দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল কেমন হওয়া উচিত? বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশসমূহ

দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল কেমন হওয়া উচিত? How Should be the Poverty Alleviation Strategy
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের মাত্রা এখনও তীব্র। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের দারিদ্র্য বিমোচনে একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় কৌশল নির্ধারণ করতে পারিনি। অবশ্য সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার একটি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল পত্র (PRSP) তৈরি করেছে। তবে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী একটি সর্বজনগ্রাহ্য দারিদ্র্য নিরসনের জাতীয় উন্নয়ন কৌশল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে আমাদেরই। এতে একদিকে নিজস্ব উন্নয়ন কৌশল নির্মাণের ক্ষেত্র তৈরি হবে অন্যদিকে দাতাদের তাগিদও পূরণ হবে। দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলে নিমের বেশ কিছু সুপারিশ বিবেচনা করা যেতে পারে ।
(ক) সম্পদের পুনবণ্টন এবং পুঁজির ক্ষেত্রে সহজ প্রবেশাধিকার
১। বসতবাড়ির সংলগ্ন জমির কাম্য ব্যবহারে সম্প্রসারণ সেবা;
২। ভূমি সংস্কার;
৩ । ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ;
৪ । ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্যাংকিং শাখা সম্প্রসারণ;
৫ । বন্ধকী জমির বিপরীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের ঋণ প্রদান;
৬। ভূমিহীনদের ব্যবস্থাপনায় সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারণ ।
(খ) স্থানীয় গোষ্ঠী ও দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন
১ । গৃহহীন ও দুর্গতদের জন্য আশ্রয়;
২। নারীদের জন্য দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি;
জার ৩ । অর্থনৈতিক সুযোগসমূহ;

৪। বিকেন্দ্রীক নগরায়ণ;
৫। দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে নিয়মিত পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা;
৬। ক্ষুদ্র ঋণের বৈচিত্রায়ন;
৭ । মান সম্পন্ন ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ;
৮। দরিদ্রমুখী নতুন প্রযুক্তি;
৯ । জীবনযাপন কৌশল হিসেবে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সমর্থন । (গ) মানব উন্নয়ন ও মানবাধিকার
১। শিশু ও মাতৃসেবায় দরিদ্রদের সুযোগ;
২। সামাজিক সেবা খাতে শহরে দরিদ্রদের সুযোগ বাড়ানো; ৩। শিক্ষার মানোন্নয়ন;
৪ । সরকারি/সামাজিক সেবাসমূহের ক্ষেত্রে গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি ।
(ঘ) দুর্যোগ-আঘাত মোকাবেলায় নিরাপত্তা
১। দুঃস্থ নারী ও বয়স্কদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা;
২ । দুর্যোগ মোকাবেলায় নীতি গ্রহণ;
৩ । ঝুঁকি মোকাবেলায় ঋণ সুবিধা (যা বীমার মত কাজ করে);
৪ । প্রধান গণস্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ ।
(ঙ) অংশগ্রহণমূলক শাসন ব্যবস্থা
১ । সমাজবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ;
২ । সামাজিক আন্দোলন উৎসাহিতকরণ;
৩ । সামাজিক পুঁজির বিস্তার ।
৪ । স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি/ক্ষমতায়ন;
পরিশেষে বলতে হয় যে, দারিদ্র্য নিরসনের জাতীয় কৌশলের রূপরেখার দারিদ্র্য নিরসনকে সুশাসনের অপর পিঠ হিসেবে অবশ্যই প্রথমে স্বীকার করে নিতে হবে। দুঃশাসন ও দুর্নীতি থাকবে অথচ দারিদ্র থাকবে না এমনটি হতে পারে না। পাশাপাশি ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাস, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়ম না মানার সংস্কৃতির মূলোৎপাটন করতে হবে । সে কারণেই সুশাসনের উপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে ।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশসমূহ
Suggestions of World Bank to Alleviate Poverty in Bangladesh

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিষয়ক গবেষণায় দারিদ্র্য নিরসনের যে রণ কৌশলের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫টি নিম্নরূপ ।
১। দরিদ্রদের জন্য শিক্ষার বিস্তার । বিশেষত দরিদ্র মেয়েদের জন্য শিক্ষার বিস্তার;
২। যেসব অঞ্চল সাধারণভাবে দরিদ্র যেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা; ৩। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা;

৪। এনজিও এর সংগে সরকারী সংস্থাগুলো সহযোগিতার ব্যবস্থা করা ।
৫। সরকারি ব্যয় যাতে সঠিক গৃহীতাদের কাছে পৌঁছায় সে জন্য "লক্ষ্য অভিমুখী ব্যয়" কৌশলের কর্মসূচি গ্রহণ । বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য "নিরাপত্তা জাল" নির্মাণের ব্যবস্থা করা ।
দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র Vicious Circle of Poverty
অধ্যাপক নার্কস দরিদ্র দেশের দারিদ্র্যের কারণ সম্পর্কে মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি বক্তৃতা দিতে গিয়ে যে বক্তব্য প্রদান করেন উহাই ' দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র' নামে পরিচিত। Nurkse বলেন, "একটি দেশ দরিদ্র কারণ সে দরিদ্র ( A country is poor because it is poor)". অর্থাৎ দরিদ্রই হচ্ছে অনুন্নত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। Nurkse এর মতে, কতিপয় শক্তির একত্রীকরণ এবং একে অপরের সংগে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া কোন দরিদ্র দেশকে দরিদ্র করে রাখে। অনুন্নত দেশে অনুন্নত কৃষি, নিরক্ষর জনগণ, পুঁজির স্বল্পতা ইত্যাদি সব সময় দুষ্টচক্রে প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খায়। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের ধারণা অনুন্নত দেশে কম মূলধন এবং অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা থেকে সৃষ্টি হয়। অধ্যাপক নার্কসের মতে, কোন দেশ দরিদ্র কারণ সে দেশে মূলধন কম। মূলধন কম কারণ সে দরিদ্র ।
দুষ্টচক্রের ব্যাখ্যা (Explanation of Vicious Circle )
(ক) নার্কসের ব্যাখ্যা ঃ অধ্যাপক নার্কসের মতে, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র দুটি দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করা যায় ।
যথাঃ
১। মূলধনের যোগানের দিক থেকে দুষ্টচক্রের ব্যাখ্যা ঃ অনুন্নত দেশে মূলধনের যোগান কম । কারণ সঞ্চয় কম। আবার সঞ্চয় কম হওয়ার কারণে মাথাপিছু ভোগ কম। আর তাই শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কম। কম উৎপাদনশীলতার কারণ হলো মাথাপিছু কম মূলধন প্রাপ্তি। কারণ মূলধনের যোগান কম । এভাবেই মূলধনের যোগানের দিক থেকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ব্যাখ্যা করা যায়। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলো ।
কম মূলধন
কম উৎপাদিকা শক্তি
কম আয়
কম বিনিয়োগ
কম সঞ্চয়
২। মূলধনের চাহিদার দিক থেকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ঃ অনুন্নত দেশে মূলধনের চাহিদা কম। কারণ এসব দেশে বিনিয়োগ প্রবণতা কম। উৎপাদিত দ্রব্যের পরিধি সীমাবদ্ধ বলে উদ্যোক্তার বিনিয়োগ প্রবণতা কম। এজন্য মূলধনের চাহিদা কম। অন্যদিকে বিনিয়োগ প্রবণতা কম কারণ দ্রব্যের বাজার খুবই সীমিত। আবার বাজার সীমিত হওয়ার কারণ হলো জনগণের সীমিত ক্রয়ক্ষমতা । জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কম কারণ তাদের আয় কম । এর কারণ তাদের উৎপাদনশীলতা কম। আবার উৎপাদনশীলতা কম হওয়ার কারণ মাথাপিছু মূলধন কম । এভাবে মূলধনের চাহিদার দিক থেকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ব্যাখ্যা করা যায়। নিমে
চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলো ।
কম মূলধন
কম উৎপাদিকা শক্তি
কম আয়
কম বিনিয়োগ
বাজার চাহিদা কম
(খ) মায়ার ও বল্ডউইন এর ব্যাখ্যা ঃ অধ্যাপক মায়ার ও বল্ডউইন দুষ্টচক্রের ধারণা কিছুটা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন । তাঁদের মতে, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের কারণ প্রাকৃতিক সম্পদের অব্যবহার ও অনুন্নয়ন এবং দেশের জনগণের পশ্চাৎমুখী মনোভাব। জনগণের অজ্ঞতা, অশিক্ষা, দক্ষতার অভাব এবং বিভিন্ন উপকরণ অপূর্ণভাবে গতিশীল হওয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদের অব্যবহার ও অপূর্ণ ব্যবহার হয় । অর্থাৎ প্রাকৃতিক সম্পদের অনুন্নয়ন দরিদ্র দেশের জনগণের পশ্চাৎগামীতার কারণ এবং ফল । এটি নিম্নোক্তভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
বাজারের অপূর্ণতা
অনুন্নত প্রাকৃতিক সম্পদ
পশ্চাৎগামী জনগণ
(গ) অধ্যাপক নেলসনের ব্যাখ্যা ঃ অধ্যাপক Nelson নিম্নস্তরের ভারসাম্যের ফাঁদ ধারণার সাহায্যে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ব্যাখ্যা করেন। অনুন্নত দেশ অনড় নয়। এসব দেশে কিছু সঞ্চয় ও বিনিয়োগ অবশ্যই হয় । তবে যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতির যতটুকু হয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের পরিমাণও ততটুকু । নতুন নতুন যন্ত্রপাতি, পূর্বাপেক্ষা বেশি সঞ্চয়, মূলধন গঠন ও বিনিয়োগ এসব দেশে ঘটেনি। ফলে নিম্ন আয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ স্তরে অর্থনৈতিক জীবনযাত্রা ঘুরপাক খেতে থাকে ।
জাতীয় আয় বণ্টনে অসমতা/আয়ের অসম বন্টন Inequality of National Income Distribution
নিয়োগ,
জাতীয় আয়ের অসম বণ্টন বলতে এমন এক অবস্থাকে বোঝায় যে অবস্থায় সমাজের সিংহভাগ সম্পদের মালিকানা মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে চলে যায় এবং সামান্য সম্পদের মালিকানা থাকে সমাজের সিংহভাগ মানুষের হাতে। আয় বণ্টনের অসমতাকে আবার আয় বৈষম্যও বলা হয়ে থাকে । আয়ের অসম বণ্টনের ফলে সমাজের মানুষ বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। উচ্চবিত্ত বা ধনী এবং নিম্নবিত্ত বা দরিদ্র দুটি শ্রেণীর জন্ম হয় । সুতরাং আয় বন্টনে বৈষম্য বা অসমতা এমন একটি অবস্থা যখন সমাজের মানুষ ধনী ও গরিব দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে । গরীব জনসাধারণ বিভিন্নভাবে শোষিত হয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি কোন ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে গরীব মানুষদের কোন ভূমিকা থাকে না। অন্যদিকে, একদল মানুষ ধনী থেকে আরও ধনী হতে থাকে । তারা সংখ্যায় কম হলেও অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শোষক শ্রেণীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয় কটনে অসমতা বা বৈষম্যের মাত্রা অনেক বেশি ।
আয় বৈষম্য পরিমাপের পদ্ধতি Method of Measuring Income Inequality'
আয় বৈষম্যের মাত্রা পরিমাপের অনেকগুলো পদ্ধতি থাকলেও প্রধানত দুটি পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন-
(ক) লরেঞ্জ রেখা
(খ) গিনি সহগ
নিম্নে আয় বৈষম্য পরিমাপের পদ্ধতি দুটি ব্যাখ্যা করা হল ।
(ক) লরেঞ্জ রেখা (Lorenze Curve ) : কোনার্ড লরেঞ্জ নামে একজন আমেরিকান পরিসংখ্যানবিদ ১৯০৫ সালে জনসংখ্যার গ্রুপ এবং জাতীয় আয়ে তাদের শেয়ার এর মধ্যে সম্পর্ক দেখানোর জন্য এক বিশেষ ধরনের রেখা প্রবর্তন করেন, যা তার নামানুসারে লরেঞ্জ রেখা নামে পরিচিত। লরেঞ্জ রেখার মাধ্যমে একটি দেশের জাতীয় আয়ের (সম্পদের) বণ্টন প্রকাশ পায় । বস্তুতপক্ষে একটি দেশে কখনও আয় বণ্টনে পূর্ণ সমতা কিংবা পূর্ণ অসমতা থাকে না । অর্থাৎ আয় বণ্টনে কিছুটা বৈষম্য সবসময়ই থাকে। তবে বৈষম্যের মাত্রা পরিমাপ করা যায় লরেঞ্জ রেখার সাহায্যে । নিম্নে লরেঞ্জ রেখা অংকন করে দেখানো হল ।
চিত্রের OP রেখা আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে পরম সমতা নির্দেশ করে। যেমন রেখাটির N বিন্দু 40% লোক জাতীয় আয়ের 40% উপার্জন করে তা নির্দেশ করে। OAP এবং OBP রেখা হলো দুটি পরেও রেখা। OAP রেখার তুলনায় OBP রেখা OP রেখা থেকে বেশি দূরে থাকায় বলা যায় সমাজে আয় বৈষম্য বেশি রয়েছে। অর্থাৎ OP রেখা থেকে লরেঞ্জ রেখা যত বেশি দূরে অবস্থান করবে সমাজে আয় বৈষম্য তত বেশি আছে বলা যাবে ৷
(খ) গিনি সহগ (Gini Coefficient)
C. Gini নামক ইতালীয় একজন গণিতবিদ ১৯১২ সালে কোন দেশের আয় বণ্টনে আপেক্ষিক বৈষম্য ও অসমতা পরিমাপের জন্য একটি সূত্র প্রদান করেন। তাঁর নামানুসারে এই সূত্রটিকে গিনি সহজ বলা হয় । গিনি সহজ মূলত লরেঞ্জ রেখার ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়। এর সূত্র নিম্নরূপ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]