স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ

মানব সম্পদ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম Human Resources Development Programme
দেশে বর্তমান ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারের মাধ্যমে ১০,৩০০ জন এতিম শিশুর ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত নিবন্ধিত এতিমখানায় প্রতিপালিত শিশুদের মধ্যে মাসিক মাথাপিছু ১০০০ টাকা হারে ৭৪.৪০ কোটি টাকা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ৬১,৯০০ জন এতিম শিশু উপকৃত হচ্ছে ।
,b> যুব ও ক্রীড়া Youth and Sports যুব উন্নয়ন Youth Development
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। এ বিশাল যুবসম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রেক্ষাপটে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৯৮১ সাল থেকে বিভিন্ন সমাপ্ত প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পগুলোর আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ পর্যন্ত ৪৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৮২ জন যুবক ও যুব মহিলাকে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্ৰশিক্ষণ দিয়েছে । উক্ত প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলাদের মধ্য থেকে ফেব্রুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত ২০ লক্ষ ৬ হাজার ৩৬২ জন যুবক ও যুবমহিলা আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রশিক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা ৩,০২,৭৭২ জন এবং ফেব্রুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত ১,৯৮,০২০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে । দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে “ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি” বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচির অনুমোদিত নীতিমালা অনুসারে মাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন যুবক/যুবমহিলাদের জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলাকে কর্মসূচির পাইলট এলাকা
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ Steps Taken by Government of Bangladesh to Improve Health Sector
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা পাওয়া যে কোন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত, করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । নিমে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে তুলে ধরা হল ।
১। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছানোর জন্য সারাদেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে ২১৭৫টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং ১০০টি কেন্দ্রে ডাক্তারদের বাসস্থান নির্মাণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে ।
২। ১৬টি জেলা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বিভিন্ন পর্যায়ে (১০০-২৫০) বৃদ্ধি করা হয়েছে ।
৩। দেশে মোট ৪০২টি ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে ৬৪ কে ৫০ শয্যায় উন্নিতকরণ এবং ৩৫টি অত্যাবশ্যকীয় প্রসূতি সেবা (Essential obstetric care EOC) কেন্দ্রের মধ্যে ২৫টির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে ।
৪ । মহাখালীস্থ জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫০ থেকে ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ইউনিট-২) স্থাপন এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক
প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ।
৫। বাংলাদেশের মানুষের বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের পুষ্টিহীনতা হ্রাস করার জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।
৬। বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে । বগুড়ায় দেশের ২য় নার্সিং কলেজ নির্মাণ কাজ এবং ৬টি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
৭। শেরে বাংলা নগর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ১৫০ থেকে ৪০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে । কিডনি ডিজিজেস এবং ইউরোলজি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, আজিমপুরে জাপান সরকারের সহযোগিতায় MCHTI স্থাপন এবং মাতুয়াইলে আন্তর্জাতিক মানের শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে ।
৮। বাংলাদেশ সমন্বিত পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় ৫৯টি উপজেলায় ১৩৯৫টি কমিউনিটি নিউট্রিশন সেন্টার কার্যক্রম চালাচ্ছে। সর্বোপরি দেশের পুষ্টি সমস্যা নিরসন কল্পে জাতীয় পুষ্টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নামে একটি আলাদা ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে ।
৯। বিকল্প চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের আওতায় লোকবল, ঔষধপত্র ও সরঞ্জামাদিসহ দেশের ১৫টি জেলা হাসপাতালে হোমিও চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
১০। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালুকরণ ।
১১। শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সরকার সকল উপজেলায় EPI কর্মসূচি (Extended programme immunization) গ্রহণ করেছে । এ কর্মসূচির অধীনে শিশুদের ৬টি মারাত্মক রোগ যেমন- যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, পোলিও, হাম ও হুপিং কাশি প্রভৃতি রোগের বিনামূল্যে টীকা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ বাবদ ২৩৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচি দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রসারে কাজ করছে। দেশের ৬৪টি জেলায় ৭০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার যুবকদের ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংসহ কম্পিউটার বেসিক কোর্স ও গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও সম্পাদনা কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ১,১৮,০৮১ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান আইসিটি ভ্যানের মাধ্যমে ৪৩২ জনকে ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংসহ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ক্লাবভিত্তিক যুব কর্মসূচি সারা দেশে সম্প্রসারণ ও জোরদার করার মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মধ্যে কর্মসূচিভিত্তিক নেটওয়ার্কিং জোরদারকরণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যুব কার্যক্রম বিষয়ক তথ্য সহজে প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল প্রশিক্ষিত ও আত্মকর্মী যুব, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং যুব ঋণ কর্মসূচির ডাটা বেইজ তৈরী করার লক্ষে সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সকল জেলা ও উপজেলায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে । জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মেলন, সমাবেশ, সেমিনার, কর্মশিবির, গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় পর্যায়ে 'জাতীয় যুব কেন্দ্র' স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় যুব কেন্দ্ৰ মূলত একটি মানব সম্পদ উন্নয়ন, তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র । এ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ১৪,০৫৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে । একই উদ্দেশ্যে বগুড়ায় আঞ্চলিক যুব কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৫,৯৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
২০১০-১১ অর্থবছরে অনুন্নয়ন খাত হতে ৩৬টি যুব সংগঠনকে ৩.০০ লক্ষ টাকা প্রকল্পভিত্তিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় জানুয়ারী ২০১৪ পর্যন্ত মোট ১,২২০.৭০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ (ঘূর্ণায়মান ঋণের তহবিলসহ) এবং ১,০৬৯.২১ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে ।
ক্রীড়া উন্নয়ন Sports Development
জাতীয় জীবনে শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য, নেতৃত্ব ও চরিত্র গঠনে খেলাধূলার অবদান অপরিসীম। যে কোন দেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজের শারীরিক, দৈহিক ও মানসিক উৎকর্ষ শরীর চর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও খেলাধূলা যুগযুগ ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশ হতে আগত খেলোয়াড়দের মাধ্যমে পারস্পরিক কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির সাথে পরিচিতি লাভের সুযোগ ঘটে। এ প্রেক্ষাপটে খেলাধূলার উন্নয়নে ক্রীড়া অবকাঠামো ও ক্রীড়া সুবিধা অপরিহার্য। এ কারণেই সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও সরকার দেশের খেলাধূলার সুবিধাদি সৃষ্টি, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন অর্থ বরাদ্দসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
অর্থ বরাদ্দ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৪টি সংস্থার ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩১৪.০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। চলমান প্রকল্পসমূহের অনুকূলে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত মোট ২৩৪.৬৪ কোটি টাকা অবমুক্ত হয়েছে এবং ব্যয় হয়েছে ১৯৬.৩ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬৬ শতাংশ।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম Cultural Affairs
বিশ্ব সংস্কৃতির উন্নয়নের গতিধারার সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, সংরক্ষণ, প্রসার ও সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ লক্ষ্যে বাঙ্গালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা, নাটক, চলচ্চিত্র এবং সৃজনশীল প্রকাশনাসহ সুকুমার শিল্পের সকল শাখার উৎকর্ষ সাধনে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হচ্ছে ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, চারুকলা, সংগীত ইত্যাদির মাধ্যমে জাতীয় সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, সংরক্ষণ, প্রসার ও উৎসাহ প্রদানের কাজ করছে। বাংলা একাডেমী, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র শিক্ষা, গবেষণা পুস্তক, জার্নাল প্রকাশসহ সকল শ্রেণীর পাঠকের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করছে । আরকাইভস্ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর শিক্ষা, গবেষণা কাজে পুস্তক, জার্নাল, নথিপত্র সংরক্ষণ ও প্রকাশ করছে। কপিরাইট অফিস দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সৃজনশীল ব্যক্তিবর্গের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাইরেসি রোধ করছে । প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দেশের পুরার্কীতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন লোকজ ও কারুশিল্প উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য বিকাশ ও সংরক্ষণের কাজ চলছে। এছাড়া জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর উন্নয়ন, জাতীয় চিত্রশালা নির্মাণ, হাছনরাজা একাডেমি নির্মাণ, পল্লী কবি জসিমউদ্দিন সংগ্রহশালা নির্মাণ, লালবাগ কেল্লা সাউন্ড এন্ড লাইট শো ও অন্যান্য সংস্থার কাজসহ বাংলা একাডেমীর ভবন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার আধুনিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯.৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় গ্রন্থাগারে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণাগার তৈরি, অনলাইন তথ্য আদান-প্রদান, স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । অপ্রচলিত মূল্যবান নথিসমূহের সংগ্রহ ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পঁচিশ বছরের উর্ধ্বে দলিল-দস্তাবেজ ও নথি সংগ্রহ করা, জাতীয় আর্কাইভে মূল্যবান নথিসমূহ বৈজ্ঞানিক উপায়ে দীর্ঘ জীবনদান এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ক্যাটালগ ইন্টারনেটে প্রচার করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।
অর্থবরাদ্দ
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৮টি অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ৪৯.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা রাখা হয়েছে। এছাড়া, দেশজ সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২২টি কর্মূচির অনুকূলে রাজস্ব বাজেট হতে মোট ২৮.১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
৩০০০ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে স্বল্পমেয়াদে বিভিন্ন কোর্সের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নিপসম এর মধ্যে
১২টি বিভাগ রয়েছে। যথাঃ
১। জীব পরিসংখ্যান;
২। কমিউনিটি মেডিসিন;
৩। মেডিকেল এন্টোমলজি;
৪ । ইপিডেমিওলজি;
৫। পরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্য
৬। স্বাস্থ্য শিক্ষা
৭। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য;
৮। অনুজীব বিদ্যা;
৯। পুষ্টিবিজ্ঞান ও প্রাণ রসায়ন;
১০ । জনশক্তি
১১। জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা
১২। পরজীবি বিদ্যা ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]