দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান প্রধান এনজিওদের কার্যক্রম

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) Palli Karmo Shahayok Foundation (PKSF)
পূর্বে পিকেএসএফ কেবল পল্লী ক্ষুদ্র ঋণ খাতে সহযোগী সংস্থাসমূহকে ঋণ সহায়তা প্রদান করতো। পরবর্তীতে পিকেএসএফ তার ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের আওতায় আট ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান শুরু করে, (ক) পল্লী ক্ষুদ্র ঋণ, (খ) নগর ক্ষুদ্র ঋণ; (গ) অতি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ, (ঘ) ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ; (ঙ) মৌসুমী ঋণ, (চ) কৃষিখাত ঋণ, (ছ) বৃহত্তর রংপুর জেলার মঙ্গা কবলিত এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনার জন্য "Program Initiative for Monga Eradication ( PRIME)" শীৰ্ষক ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম; (জ) দরিদ্র- বান্ধব উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রমে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য “ Learning and Innovation Fund to Test New Ideas (LIFT) " শীর্ষক কার্যকম ।
বেসরকারি সংস্থাসমূহের (NGO) ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম Micro Credit Programmes of Non-Government Organizations (NGOs)
ক্ষুদ্র ঋণ খাতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত কর্মসূচি, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাধিক্য, কার্যক্রমের গুণগত মান ও এ সেক্টরের শৃংখলা প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন-২০০৬ পাশ হয় এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের পর্যবেক্ষণ ও তদারকির ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এ আইন অনুযায়ী, এমআরএ এর সনদ ব্যতিরেকে কোন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। এমআরএ ফেব্রুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত ৬১০টি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানকে সনদ প্রদান করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ঋণ দান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। এক হিসাবে দেখা যায় ২০১১ সালে দেশের বৃহৎ ৩০টি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান (গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত) ২,৪০,৯৬৯.৫২ মিলিয়ন টাকা ক্ষুদ্র ঋ বিতরণ করেছে। এছাড়াও দেখা যায় এমআরএ'র সনদপ্রাপ্ত (৩০ জন, ২০১১ পর্যন্ত) ৫৮০টি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের ঋণস্থিতি ও সঞ্চয়স্থিতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১, ৭৩, ৭৮৪.৯০ মিলিয়ন ও ৬৩,267,0 মিলিয়ন টাকা ৷
উল্লেখ্য যে, জুন ২০১৪ পর্যন্ত সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঠ পর্যায়ে ৬৯৭টির ঋণস্থিতি দাঁড়ায় ২৮২,২० বিলিয়ন টাকা এবং সঞ্চয়স্থিতি ১০৬.৯৯ বিলিয়ন টাকা। ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ক্রমহ্রাসমান শতকরা ২৭ ভাগ সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে । এর বাইরে কোন কোন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে অতি দরিদ্র (ultra poor) দের জন্য ০-৫ শতাংশ হারে (সার্ভিজ চার্জ) কার্যক্রম। এছাড়া দুর্যোগ-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি থেকে ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা দেয়ার জন্য কোন কোন প্রতিষ্ঠানের রয়েছে কিস্তি মওকুফসহ বিশেষ ঋণ প্রদান কার্যক্রম ।
দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান প্রধান এনজিওদের কার্যক্রম
ব্র্যাক
Activities of Major NGOs to Alleviate Poverty

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা। সংস্থাটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঋণদান কর্মসূচি ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে থাকে । বিশেষ করে সামাজিকভাবে বঞ্চিত ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মানুষ যেমন অতিদরিদ্র চরবাসী, দুঃস্থ নারী, অবসরপ্রাপ্ত ও ছাটাইকৃত সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ঋণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে । ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত সংস্থাটির মোট ঋণ বিতরণ ও আদায়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৮১,৬১০.৪৯ কোটি ও ৭৪,৪৬৫.৭০ কোটি টাকা । বিতরতি ঋণের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ৫৬,৪০,৬৮৪ জন এবং এর মধ্যে মহিলা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫০,৭৪, ১৮১ জন ।
আশা
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৯৭৮ সনে আশা প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৯২ সালে স্পেশালাইজড ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। আশা'র উদ্ভাবনমূলক স্বল্প ব্যয় ও টেকসই ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি মডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। জুলাই ১৯৯২ সন হতে ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত সদস্যদের মোট সঞ্চয় জমার পরিমাণ ৬,৪৯৬ কোটি টাকা এবং এ সময়ে সদস্যগণ সঞ্চয় উত্তোলন ও ফেরত নিয়েছে ৫,১৫৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০১১ শেষে সঞ্চয় স্থিতি প্রায় ১,৩৪০ কোটি টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মাঠে ঋণস্থিতির অঙ্ক ৪,৭৩৮ কোটি টাকা। ২০১১ সাল শেষে ক্রমপুঞ্জিভূত ঋণ বিতরণ দাড়িয়েছে ৪৯,৮৫৮ কোটি টাকা এবং আদায় ৪৫,১২০ কোটি টাকা। সদস্যদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আশা সদস্যদের ঋণ বীমা এবং জীবন বীমা (নিরাপত্তা তহবিল) চালু করে। দারিদ্র্য বিমোচনে জাতীয় এনজিও ও পাশাপাশি আঞ্চলিক ও স্থানীয় এনজিওসমূহ যাতে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য ১৯৯৫ সাল হতে

আশা এনজিও পার্টনারশীপ কর্মসূচি শুরু করে। ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত আশা ৪৬টি পার্টনার এনজি আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
প্রশিকা
প্রশিকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এনজিওগুলোর একটি। ১৯৭৫ সালে ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জের করোকটি গ্রামে প্রশিকার উন্নয়ন কার্যক্রম সূচিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহত্তর পরিসরে কাজ শুরু করে। বর্তমানে প্রশিকা ৫৫টি জেলার ২১,২৭২টি গ্রাম ও ২৩৮০টি বস্তিতে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত প্রশিকা ১৪,১৯,৩০০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪,৬১৫ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। প্রশিকা পরিচালিত ক্ষুদ্র ঋণ ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে ১,২২,৬১,৯০০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শক্তি ফাউন্ডেশন
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত শক্তি ফাউন্ডেশন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া, রাজশাহীসহ অন্যান্য বড় বড় শহরের বস্তির দুঃস্থ মহিলাদের ঋণ প্রদান করে। এছাড়া, এসব মহিলাদের স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়নেও সংস্থাটি কাজ করে থাকে। জুন ২০১০ পর্যন্ত সদস্য, ঋণ বিতরণ ও আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ২৮.৩৬ শতাংশ, ৩০.১৭ শতাংশ ও ২৮.৭৬ শতাংশ। এ সংস্থা কর্তৃক বিতরিত মোট ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ ৫১৩.৮৯ কোটি টাকা ও আদায়ের পরিমাণ ৪১৩.৯৬ কোটি টাকা ।
টিএমএসএস
টিএসএসএস জাতীয় পর্যায়ের সমাজ সেবামূলক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যা দারিদ্র দূরীকরণ, আর্থ- সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে টিএমএসএস বাংরাদেশের ৬৩টি জেলার প্রায় ৩৬,২৩,১২০ জন মহিলাকে এ সংস্থার আওতায় সংগঠিত করে তাদেরকে বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে টিএমএসএস জনগণ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ।
সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস)
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস) টাঙ্গাইল জেলা থেকে এর কার্যক্রম শুরু করে । পর্যায়ক্রমে ২০১১ পর্যন্ত এসএসএস এর কার্য এলাকা ২৭টি জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। জেলাসমূহের আওতায় রয়েছে ১৩৫টি উপজেলা, ৬৬টি পৌরসভা, ৮৬০টি ইউনিয়ন এবং ৭২৩০টি গ্রাম।
এসএসএস ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়। এরপর ১৯৯০ সালে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ২০০৭ সালে মাইক্রোক্রেডিক রেগুলেটরী অথরিটি (এমআর) থেকে নিবন্ধন সনদ লাভ এবং ১৯৯২ সালে পিকেএসএফ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠা লাভের পর কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত একটি সেল (Cell) হিসাবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সাল থেকে একটি নিবন্ধিত বেসরকারি সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা হিসেবে কতিপয় সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫২টি জেলার ১৭৩টি উপজেলার ১৪,১৬০টি গ্রামে

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]