরুষদের চেয়ে বয়স্ক মহিলাদের নিরক্ষতার হার বেশি। এটা যে কোনভাবেই কমিয়ে আনতে হবে এবং বয়স্ক নারী-পুরুষ উভয়কেই স্বাক্ষর জ্ঞান হতে হবে।
৩। অপুষ্টি দূরীকরণ ঃ অপুষ্টি আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা। এ অপুষ্টির কারণে একটি মানব শিশুর মস্তিষ্ক পরিপূর্ণভাবে গঠিত হতে পারে না। অপুষ্টির কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে হাজার হাজার শিশু অন্ধ হয়ে সমাজের বোঝা হিসাবে দেখা দেয়। এই অপুষ্টি দূর করতে হবে।
৪। সবার জন্য ঋণ সুবিধা ঃ আমাদের দেশের জনসংখ্যার মাত্র ১% সরকারি চাকরি করে থাকে । সঙ্গত কারণেই সকলকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এবং এ সকল লোকের জন্য কর্মসংস্থান তথা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এই ঋণ যাতে সহজ শর্তে এবং দেশের সর্বত্র পাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা : নানা কারণে আমাদের দেশের লোকজন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। অনেক জায়গায় কোন ডাক্তার নেই । অর্থাভাবে অনেকেই ডাক্তার দেখাতে পারেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুর্গমতার কারণে অনেক রোগীই হাসপাতালে পৌছাতে পারেন না। সকল লোকের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিশেষ করে শিশুদের মারাত্মক ৬টি রোগের জন্য প্রতিষেধক টীকার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। নারী ও শিশু উন্নয়ন ঃ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারী শিক্ষা সম্প্রসারণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমেও মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব ।
৭। অবকাঠামোগত উন্নয়ন' : আর্থসামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটালে মানুষ আপনা থেকেই মানব সম্পদে পরিণত হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে মানব সম্পদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় ।
৮। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ঃ আমাদের দেশে একটি প্রচলিত কথা আছে, “জন্মসূত্রেই আমরা পেটের রোগ পেয়ে থাকি।” মূলত আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকই পেটের পীড়ায় ভুগে থাকে । এর অন্যতম কারণ বিশুদ্ধ পানির অভাব । তাছাড়া অভ্যাসের কারণে আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করি না । এতে নানা রোগ ছাড়ায়। আমাদের জনসাধারণের মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং শহর ও পল্লী উভয় অঞ্চলেই স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের প্রসার ঘটাতে হবে ।
৯। শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি : প্রচলিত, বিশেষায়িত, বয়স্ক এবং কারিগরী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো দরকার। কারণ শিক্ষার স্তর এবং প্রকৃতি মানুষকে তার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে সে যে কোনো কাজ আয়ত্বে আনতে পারে।
১০। মৌলিক চাহিদা পুরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ ঃ মানুষের কর্মদক্ষতা কিছু মৌলিক চাহিদার উপর নির্ভর করে। যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির মৌলিক অভাব পূরণ হলে মানুষ দৈহিক ও
৬। অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ বর্তমানে রাস্তাঘাট, বাঁধ, বৈদ্যুতিক প্রকল্প, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি নির্মাণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে জড়িত বহু ধরনের কর্মসূি হাতে নিচ্ছে। এসব কাজের জন্য বহু প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান, কেমিস্ট, সুপারভাইজার, ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক ব্যক্তি, হিসাবরক্ষক, পরিসংখ্যানবিদ, অর্থনীতিবিদ, ডাক্তার, সচিব ইত্যাদি ধরনের পেশাগতভাবে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোক প্রয়োজন ।
৭। উৎপাদন বৃদ্ধি ৪ মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক ও উদ্যোক্তা শ্রেণী তৈরি গম্ভব । শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়লে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাইলে মানব সম্পদের উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য ।
৮। পরিবেশ উন্নয়ন ও বাংলাদেশের নদী ভরাট, পাহাড় কেটে ফেলা, ভূমিধস, বনভূমি উজাড় ইত্যাদি নৈমিত্তিক ব্যাপার। তাই পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন করতে পারলে জনসচেতনতা বাড়বে এবং এর ফলে নদী ভরাট, বন উজাড়, বৃক্ষ নিধন, পাহাড় কাটা ইত্যাদি রোধ করে পরিবেশ এর উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে ।
৯। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভাষা ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র ভাঙ্গা সম্ভব। কেননা শিক্ষিত, দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকেরাই পারে দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্র ভেঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা সচল করতে। তাই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেেশ দারিদ্র্যর দুষ্ট চক্র ভাঙ্গার জন্য মানব সম্পন উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই ।
১০। খাদ্য ঘাটতি দূর ৪ কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং কৃষির সাথে জড়িত সকলকে উন্নত প্রযুক্তি ও উপশী বীজ এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে খাদ্য উৎপাদন অনেক বাড়ানো সম্ভব। কাজেই মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব। এর ফলে একদিকে খাদ্য আমদানি কমবে এবং অন্যদিকে দেশ মিতরে খাদ্য ঘাটতির অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে। দেশে অনাহার, অর্ধাহার ও দুর্ভিক্ষজনিত সমস্যা থাকবে না ।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যে কোন দেশের সার্বিক উন্নয়নে সেই দেশের জনসাধারণ প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। নানা রকমের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে তার সফল ব্যবহারের জন্য দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবার আগে মানব সম্পদ উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে এবং এই উন্নয়নের পথে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করতে হবে।
বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাসমূহ Obstacles to Human Resource Development
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। মানবীয় সকল কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্যই হল মানব সম্পদ উন্নয়ন । ব্যাপক অর্থে মানব উন্নয়ন হল জনসাধারণকে দীর্ঘ, সুস্বাস্থ্যময় এবং পরিপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ প্রদান। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, প্রশিক্ষিত ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে, দারিদ্র্য বিমোচনে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়নের পথ মসৃণ নয়। নানারূপ প্রতিবন্ধকতা এক্ষেত্রে রয়েছে। যেমন- তথ্যসমূহ মূল বাজেটভিত্তিক। সুখী, সমৃদ্ধ ও সংবেদশীল বাংলাদেশ গড়তে মানব সম্পদ উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নও মানব সম্পদ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম । অপরদিকে দেশের জনসংখ্যার বৃহদাংশই নারী, শিশু ও যুবক। তাদের সমস্যা এবং অসুবিধাসমূহকে সরাসরি চিহ্নিত করে উপযুক্ত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা ও সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হয়ে ওঠে। এজন্য মানব সম্পদ উন্নয়নের সাথে সম্পৃত্ত খাতসমূহের (শিক্ষা ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারী ও শিশু, সমাজ কল্যাণ, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান) ক্ষেত্রে কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]