বাংলাদেশের প্রধান প্রধান পরিবেশগত সমস্যাসমূহ

পরিবেশ ও উন্নয়ন Environment and Development
ভূমিকা Introduction
জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতই পরিবেশগত উন্নয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ । অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সমন্বিত করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে । পরিবেশগত সমস্যাসমূহ মোকাবেলা করে দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশ ও পরিবেশ বান্ধব প্রতিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন নীতি এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার Vision 2021 বাস্তবায়নে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত রাখা, দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং দেশের পানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার লক্ষ্যে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সমন্বিত করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে । ইতোমধ্যে, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDGs) এর লক্ষ্য-৭ এর আওতায় নিরাপদ সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও অভিযোজন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে Bangladesh climate change strategy and action plan, 2009 ( BCCSAP 2009) বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে । এ উদ্দেশ্যে সরকার নিজস্ব হতবিল হতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠন করে এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত উক্ত ফান্ডে ২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড নীতিমালা প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড আইন-২০১০ প্রবর্তন করাসহ দাতা দেশ/সংস্থাসমূহের সহায়তায় Bangladesh climate change resilience fund (BCCRF) ২০১১ সালে গঠন করা হয়েছে । এছাড়া, ওজোন স্তর রক্ষা, পরিবেশকে সার্বিকভাবে দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় গণসচেতনতামূলক এবং পরিবেশ সংগঠনে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন, ২০১১ প্রণয়ন ও বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ও পরিবেশ উন্নয়নের উদ্দেশ্যে পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার নীতি, পকিল্পনা, কর্মকৌশল, আইন ইত্যাদি প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প কমসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। পাশাপশি জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার এক অমূল্য সম্পদ- এ বিষয়টি বিচেনায় রেখেই দেশের মূল্যবান জীবসম্পদ সংরক্ষণে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। National Bio-safety Framework বাস্তবায়ন এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্মকৌশল (National biodiversity strategy & Action plan ) কে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও হালনাগাদ করা হয়েছে। বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ একটি দেশ। তবে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশেও পরিবশেগত উন্নয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু অর্থনৈতিক কার্যাবলি এখনও দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল, সেহেতু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরসমূহের জিডিপি-তে অবদান টেকসই ও উন্নত পরিবেশ ( Quality of environment) দ্বারা অনেকাংশে প্রভাবিত হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ পরস্পর অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত হওয়ায়, পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সমন্বিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
পরিবেশ Environment .
সাধারণত আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। কিন্তু পরিবেশ এর ধারণাটি আরও বিস্তৃত। মানুষের বেঁছে থাকার জন্য প্রাকৃতিক ও সামাজিক যে সকল উপাদান চারপাশে থাকে যেমন- ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, অফিস আদালত, পাহাড়-পর্বত, নদীনালা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা- প্যাগোডা, সাগর, গাছপালা, পশুপাখি, বনজঙ্গল, চন্দ্র-সূর্য-নক্ষত্র, পানি, মাটি ইত্যাদি সেগুলোর সমষ্টিগত অবস্থানকে পরিবেশ বলে। আর একটু সহজ করে বলা যায়, সামাজিক ও প্রাকৃতিক দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানুষ তার জীবন-জীবিকা, বেঁচে থাকার উৎস এবং উপযোজন প্রক্রিয়ায় যেসব জীবগত ও বস্তুগত বিষয় বা উপাদানের উপর নির্ভর করে জীবন-জীবিকা নির্ভর করে তাকে বলা হয় পরিবেশ ।
বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী Maciver ও Page এর এতে, We think of organize as ourselves
and environment as that which lies outside us.
Dictionary of Social Science, An environment may be defined as consisting or all external sources and factors to which person or aggregate of person is actually or potentially responsive.
পরিবেশ প্রধানত দুই প্রকার । যথাঃ
(ক) প্রাকৃতিক পরিবেশ : ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে ।
(খ) সামাজিক পরিবেশ : জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সরকার, জনসংখ্যা ইত্যাদিকে বলা হয় সামাজিক পরিবেশ। প্রফেসর চেম্বার্স এর মতে, “কোনো কিছুর উন্নতি বা সমৃদ্ধির ওপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানসমূহের সমষ্টিই হলো পরিবেশ।”
মানুষের উপজীবিকা, কর্মদক্ষতা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, আচার-আচরণ, জীবনযাপন প্রণালী, রীতিনীতি ইত্যাদি পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। সেজন্যই বলা হয়, “কোনো অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রা প্রণালি একটি আকস্মিক ঘটনা নয় বরং পরিবেশেরই ফল। মোটকথা, যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে মানুষ বাস করে তাই তার পরিবেশ।
পরিবেশ পরিবর্তন Environmental Change
পরিবেশের পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবীর যে পরিবেশ ছিল বর্তমানে সে পরিবেশ নেই । অনেক পরিবর্তন ও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর পরিবেশ আজকের অবস্থায় এসেছে। তবে এই পরিবর্তন একদিনে আসেনি। বরং হাজার হাজার বছর ধরে পরিবেশের এই পরিবর্তন হয়েছে ।
পরিবেশের পরিবর্তন দুই ধরনের হয়ে থাকে । যথাঃ
(ক) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ঃ এই প্রক্রিয়ায় পরিবেশের উপাদানগুলোর মধ্যে আন্তঃক্রিয়ার ফলে পরিবেশের কাঠামোগত পরিবর্তন আসে । পরিবেশের পরিবর্তন যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে তবে তা মানুষসহ প্রাণী জগতের জন্য মঙ্গলজনক ও কল্যাণকর হয়ে থাকে ।
(খ) অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া ঃ পরিবেশের উপাদানগুলোর ধ্বংস, ক্ষয় ও দূষণের মাধ্যমে যে পরিবর্তন হয়, তাকে বলা হয় অস্বাভাবিক পরিবর্তন। যদি পরিবেশের পরিবর্তন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে তবে তা মানুষসহ প্রাণী জগতের জন্য মহাক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
প্রশ্ন হলো বর্তমানে পরিবেশের যে পরিবর্তন হচ্ছে তা কি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হচ্ছে? উত্তর সহজ । তা হলো অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং তা মানুষের কর্মের ফল । পরিবেশের উপর মানুষের মাত্রাতিরিক্ত হস্তক্ষেপ পরিবেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ফলে পরিবেশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে । মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উপর ক্ষতির প্রভাব পড়ছে; বেঁছে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, আবাসস্থল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর সংকট দেখা দিচ্ছে ।
পরিবেশ দূষণ Environmental Pollution
পরিবেশের সাথে মিলেমিশে মানুষ বা অপরাপর প্রাণীর জীবনের বিকাশ ঘটে । তারা নিজ নিজ পরিবেশ থেকেই বাঁচার উপকরণ সংগ্রহ করে। সেসব উপকরণ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত অংশ ফিরে যায় সেই পরিবেশে । সেখান থেকে তা আবার মানুষ সংগ্রহ করে । এভাবে জীবজগৎ ও তার পরিবেশের মধ্যে বেঁচে থাকার উপকরণের আদান-প্রদান চলে। আদান-প্রদানের ভারসাম্যের উপর জীবনের অস্তিত্ব নির্ভরশীল । এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে তাকে বলা হয় পরিবেশ দূষণ
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান পরিবেশগত সমস্যাসমূহ The Major Environmental Problems of Bangladesh ১। বায়ু দূষণ : পার্থিব জগতের সবকিছুর মধ্যে বাতাসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে নিবিড় । কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে কলকারখানা, যানবাহন প্রভৃতি থেকে বায়ু দূষণের পরিমাণ প্রচুর বেড়ে গেছে। কয়লা ও জ্বালানি তেল ইত্যাদি পোড়ানো থেকে নির্গত ধোঁয়া, ধূলিকণা, কয়লার সুক্ষ গুঁড়ো, কারখানার চিমনি থেকে উৎপন্ন সালফার ডাই-অক্সাইড গ্যাস, হাইড্রোকার্বন, সীসা, নাইট্রোজেন অক্সাইড এসব পদার্থ মুক্ত বাতাসকে বিষিয়ে তুলছে প্রতিনিয়ত।
৮। বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ঃ ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বাধীনতা না থাকলে শিল্পক্ষেত্রে পুঁজি বিনিয়োগে আগ্রহ থাকে না । দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বিনিয়োগকারিদের বিনিয়োজিত অর্থের নিরাপত্তা দিতে হবে । তারই প্রেক্ষিতে শিল্পনীতিতে, বিরাষ্ট্রীয়করণ উৎসাহিত হলে পুঁজিপতিরা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে ।
৯। বৈদেশিক পুঁজির যোগান ঃ বেসরকারি খাতের শিল্পোন্নয়নে বিদেশী পুঁজি আকৃষ্ট হয় । বিদেশী পুঁজির সাথে উন্নত প্রযুক্তি ও নতুনতর উদ্যোগ আসে । বাংলাদেশে শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণের ফলে যৌথ উদ্যোগে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
১০। সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা ঃ বেসরকারি শিল্পে সম্পদ উপযুক্তভাবে ব্যবহৃত হয়। উৎপাদন • ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সামর্থ্য (Excess capacity) কম থাকে । ফলে সম্পদ দক্ষভাবে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেসরকারি শিল্পে অধিক পরিলক্ষিত হয় ।
১১। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন : আজকাল বিশ্বায়নের প্রভাবে বেসরকারিকরণ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করা হয় । আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের চেয়ে বেসরকারি উদ্যোগকে অধিক পছন্দ করে। বিশ্বব্যাংক ও এর সুপারিশ মূলত শিল্প বেসরকারিকরণ। দাতা দেশ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলো শিল্প বেসরাকারিকরণ নীতি গ্রহণ করে ।
১২। অর্থনৈতিক কল্যাণ ঃ ভোক্তারা বেসরকারিভাবে উৎপাদিত পণ্য প্রতিযোগিতামূলক কম দামে ক্রয় করতে পারে । কিন্তু 'রাষ্ট্রীয় শিল্প তুলনামূলকভাবে একচেটিয়া হওয়ায় সেখানে যথেষ্ট দাম আদায় করার আশংকা থাকে । কাজেই, তুলনামূলকভাবে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অধিক অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জিত হয় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]