বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা Health Condition of Bangladesh

নারী ও শিশু কার্যক্রম Women and Children Affairs
সম্প্রতি ঘোষিত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ এর আওতায় এদেশের নারীদের শিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার কাজ এগিয়ে চলছে । এছাড়া শিশু স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা এবং শিশু কল্যাণের লক্ষ্যে ২০১১ সালে গৃহীত হয়েছে জাতীয় শিশু নীতি । এছাড়া, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০' । নারী ও শিশুদের অবস্থার উন্নয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে তিনটি অধীনস্থ সংস্থা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে । এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল খাদ্য নিরাপত্তাহীন দরিদ্র মহিলাদের উন্নয়নে ভিজিডি কার্যক্রম, নারী নির্যাতনে মাল্টিসেক্টরাল প্রকল্প, পলিসি লিডারশীপ এন্ড এ্যাডভোকেসী ফর ডেন্ডার ইকুয়ালিটি (প্লাজ-২) প্রকল্প, শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা প্রকল্প ইত্যাদি । এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নধীন বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ, শিশুদের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সেলাই মেশিন বিতরণ ও বিধবা ভাতা কার্যক্রম সামগ্রিকভাবে নারী ও শিশু উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে । মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৪১২ টি উপজেলায়, জাতীয় মহিলা সংস্থা ৬৪টি জেলা ও ৪৮টি উপজেলায় এবং শিশু একাডেমি ৬৪টি জেলায় মহিলা ও শিশু উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে । ·
২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি'তে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৯টি প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে ২৮০.৭৪ কোটি টাকা এবং মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭৯.৫৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬৪ শতাংশ । প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৭৭৫০ জন মহিলাকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টি ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপিতে এ প্রকল্পের অনুকূলে ২৮৭.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
৬। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২০১১-১৪) এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধাদি সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন করে তথ্য জগতে তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠতে সহায়তা করা। প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত দশটি উপজেলায় ১০টি তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উক্ত ১০টি তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে মহিলাদের জন্য বছরে ১২০টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। প্রকল্প মেয়াদকালে সর্বমোট ১ লক্ষ মহিলাকে উক্ত সুবিধা প্রদানের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূলে ১৬৬.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
৭। অনগ্রসর, অবহেলিত, বেকার মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় মহিলা সংস্থা দর্জি বিজ্ঞান, এমব্রয়ডারী, ব্লক-বাটিক, চামড়াজাত শিল্প ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। জাতীয় মহিলা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একাডেমীর মাধ্যমে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৯৪ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এর অনুকূলে ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে ।
৮ । খাদ্য ও জীবিকার নিরাপত্তার লক্ষ্যে গৃহীত ফুড এন্ড লাইভলিহুড সিকিউরিটি (FLS) প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল উত্তর বঙ্গের তিনটি জেলার অতি দরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবনমানের উন্নয়ন সাধন । প্রকল্পটি নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ২২টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির উপকারভোগী ৮০,০০০ জন অতি দরিদ্র নারী। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূলে ৪,৭২৫.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে ।
৯ । প্রমোশন অফ জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড ওমেন্স এম্পাওয়ারমেন্ট প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও সচেতন করার জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সম্মেলন এবং সহায়তা সেবার মাধ্যমে আইন সংক্রান্ত, স্বাস্থ্য সহায়তা এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে । এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক আচরণ রোধকল্পে নারী পুরুষের মধ্যে সমতার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্য ও প্রজনন অধিকার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূল বরাদ্দ ৪৯৬.০০ লক্ষ টাকা ।
১০। পলিসি লিডারশীপ এন্ড এ্যাডভোকেসি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি (প্লাজ-২) প্রকল্পটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের Gender responsive budget এবং Gender responsive planning উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে আগ্রহী ভূমিকা পালন করে চলছে। জেন্ডার রেসপনসিভ প্ল্যানিংকে মেইনস্ট্রিমিং করার লক্ষ্যে জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমীর ক্যারিকুলামে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি জুলাই ২০০৬ থেকে জুন ২০১২ মেয়াদে বাস্তয়ায়িত হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ রয়েছে ৫৯৮.০০ লক্ষ টাকা ।
১১। চাকুরি বিনিয়োগ তথ্য কেন্দ্র এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত, দক্ষ, অদক্ষ সকল শ্রেণীর মহিলাদের নাম নিবন্ধনসহ চাকুরি প্রাপ্তিতে সহায়তাকরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে ।
বায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্র গ্রহণ করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের, শিশু উইং ও শিশু শাখা শক্তিশালীকরণে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে এ প্রকল্প হতে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূলে ১৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
শিশু শ্রম
এছাড়া শিশু শ্রম নিরসনকল্পে জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে । কারণ, নিরসন বর্তমানে বিশ্বে একটি স্পর্শকাতর বিষয় । দেশে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্প কারখানা হতে শিশু শ্রম নিরসনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে বাস্ত বায়িত প্রকল্পের আওতায় ৪০,০০০ শিশু শ্রমিককে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানসহ দক্ষতা উন্নয়ন প্ৰশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে । প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত শিশু শ্রমিকদের ৫,০০০ জন পিতা-মাতাকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ৩.৫৬ কোটি টাকার ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে । জুলাই, ২০১০ থেকে শুরু হয়েছে উক্ত প্রকল্পের ৩য় পর্যায় । যার মাধ্যমে ৫০,০০০ শিশু শ্রমিককে ২৪ মাস ব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ৯টি টেডে ৬ মাস ব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে । উক্ত প্রশিক্ষণ শেষে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেডওয়ারী উপকরণ সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের Urban Informal Economy থেকে নিকৃষ্ট ধরনের শিশু শ্রম নিরসনের জন্য নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৭,১৩৯.৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় Urban Informal Economy (UIE) Programme of the project of support to the time bound programme towards the elimination of worst forms of child labor in Bangladesh শীর্ষ একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে । উক্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষে প্রায় ৫৫,০০০ শিশু শ্রমিককে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে এবং ২৬,০০০ জন শিশু শ্রমিককে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ১৩,০০০ জনকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হবে। একই প্রকল্পের আওতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে শ্রম উইং-এর তত্তাবধানে চাইন্ড লেবার ইউনিট (CLU) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । দেশে শিশু শ্রম নিরসন সংক্রান্ত সকল নীতি ও কার্যক্রম পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে শিশু শ্রম ইউনিট অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করছে । এছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা এবং সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে শিশু শ্রম নিরসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়ে CLU উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে ।
১২.৩৪ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
Health Condition of Bangladesh
স্বাস্থ্য রক্ষায় জড়িত ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, মেডিকেল কলেজ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল যোগ-সুবিধাকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলা হয়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিগত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হলেও এখনও এদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত নয়। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের জন্য যে পরিমাণ ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতাল প্রয়োজন তা এখনও গড়ে উঠেনি। এদেশে ডাক্তার প্রতি লোকসংখ্যা প্রায় ২৮৬০ জন। দেশের জনগণের বিরাট অংশ এখনো কবিরাজ, হেকিম, ফকির, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে উঠলেও সেগুলোতে
১২। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দুঃস্থ, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে পারিবারিক সমস্যা/বিবাদ মীমাংসা, পারিবারিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, স্ত্রী ও সন্তানের ভরণ-পোষণ ও দেন- মোহরানা আদায় করা হয় ।
১৩। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নারী ও শিশু উন্নয়নে বিবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের নারী সমাজকে উৎপাদনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ৬টি বিভাগীয় সদরে ৬টি মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ সকল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬টি ট্রেডে দুই শিফটে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। উল্লিখিত কেন্দ্রসমূহ থেকে প্রতি বছর ৪৩২০ জন শহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে দেশ-বিদেশে দক্ষ ও আধা দক্ষ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বৈষম্যমূলক আইনসমূহ সংশোধন, কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধান, নারী- কর্মবান্ধব পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শিশু উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম Programmes Taken for Child Development
শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এবং শিশু কল্যাণে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ, পুষ্টি, শিক্ষা ও বিনোদনের কোন বিকল্প নেই। তাই শিশু-কিশোর কল্যাণে জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের বৈষম্য বিলোপ সাধনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্প, কর্মসূচি ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে তা নিম্নরূপ ।
১। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুর বিকাশে প্রারম্ভিক শিক্ষা (ELCD) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় শিশুর মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিভিন্নমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ ও আধুনিক মানব সম্পদের শক্ত ভিত্তি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৫০টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দেশব্যাপী ৮,৭৩১টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪-৫ বছর বয়সী প্রায় ৮ লক্ষ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপিতে এ প্রকল্পের অনুকূলে ২,১৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
২। সিসিমপুর আউটরীচ শীর্ষক প্রকল্পটি জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত সময়ে ২,২৪৪.৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩-৬ বছর বয়সী শিশুদের সাক্ষরতা, সংখ্যা ধারণা, বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা এবং মনোসামাজিক বিষয়ের ধারণার মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপি'তে এ প্রকল্পের অনুকূলে ৮৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
৩। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর মনিটরিং চাইন্ড রাইটস প্রকল্পের আওতায় শিশু অধিকার সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের বিষয়ে ডাটা ব্যাংক স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া National plan of action for children (2005-10)-কে রিভিউ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহায়তার বাংলাদেশে শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কাঠামো, নির্দেশকসমূহ ও নির্দেশাবলী ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত জেলা শিশু অধিকার ফোরাম সদস্যদের শিশু অধিকার পরিবীক্ষণ ও বাস্ত
১০। স্বনির্ভর জাতি গঠন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের মাথাপিছু উৎপাদন বাড়ে, পরিবারে স্বনির্ভরতা ও স্বাবলম্বীতা গড়ে ওঠে। এর মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর জাতি গড়ে তোলা সম্ভব । উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে একথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের মানুষের ব্যক্তিগত, পরিবারিক ও জাতিগত এমনকি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। কেননা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান সমস্যা Existing Problems of Health Sector in Bangladesh
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখনও ততটা উন্নত নয়। স্বাস্থ্যখাত নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিম্নে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিরাজমান সমস্যাগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো ।
১। পুষ্টিহীনতা ও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ সুষম খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় ক্যালরী পায় না । তাই তারা পুষ্টিহীনতায় ভোগে । গ্রামীণ জনসংখ্যার প্রায় ৯৪ শতাংশ পুষ্টিহীনতা সমস্যায় ভোগে । ভিটামিন A এর অভাবে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু অন্ধ হয়ে যায়।
২। হাসপাতালের ও প্রয়োজনীয় বেডের স্বল্পতা ঃ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য হাসপাতালের সংখ্যা কম। আবার হাসপাতালে বেডের সংখ্যাও কম। তাই অনেক সময় জরুরী রোগীকেও বেড দেওয়া যায় না। সরকারী হাসপাতালের স্বাল্পতার কারণে বেসরকারী হাসপাতাল গড়ে উঠলেও সেগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি যা অধিকাংশ জনগণের নাগালের বাইরে। অথচ হাসপাতাল হচ্ছে সকল স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্ৰবিন্দু ।
৩। ডাক্তারদের চিকিৎসা ফি অধিক ঃ বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার একটি মারাত্মক সমস্যা হলো চিকিৎসকদের ফী অনেক বেশি। মানুষের আয়ের অনুপাতে চিকিৎসকদের ফি অত্যধিক । ডাক্তারদের ফি এর কোন সর্বোচ্চ সীমা নেই । বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ফি ৫০০ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয় । সাথে অনেক চেক-আপের বিলতো আছেই । অথচ এগুলো দেখার যেন কেই নেই ।
৪ । ঔষধের মান নিম্ন ঃ বাংলাদেশে খাদ্য ও ঔষধের মান খুবই নিম্ন । তার উপর ভেজালের উপদ্রব তো রয়েছে। বাংলাদেশে বহু কোম্পানীর ঔষধ আন্তর্জাতিক মানের নয়। অনেক ভেজাল ঔষধও বিক্রী হচ্ছে। ঔষধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এগুলো দেখার কথা থাকলেও দেখে না। এক শ্রেণীর ডাক্তারকে ঔষধ কোম্পানী বিভিন্ন উপঢৌকন ও ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ প্রকাশ্যে বিক্রী হচ্ছে ।
৫। চিকিৎসকের স্বল্পতা ঃ বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে এখনও প্রতি তিন হাজার জনগণের জন্য মাত্র একজন ডাক্তার । ডাক্তারের অভাব বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম । ৬। অনুন্নত প্রযুক্তি ঃ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর । প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, থাইল্যান্ড ও সিংগাপুর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতি করেছে। অথচ আমাদের দেশের গুটি কয়েক হাসপাতাল ছাড়া বাকী প্রায় সব হাসপাতলেই এখনো পুরনো প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দিয়েই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা চলে। এজন্য সঠিক রোগ নির্ণয় করা হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। ভুল চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীরা সর্বশান্ত হয়ে পড়ে এবং অকাল মৃত্যুবরণ করে।
১। মানব সম্পদ গঠন ঃ বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে উন্নত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সুবিধার মাধ্যম দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা যায়। কেননা আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও উন্ন মানের ঔষধপত্র মানুষকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখে এবং মানুষ দীর্ঘদিন জাতীয় অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
২। জাতি গঠন ঃ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যহীন, রোগাক্রান্ত, দুর্বল, জীর্ণ-শীর্ণ জনগণ কখনও উন্নত জাতি গঠন করতে পারে না। একটি জাতির নাগরিকগণ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী না হলে সে জাতি অদক্ষ ও কর্মদক্ষতাহীন হয়ে পড়ে । বিশ্বে এমন একটি দেশও খুজে পাওয়া যাবে না যেখানে মানুষের গড়পড়তা স্বাস্থ্য খারাপ কিংবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনুন্নত। টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই পার্থক্য নির্ণয় করতে পারি। ঢাকা শহরের মানুষের ছবি আর নিউইয়র্ক, লন্ডন, টোকিও কিংবা প্যারিসের মানুষের ছবি দেখেই স্পষ্ট বোঝা যায় কোটি উন্নত দেশ আর কোনটি অনুন্নত দেশ ।
৩। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ঃ উন্নত ও আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে জনগণের উৎপাদনশীলতা বাড়ে, মাথাপিছু আয় বাড়ে এবং এর মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়- যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথকে আরও সুগম করে ।
৪ । গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি : স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়বে। এক সময় এদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫০ বৎসরের নিচে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৯ বছর । এটা সম্ভব হয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে ।
৫ । শ্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি : স্বাস্থ্যবান শ্রমিক মানেই দক্ষ শ্রমিক । বাংলাদেশের শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যহীন, দূর্বল ও কর্মক্ষমতাহীন। তাই এদেশের শ্রমিকদের যদি উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া যায় তবে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে ।
৬। উন্নত চিন্তা ও উন্নত মানসিকতার সহায়ক ঃ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের চিন্তাশক্তি অনেক গভীর এবং তাদের মানসিক বিকাশও অনেক বেশি হয়। তাই উন্নত স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা ও মানসিক বিকাশ ঘটানো হয় । একটি উন্নত মানসিক চিন্তাসম্পন্ন জাতি কখনও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে থাকতে পারে না ।
৭ । উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি ঃ উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পলন করতে পারে । কেননা পরিবেশ ও স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশের মানুষ যদি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পায় তাহলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে ।
৮। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ঃ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, হাসপাতাল, উন্নতমানের ঔষধ, দক্ষ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী শ্রমিক তৈরি করা সম্ভব । এর ফলে আমরা ঔষধ রপ্তানী করে, দক্ষ শ্রমিক, নার্স ও ডাক্তার বিদেশে পাঠিয়ে এবং বিভিন্ন দেশে ঔষধ রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারি। এমনকি আমাদের চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের মাধ্যমে ভারত, সিঙ্গাপুর কিংবা থাইল্যান্ড এর মতো প্রচুর বিদেশী রোগীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা সম্ভব ।
৯। বেকার সমস্যার সমাধান ঃ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান করা যায়। কেননা স্বাস্থবান মানুষ কখনও বেকার থাকে না। কেননা কোন একটা কাজ জুটে যায় । কিন্তু স্বাস্থ্যহীন মানুষকে কেউ কাজে নিতে চায় না। কাজে বাংলাদেশকে বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত করতে চাইলে সবার আগে এদেশের মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে তোলতে হবে।
ডাক্তার পাওয়া যায় না, সেবা ও ঔষধ পাওয়া যায় না। তাই বিভাগীয় শহর ও রাজধানীতে চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষকে আসতে হয়। ডাক্তারদের সেবার মানসিকতা নেই। বেশীলভাগ ডাক্তার সামান্য ঔষধের নাম ও চেকআপ দিয়ে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায় ভিজিট নিয়ে থাকে। সরকারী হাসপাতালগুলোতে সেবা না পাওয়ার কারণে সরাদেশে ব্যঙের ছাতার মতো বেসরকারি মেডিকে ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। সবার পক্ষে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নেয়া সম্ভব নয়। এজন্য এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ একদিকে অপুষ্টিতে ভোগে এবং সামান্য অসুখে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে, মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি ঘটে। দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হয়। অদক্ষ ও কর্মহীন হয়ে জীবনযাপন করে এবং এক সময় অকাল মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দুরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। একটি বাস্তবোপযোগী স্বাস্থ্য নীতি নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, স্বাস্থ্যহীনতাই যেন এদেশের স্বাস্থ্য নীতির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট। স্বাস্থ্যহীনতার কারণে এদেশের মানুষ, শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল, উৎপাদনশীলতা কম। এসব কারণে এ দেশের মানব সম্পদের একটা বড় ধরনের অপচয় হচ্ছে ।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫ অনুসারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার সাম্প্রতিক প্রবণতাসমূহ নিম্নের সারণীতে তুলে ধরা হলো।
উপরিউক্ত সারণী হতে লক্ষ্যণীয় যে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সন্তোষজনক পর্যায়ে না পৌঁছালেও গত এক দশক ধরে আমাদের জন্মহার ও মৃত্যুহার উভয়ই কমেছে। ডাক্তার প্রতি জনসংখ্যা কমেছে, শিশু মৃত্যুর হার ও মাতৃ মৃত্যুর হার অনেক কমেছে এবং গর্ভ নিরোধক ব্যবহারের হার (%) বেড়েছে। এই সূচকগুলো বলে দেয় যে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]