বাংলাদেশে আয় বণ্টনে বৈষম্যের কারণ বাংলাদেশে আয় বৈষম্য কমানোর উপায়

বাংলাদেশে আয় বণ্টনে বৈষম্যের কারণ Causes of Unequal Distribution of Income
বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু আয় অত্যন্ত কম। আয় স্বল্পতার প্রেক্ষিতেও সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মাঝে আয় বণ্টনে তীব্র বৈষম্য বিরাজ করছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ১,৩১৪ মার্কিন ডলারের কিছু বেশি। এমতাবস্থায়ও দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু লোকের নিকট কেন্দ্রীভূত, অন্যদিকে দেশের ৮১.৩ ভাগ জনগণ দৈনিক ২ ডলারের নিচে, ৪৯.৬ ভাগ জনগণ ১.২৫ ডলারের নিচে উপার্জন করে বাংলাদেশে আয় বণ্টনে বৈষম্যের কারণগুলো নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল ।
১। কৃষি জমির অসম মালিকানা ঃ এদেশের ৭৫ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি পেশায় জড়িত । কিন্তু কৃষি জমির মালিকানা ব্যবস্থা অসম। বেশিরভাগ ভূমির মালিক ধনী কৃষক এবং ভূমি শ্রমিক নিঃস্ব ও ভূমিহীন । ভূমির অসম মালিকানার কারণে ধনী কৃষক আরো ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্র কৃষকের দারিদ্রতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২। সম্পদের ব্যক্তি মালিকানা ঃ সম্পদের ব্যক্তি মালিকানা যেহেতু আমাদের দেশে আইন বিরুদ্ধ কাজ নয়, তাই সম্পদ মুষ্টিমেয় লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়। অন্যদিকে, সমাজের বৃহত্তর অংশ সহায় সম্বলহীন ।
৩। একচেটিয়া ব্যবসায় ও পুঁজির প্রাধান্য : বাংলাদেশে এখনো স্বল্প সংখ্যক উদ্যোক্তা ও একচেটিয়া পুঁজির প্রাধান্য বিদ্যমান। দেশের সৃষ্ট সম্পদের মালিকানাও এ শ্রেণীর হাতেই কেন্দ্রীভূত রয়েছে। এর ফলে আয় বণ্টনে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
৪ । সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে দুর্নীতির প্রাধান্য ঃ বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজে ও প্রশাসনিক কাঠামোতে একশ্রেণীর ক্ষমতাধর প্রভাবশালী দুর্নীতিপরায়ণ লোক অবস্থান করছে। ঘুষ, দুর্নীতি, যেকোন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তারা অভিজ্ঞ। এ সকল কর্মকর্তাগণ অসৎ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ কুক্ষিগত করে থাকে । এর ফলে সুবিধাভোগী শ্রেণী স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর সম্পদের মালিক হচ্ছে ।
৫। অসম উন্নয়ন কৌশল ঃ অতীতে বাংলাদেশের সর্বত্র সমভাবে উন্নয়নের জন্য কৌশল প্রণয়ন করা হয়নি। সরকার প্রধান যে এলাকার, উন্নয়নের সিংহভাগ সে এলাকায় সম্পাদিত হয়েছে। এ অসম
World Development Report 2012 1
উন্নয়ন কৌশলের কারণে আয় বণ্টনেও অসম হয়। বর্তমানেও উন্নয়নের বেশির ভাগ কর্মকান্ড শহরকেন্দ্রিক, গ্রাম এ কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত ।
৬। ব্যাপক বেকারত্ব ঃ দেশে অনেক শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত বেকার বিদ্যমান । ব্যাপক ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব বিদ্যমান থাকায় আয় বন্টনের ক্ষেত্রেও অসমতা সৃষ্টি হয়েছে।
৭। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অশিক্ষা ঃ বাংলাদেশে শিক্ষিত ধনী পরিবারগুলোর তুলনায় অশিক্ষিত গরিব পরিবারগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অধিক। ফলে অশিক্ষিত গরিব পরিবারগুলো দিন দিন আরো গরিব হচ্ছে ।
৮। ভূমিহীন কৃষক ঃ বাংলাদেশে অধিকাংশ ভূমির মালিক ধনী কৃষকগণ। ভূমিহীন কৃষকগণ দিনমজুর এবং তারা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। ফলে আয়ের অসম বন্টন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৯ । শ্রমিক শোষণ ঃ বাংলাদেশে মুষ্টিমেয় উদ্যোক্তগণ শিল্প কারখানার মালিক। তারা শ্রমিকদেরকে ন্যায্য মজুরি হতে বঞ্চিত করার জন্য নানাভাবে কৌশল প্রণয়ন করে থাকে। প্রকৃত ও ন্যায্য মজুরি হতে শ্রমিকদেরকে বঞ্চিত করায় তারা নিম্নমানের জীবনযাত্রা নির্বাহ করে থাকে ।
১০। ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ঃ যদিও নামেমাত্র বয়স্কভাতা, গৃহায়ণ তহবিল, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আশ্রয়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তামূলক প্রকল্প চালু করা হয়, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য । তাই আয় বণ্টন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
১১। সঠিক নীতিমালার অভাব ঃ কোন্ পদ্ধতির মাধ্যমে দরিদ্র জনগণ উপকৃত হবে, সঠিকভাবে আয় সবার মাঝে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টিত হবে, সেরূপ নীতিমালার অভাব ।
১২ । বেতন-ভাতা বৃদ্ধি : সরকার অনেক সময় বাধ্য হয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বৃদ্ধি
করে । অন্যরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ নীতিও আয় বণ্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের সৃষ্টি করে ।
১৩ । পক্ষপাতদুষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রশাসন : সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিগণ যদি ধনী সম্প্রদায়ের পছন্দের কাজ করতে দিনাতিপাত করেন, তবে দেশে দরিদ্র জনগণ কোন দিনও আয় বৈষম্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না ।
১৪। কর ফাঁকি : বাংলাদেশে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা জনগণের মধ্যে বিরাজমান। যারা সমাজে বিত্তশালী, তারা যদি সরকারকে নায্য কর দিতে রাজি না থাকে তবে আয় বণ্টনে অসমতা দেখা দিবে । উপরিউক্ত কারণসমূহের ফলেই বাংলাদেশের জাতীয় আয় বণ্টনে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় ।
বাংলাদেশে অসম আয় বণ্টনের প্রভাব Effects of Unequal Distribution of Income in Bangladesh
বাংলাদেশ বিশ্বের উচ্চ জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধি এবং নিম্ন আয় শ্রেণীভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম । জাতীয় আয় বণ্টনে চরম অসমতা তে বিদ্যমান যা বিভিন্ন ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। তে আয় বৈষম্যের প্রভাব নিম্নে আলোচনা করা হল ।
১। গণদারিদ্র্য বৃদ্ধি ঃ যদি দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়, তবে দেশের দরিদ্র জনগণ দরিদ্র হতে হতদরিদ্রে পরিণত হবে ।
২। অস্থিতিশীল সমাজের আবির্ভাব যতই ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান বৃদ্ধি পাবে ততই দরিদ্র জনগণের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
৩। ভূমিহীন কৃষক : অসম আর বণ্টনের ফলে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। গ্রামের বা থেকে হতদরিদ্রে পরিণত হচ্ছে। এভাবে হতদরিদ্র কৃষক ভিটে মাটি বিক্রি করে এক মহীन কৃষকে পরিণত হয়। এরূপ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪। শ্রেণীশোষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে ও সমাজে সুবিধাভোগী ব্যক্তিগণ দরিদ্রদের উপর শোষণ নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে। দরিদ্ররা প্রতিবাদ করতে আসলে, তাদেরকে আরও কঠোর নির্যাতন, লাঞ্ছনা তোগ করতে হবে।
৫। ভোগ ব্যয় হ্রাস ঃ অসম আয় বন্টনের ফলে সামজে বেশিরভাগ লোকের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে কার্যকর চাহিদা হ্রাস পাবে, ফলে ভোগ ব্যয়ও হ্রাস পাবে।
৬। সীমিত সম্পদের অপচয় ৪ অসম আয় বন্টনের ফলে সম্পদ সমাজের বিত্তবানদের দখলেই বেশি থাকে। কিন্তু বিত্তবানেরা বিলাসী কর্মকাণ্ডে অধিক সম্পদ ব্যয় করে বলে এই নীতিকে সীমিত সম্পদের জাতীয় অপচয় বলা যায় ।
৭। বিনিয়োগ হ্রাস পাবে ঃ অসম আয় বন্টনের ফলে সমাজের ব্যাপক জনগণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে। ফলে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাসের কারণে দেশে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে, পরবর্তীতে জাতীয় আয়ও হ্রাস পাবে।
৮। খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে ঃ অসম আয় বণ্টনের মাধ্যমে দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেলে কৃষি উৎপাদন তথা খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। এ কারণে খাদ্য সংকট তৈরী হবে।
৯। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পেলে, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে জনগোষ্ঠী চুরি, ডাকাতি, মুখ, রাহাজানিসহ নানা প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে ।
১০। শহর ও গ্রামের ব্যবধান বৃদ্ধি : আয়ের অসম বণ্টনের ফলে শহর ও গ্রামের মধ্যে উন্নয়নের ব্যবধান সৃষ্টি হবে। গ্রাম বঞ্চিত হবে, শহর প্রাধান্য পাবে ।
১১। বেকারত্ব বাড়বে ঃ যদি অসম আয় বণ্টনের প্রভাবে ভোগ হ্রাস পেয়ে বিনিয়োগও হ্রাস পায়, তবে দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে ।
১২। মানব সম্পদ উন্নয়নে অন্তরায় ঃ অসম আয় বণ্টনের ফলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা, স্বাস্থ্যহীনতা, কর্মবিমুখতা প্রভৃতি গুণাবলি অর্জন করছে যা মানব সম্পদ উন্নয়নের পথে অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
১৩। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব ঃ অসম আয় বণ্টনের ফলে সমাজের একটি বৃহত্তর গোষ্ঠীর মধ্যে অভাবের তাড়নায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এটিকে পুঁজি করে সুবিধাভোগী বিরোধী দল দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলে ।
অতএব বলা যায় যে, আয়ের অসম বণ্টনের ফলে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানাবিধ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং সমাজে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সম্পদের ন্যায্য ও সুষম বণ্টন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশে আয় বৈষম্য কমানোর উপায় Ways of Reducing Income Inequality in Bangladesh
বর্তমান পুঁজিবাদী সমাজে আয় বৈষম্য সম্পূর্ণ দূর করা কিংবা আয় বন্টনে শতভাগ সমতা অর্জন করা কোন দেশের পক্ষেই সম্ভব নয় । তবে আয় বৈষম্যের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব । আয় বৈষম্যের মাত্রা কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যায়।
১। সর্বজনীন শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি : শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা এমন হওয়া দরকার যাতে সমাজের অবহেলিত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী শিক্ষার সুযোগ বেশি পায়। এর ফলে এসব লোকের আয় বাড়বে। ফলে আয়-বৈষম্য অনেকটা হ্রাস পাবে বলা যায়।
২। ভূমি সংস্কার ও ভূমির পুনঃবণ্টন : বাংলাদেশে আয় বৈষম্যের মূল কারণ ভূমি মালিকানার অসমতা । এদেশে ৭০% থেকে ৮০% লোক গ্রামে বসবাস করে । তাই ভূমি মালিকানার ব্যাপক বৈষম্য আয়- বৈষম্যের মূল কারণ বলা যায়। এজন্য একটি সঠিক ভূমি সংস্কার নীতি এবং ভূমির পুনঃবণ্টন আয়-বৈষম্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ।
৩। প্রবৃদ্ধি থেকে পুণঃবণ্টন : দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়, অধ্যাপক M. P. Todaro যুক্তি দেন, উন্নয়নশীল দেশে সরকার বার্ষিক সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের একাংশ নিম্ন আয়স্তরভূক্ত লোকদের কাছে হস্তান্তর করতে পারে । এরূপ হস্তান্তর দীর্ঘমেয়াদ পর্যন্ত করতে পারলে সমাজে আয়-বৈষম্য ধীরে ধীরে কমে আসবে ।
৪ । উপকরণ মূল্যের সংশোধন : উন্নয়নশীল দেশে শ্রমের প্রাচুর্যতা আছে । ফলে শ্রমের মজুরি কম অথচ মূলধনের মূল্য বেশি। আয়-বৈষম্য হ্রাসের জন্য তাই শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি অথচ মূলধনের মূল্য হ্রাসের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাতে শ্রমিকদের আয় বাড়বে অথচ মালিকদের আয় কমবে। এভাবে আয়-বৈষম্য কিছুটা হ্রাস পাবে।
৫। অধিক আয় ও সম্পদের উপর প্রগতিশীল হারে কর আরোপ : বিভিন্ন ধরনের প্রত্যক্ষ কর প্রগতিশীল হারে আরোপ করে আয়-বৈষম্য অনেকটা কমানো সম্ভব । কর থেকে অর্জিত আয় সরকার সমাজের গরিব এবং দূর্বল শ্রেণীর লোকদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে বিভিন্ন শ্রেণীর আয়-বৈষম্যের পরিমাণ অনেকটা কমে আসবে ।
৬। সামাজিক সেবার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র এবং আয়-বৈষম্য দূরীকরণে সরকার
নিম্নোক্ত সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং সম্প্রসারণ করতে পারেন।
(ক) বেকারত্ব ভাতা, বৃদ্ধ বয়সে পেনশন, গ্রাচ্যুয়িটি ইত্যাদি সুবিধার সম্প্রসারণ;
(খ) বেকারত্বের অভিশাপ প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ এবং তার সম্প্রসারণ;
(গ) গরীব পরিবারের সন্তানদের জন্য বিনা ব্যয়ে উচ্চ শিক্ষা এবং কারিগরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; (ঘ) গরীবদের জন্য স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ;
(ঙ) গরীবদের জন্য বিনা ভাড়ায় অথবা স্বল্পমূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা ।
৭। একচেটিয়া কারবার এবং অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ঃ একচেটিয়া কারবার এবং অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের মালিকদের হাতে দেশের আয় এবং সম্পদের সিংহভাগ কেন্দ্রীভূত হয় যা আয় বৈষম্যের
জন্য দায়ী। তাই এই ধরনের কারবার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে সোপযুক্ত বি নিতে হবে।
৮। উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণ ও প্রগতিশীল হারে সম্পদ কর, মৃত্যু কর ইত্যাদি আ
পরম্পরায় সম্পদের স্থানাস্তর যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ এবং হ্রাস করা
৯। নিয়োগ বৃদ্ধি ॥ আয়-বৈষম্য কমানোর জন্য দেশে নিয়োগ প সরকার নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
(ক) শিক্ষিত দরিদ্রদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ ধরনের নিয়োগ ক
(খ) ভর্তুকি মূল্যে ক্ষুদ্র উৎপাদকদেরকে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা;
(গ) সরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা;
(ঘ) বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদান;
(ঙ) নিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ধরনের কর্মসূচি প্রবর্তন;
(চ) দেশে বিনিয়োগ ও আয়ের অনুপাত বৃদ্ধি করা;
১০। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে তারা সচেতন হ নিজেদের অবস্থার উন্নতি বিধান করতে পারবে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]