বাংলাদেশে বেসরকারীকরণের পথে বাধা/প্রতিবন্ধকতাসমূহ

Obstacles in the Way of Privatization to Bangladesh
নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ খুব বেশি ফলপ্রসূ হচ্ছে না । এর পিছনে নিম্নোক্ত কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। -
১ । অর্থনীতিবিদগণ বেসরকারীকরণের সমস্যা হিসাবে নিম্নোক্ত তিনটি কারণকে দায়ী করেছেন । যেমন- (ক) আমলাতন্ত্রের অনীহা :
(খ) রাজনৈতিক নেতৃত্বের আন্তরিকতার অভাব
(গ) ট্রেড ইউনিয়নের অভাব ।
২। রাষ্ট্রীয় খাতের দুর্নীতি, দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানি একে পিছিয়ে দিচ্ছে ।
৩। বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালার অনুপস্থিতি ।
৪ । অবকাঠামোগত সুবিধাসহ শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারে বিভিন্ন খাতসমূহ (বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ডাক- তার, যোগাযোগ) রাষ্ট্রের হাতে থাকায় তাদের সেবার নিম্নমান এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে ।
৫ । বিক্রীত প্রতিষ্ঠানটির হস্তান্তরে দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতার কারণে উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । ৬ । হস্তান্তরযোগ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মূল্য নির্ধারণে নানাবিধ জটিলতা ও কোন কোন ক্ষেত্রে মূল্য ৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক ঋণসহ মেয়াদি ঋণের দায় ।
৮। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয় ও কর্পোরেশনগুলোর প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি ।
৯। শ্রমিক অসন্তোষ এর ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের ভয় ।
১০। ভালো উদ্যোক্তা না পাওয়া ।
১১। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক ছাঁটাই ও তাদের পুনর্বাসনের জন্য অর্থের অভাব।
১২। হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠানের পুঁজি ও সম্পদ শিল্প ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় উদ্যোক্তাদের আগ্রহে ঘাটতি।
নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিল্পায়নে বেসরকারিকরণ আজ অনিবার্য বাস্তবতা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বেসরকারিকরণ আরও ত্বারান্বিত হবে।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প থেকে পুঁজি প্রত্যাহার নীতি সমর্থন কর কি?
Do you Support the Disinvestment Policy of Bangladesh from Nationalised Industries?

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই দেশের সম্পদের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা ও শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে সকল ভারী ও মৌলিক শিল্পকে রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয়। কিন্তু এই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে কিছু দিনের মধ্যেই সীমাহীন দুর্নীতি, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয় । তাই সরকার অনেকটা বাধ্য হয়েই ১৯৮২ সালের ঘোষিত শিল্পনীতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এবং বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপনকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । সরকারের পুঁজি প্রত্যাহার নীতির যুক্তিগুলো নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল ।
১। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি : রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারিকরণের ফলে অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাই করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বেসরকারিভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাবার ফলে কর্মসংস্থান বেড়ে যায়। শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্পেই অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারী পুরুষ মিলে প্রায় ৫০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাততো রয়েছেই। সুতরাং বেসরকারিকরণের ফলে নীট কর্মসংস্থান বেড়েছে ।
২। নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোন সুযোগ ছিল না । কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারিকরণের পর একদল সৃজনশীল তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে যার প্রমাণ অমরা তৈরি পোশাক শিল্প, নির্মাণ খাত, ঔষধ শিল্প ইত্যাদিতে দেখছি।
৩। প্রতিযোগিতা সৃষ্টি : রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে কোন ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তরের মাধ্যমে বেসরকারি শিল্প কারখানাগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পায় ।
৪। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন : রাষ্ট্রীয়করণের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে প্রতি বছরই লোকসান হতো । এর ফলে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু বেসরকারিকরণের ফলে একদিকে সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমে এবং অন্যদিকে শিল্পজাত পণ্য রপ্তানী বাড়তে থাকে । বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়ে যায় যা ২৪,০৮৭ (৩০ এপ্রিল ২০১৫ পর্যন্ত) মিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
৫। পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি ঃ বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয় বলে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বেসরকারিকরণের ফলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প, চামড়া, ঔষধ, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।
৬। অন্যান্য খাতের উন্নয়ন ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারি মালিকানায় শিল্প হস্তান্তরের ফলে শুধু শিল্পখাতেরই উন্নয়ন হয়নি। এর সাথে সম্পর্কযুক্ত অর্থনীতির আরও অনেক খাত যেমন- ব্যাংকিং খাত, আবাসন ও নির্মাণ খাত, পরিবহণ ও যোগাযোগ খাত, স্বাস্থ্যখাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হয় ।
৭। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ : বেসরকারিকরণ ও পুঁজি প্রত্যাহার নীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শিল্পায়নে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। সম্ভবত বাংলাদেশ আংশিক হলেও এ কাজে সফল হয়েছে । ইপিজেড'গুলোতে অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারি সরাসরি বিনিয়োগ করছে ।
৮। রাজনৈতিক ও ট্রেড ইউনিয়নের প্রভাবমুক্ত : রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের প্রভাব এবং ট্রেড ইউনিয়নের দৌরাত্মের ফলে কাজের কোন পরিবেশ ছিল না। কিন্তু বেসরকারিকরণ ও সরকারি পুঁজি প্রত্যাহার নীতি গ্রহণের ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয় এবং ট্রেড ইউনিয়ন সীমিত পরিসরে থাকলেও কাজ ছাড়া কোন শ্রমিক নেতার বেতন নেই । এই ভয়ে সকল শ্রমিক কর্মচারি কাজ করে এবং কারখানার কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।
৯। মুক্ত বাজার ও বিশ্বায়ন : রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতের সাথে শিল্পের উদারীকরণ ও মুক্ত বাজার সাংঘর্ষিক ছিল । তাই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি মালিকানায় স্থানান্তরের মাধ্যমে মুক্ত বাজার অর্থনীতি, বিশ্বায়ন ও শিল্পে উদারীকরণ করা সম্ভব হয়েছে । বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় বাজার অর্থনীতি থেকে দূরে থাকার কোন উপায় নেই । বেসরকারিকরণ নীতির ফলে বাংলাদেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু হয়েছে এবং বিশ্বায়নে শামিল হওয়া সম্ভব হয়েছে ।
১০ । অপচয় হ্রাস ঃ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে নিয়মিত নজরদারি ও তদারকির অভাবে দুর্নীতি ও সম্পদের অপচয় নিয়মিত ঘটনা ছিল। কিন্তু পুঁজি প্রত্যাহার নীতি গ্রহণের ফলে বেসরকারি মালিকানায় শিল্প পরিচালিত হওয়ায় সম্পদের অপচয় হ্রাস পায় এবং দুর্নীতি অনেক কম হয়। অর্থ আত্মসাত, নিয়োগ-বদলী, হিসাবে গরমিল করা এসব বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে হয় না। কারণ বেসরকারিখাতে রয়েছে জবাবদিহিতা। কেউ ধরা পড়লে তার চাকুরি হারাতে হবে। এই ভয়ে বেসরকারি খাতে দুর্নীতি ও অপচয় করার সাহস কেউ করে না ।
১১। লোকসান হতে অব্যাহতি : রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গুলোতে অদক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার কারণে অব্যাহত লোকসান হতে থাকে । অব্যাহত লোকসান থেকে বাঁচার জন্য সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহার নীতি গ্রহণ ও বেসরকারিকরণের ফলে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসান থেকে লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ফলে সরকারের অনেক অর্থের অপচয় হ্রাস পায় ৷ সুতরাং অব্যাহত লোকসান ও অদক্ষতার হাত থেকে বাঁচার জন্য সরকারের বেসরকারিকরণ নীতি ও পুঁজি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ছিল ।
১২। অর্থনৈতিক উন্নয়ন : রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাত থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারিকরণের ফলে প্রতিবছর ভর্তুকি বাবদ প্রচুর সরকারী অর্থ বেঁচে যায়। বেঁচে যাওয়া সরকারী ভর্তুকির অর্থ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে ব্যয় করার ফলে আর্থসামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং মাথাপিছু
আয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। বেসরকারি খাতে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বেসরকারিকরণের ফলে।
উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প থেকে সরকারের পুঁজি প্রত্যাহার নীতি গ্রহণের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের শিল্পায়নে একটি শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও বিকাশমান বেসরকারি শিল্পখাত থাকা অনস্বীকাৰ্য ! কাজেই বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প থেকে পুঁজি প্রত্যাহার ও বেসরকারিকরণ নীতি গ্রহণ ছিল একটি সময়োপযোগি ও বাস্তব পদক্ষেপ ।
বাংলাদেশে বেসরকারিকরণকৃত শিল্পের বর্তমান অবস্থা Present Condition of Privatized Industries in Bangladesh
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যেসব বৃহৎ শিল্প রাষ্ট্রের অধীনে আসে, ১৯৮০ এর দশকে সেগুলোকে বিরাষ্ট্রীয়করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই বিরাষ্ট্রীকরণ প্রক্রিয়া আজও চলছে। কিন্তু বিরাষ্ট্রীয়কৃত শিল্পগুলোর কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে এ বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। এ বিষয়ে বিভিন্ন জরিপ ও সমীক্ষা পরিচালিত হয়। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বোর্ড এক জরিপ পরিচালনা করে। তাতে দেখা যায় যে, ৩০০টি শিল্প বিরাষ্ট্রীয়কৃত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৫৫% শিল্পের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়েছে। কাজেই বিরাট্রীয়কৃত শিল্পগুলো অর্ধেকেরও বেশি টিকে থাকতে পারেনি। শিল্প রুগ্নতার অজুহাত দেখিয়ে শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণ প্রক্রিয়া বাস্তবে তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।। এছাড়াও ১৯৯২ সালে ড. মাহবুবুর রহমান পরিচারিত জরিপে জানা যায় যে, বিরাষ্ট্রীয়কৃত শিল্পগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ হল ঋণগ্রস্ত শিল্প। তাদের খেলাপী ঋণের পরিমাণ ১২০০ কোটি টাকার ওপর। ১৯৯৭ সালে ড. বিনায়ক সেন একটি গবেষণা সমীক্ষা পরিচালনা করেন। তাতে ২০৫টি শিল্পের বিরাষ্ট্রীকৃত তথ্য সংগ্রহ করেন । তার মধ্যে ৫৪% শিল্প চালু আছে এবং প্রায় ৪১% বন্ধ হয়ে গেছে, আর ৫% এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
বেসরকারি মালিকানাধীন পরিচালিত শিল্পগুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণও যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যায় । ১৯৯৭ সালে BIDS পরিচালিত গবেষণা সমীক্ষায় জানা যায় যে, বিরাষ্ট্রীয়কৃত ২০৫টি শিল্পের মধ্যে চালু ১১২টি শিল্পের নিয়োগ হ্রাসের পরিমাণ ২৪% এর কিছু বেশি। বিরাষ্ট্রীয়করণের ফলে ৫৩% শ্রমিক তাদের চাকুরী হারিয়েছে। কাজেই বিরাষ্ট্রীয়কৃত শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম ও নিয়োগ পরিস্থিতি লক্ষ্য করে বলা যায়, যে অজুহাতে রাষ্ট্রীয় শিল্পগুলো বিক্রয় করা হয়, সেই অজুহাত বোধ করি নিছকই অজুহাত ছিল । স্বার্থপরতার ভিত্তিতে মূলত শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণ হয় । এর দ্বারা সমাজে বেকারত্ব বাড়ে, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায় এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়। কাজেই বিরাষ্ট্রীয়করণের সামাজিক ব্যয়ভার অনেক বেড়ে যায় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]