জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের আক্রম্যতা পরিস্থিতি

জলবায়ু পরিবর্তন Climate Change
বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, খরার আঘাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আভাস দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের। জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণার আন্তর্জাতিক সংস্থা Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC) এর মতে, বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আমাদের জলবায়ুর কিছু মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। উষ্ণতা আমাদের ঋতু পরিক্রমাতে প্রভাব ফেলছে এবং ঋতু বৈচিত্র্যের রূপকে করছে ক্ষুণ্ণ। যার কারণে বিভিন্ন দুর্যোগ তথা অতি বৃষ্টি, বন্যা, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে ।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রকটতা এবং তার প্রভাব Climate Change and Global Warming and it's Effect
আন্তরাষ্ট্রীয় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল (Intergovernmental Panel on Climate Change- IPCC) আইপিসিসি'র চতুর্থ মূল্যায়নের ওয়ার্কিং গ্রুপ-২ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উচ্চতা বৃদ্ধির প্রকটতা ও প্রভাব সম্পর্কে নিম্নোক্ত বক্তব্য প্রদান করা যায় ।
১। সর্বত্রই জমাট বাঁধা বরফ ক্রমবর্ধমান হারে গলে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে । পাহাড়গুলোতে ধস নামছে এবং মেরু অঞ্চলগুলোতে ও সমুদ্রে জমাট বাঁধা বরফে পরিবর্তন ঘটেছে ।
২। কৃষি (খাদ্য, শস্য, আঁশ ইত্যাদি) বন সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, শিল্প উৎপাদন, মানুষের স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকি ক্রমবর্ধমান । দক্ষিণ এশিয়ায় তা ইতিমধ্যেই উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেছে ।
৩। দ্রুত বরফ গলে যাওয়া এবং বৃষ্টির প্রকোপ বাড়ার কারণে জলপ্রবাহের উচ্চতার পর্যায় এবং সময় বদলে যাচ্ছে; হ্রদ এবং নদীর জলের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বদলে যাচ্ছে জলের গুণগতমানের কাঠামোও । ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বৃদ্ধি ও সমুদ্র স্ফীতির ফলে উপকূলীয় এলাকাসমূহ উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন এবং জীববৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে ।
৪। মোট কথা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবনধারন বিভিন্ন ধরনের বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি এবং তা আগামী দিনগুলোতে বাড়তেই থাকবে, বিশেষ করে যদি অর্থনৈতিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড এবং মানুষের জীবনযাপন যেভাবে চলে আসছে সেভাবেই চলতে থাকে ।
৫ । জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে নিম্ন সমতল ও উচ্চ সমতল এলাকায় জনবসতি বর্তমান সময়ের অর্ধেকে নেমে আসবে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ৷ ফলে নির্দিষ্ট এলাকায় জনবসতি অতি ঘন হবে। এক পর্যায়ে অতি জনবসতির কারণে মানুষের সাধারণ জীবনযাপন একত্রে করা সম্ভব হয়ে পড়বে । খাদ্য, বাসস্থান, সু-পানীয় জলের অভাব ও প্রকটতা দেখা দিবে ।
৬। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কী পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে তা নিম্নোক্ত তথ্য থেকে প্রতীয়মান হবে ।
(ক) বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলে আরও ১২০ কোটি মানুষ এশিয়ায় এবং আরও ২৫ কোটি মানুষ আফ্রিকায় পানি স্বল্পতার মুখোমুখি হবে । এছাড়াও ভারতে ভুট্টা ও গমের উৎপাদনশীলতা ৫ শতাংশের মতো কমে যাবে।
(খ) যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে তবে চীনের চালের উৎপাদনশীলতা ১২ শতাংশ কমে যাবে, এশিয়ায় ২০ লাখের মতো মানুষ উপকূলীয় বন্যার মুখোমুখি হবে এবং এশিয়া ও আফ্রিকায় আরও ১৬০ কোটি মানুষ পানি স্বল্পতার মুখোমুখি হতে পারে। উষ্ণতা আরও বেশি হলে সমস্যাগুলো আরও প্রকট হবে।
(গ) জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সহস্রাব্দে উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি পৃথিবীর সেই সমস্ত এলাকায় বিশদভাবে দেখা দিবে যেখানে বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান যেমন- ভূমির মান অবনয়ন, বিশ্বায়ন-উদ্ভূত আর্থসামাজিক সমস্যা, এমনিতেই নানান ধরনের অসুখ-বিসুখের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, অর্থনৈতিক অতি দুর্বলতা, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা এবং অব্যবস্থা ইত্যাদি ।
৭। এশিয়া ও আফ্রিকার যেসব মরু অঞ্চলে এখন যারা বাস করছে, আগামী ১০ বছর পর সেখানে অতি তাপমাত্রার কারণে কোন লোক বাস করতে পারবে না ।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের আক্রম্যতা পরিস্থিতি Climate Change and State of Vulnerability of Bangladesh
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বিরূপ প্রভাব হচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। গত ১০০ বছরে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ১০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার। সমুদ্র উপকূল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূল প্রভাবগুলোর কারণে বাংলাদেশ নাজুক পরিস্থিতির শিকার। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ঝুঁকিসমূহ ও বিপন্নতা অভিযোজন এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সমীক্ষা ও মূল্যায়নের ফলে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাজুক অর্থনীতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অধিক নির্ভরশীলতা এ বিপন্নতা বাড়িয়ে দিয়েছে। বন্যা, খরা, সাইক্লোন, লবণাক্ততা এবং সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করছে ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে জলবায়ুর নিম্নবর্ণিত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে ।
১। বাংলাদেশের গড় বার্ষিক তাপমাত্রা গত ১৪ বছরে (১৯৮৫-৯৮) মে মাসে ১ ডিগ্রী এবং নভেম্বর মাসে ০.৫ ডিগ্রী সেঃ বৃদ্ধি পেয়েছে;
২। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের লোনা পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ১০০ কি.মি. পর্যন্ত নদীতে প্রবেশ করছে; ৩। বাংলাদেশের গড় বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত স্বল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে;
৪। ভয়াবহ বন্যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বিগত ২০০২, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৭ সালে;
৫। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়েছে এবং প্রকোপতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অশান্ত সমুদ্র জেলেদের জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে ।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রকটতা থেকে পরিত্রাণের উপায়
Means of Remedy from Climate Change and Global Warming

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপসমূহের মধ্যে নিম্নোক্ত দিক নির্দেশনা এই আন্তরাষ্ট্রীয় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেলের চতুর্থ মূল্যায়নে রয়েছে ।
১। জলবায়ু পরিবর্তন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আক্রান্ত প্রথম সারির দেশগুলোর জন্য তো রয়েছেই, কেননা গ্রীন হাউজ গ্যাসের উৎসারণ যদি আজই বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে তবুও বৈশ্বিক উষ্ণতা আরও দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে চলবে ।
২। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর লক্ষ্যে উপযোগী বিভিন্ন পদ্ধতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন, অন্যদিকে অবশ্যই গ্রীন হাউজ গ্যাসের উৎসারণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি যাতে উষ্ণায়ন প্রক্রিয়া আরও গুরুতর রূপ ধারণ না করে এবং যথাসময়ে তা নিয়ন্ত্রণে আসে । দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি এখনই জোরালোভাবে শুরু না করা হলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ গ্রীন হাউজ গ্যাস উৎসারণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে ।
৩। চতুর্থ মূল্যায়নের ওয়ার্কিং গ্রুপ-২ এর রিপোর্টটি থেকে প্রাপ্ত উপযুক্ত তথ্য ও দিকনির্দেশসমূহের ভিত্তিতে একথা জোর দিয়ে বলা যায় যে, বিশ্ববাসীকে একযোগে একদিকে গ্রীন হাউজ গ্যাস উৎসারণ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অপরদিকে জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার মাধ্যমে ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যথাযথ নীতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসহ অন্যান্য আর্থসামাজিক লক্ষ্য যাতে অর্জিত হতে পারে তার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরিমাণ ও কাঠামো জোরদার করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে ।
৪ । টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন একসূত্রে গ্রথিত হতে হবে । এর মূল সুর সকল প্রকার উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নানা ঝুঁকির যথাযথ মূল্যায়ন এবং সেগুলো নিরসনে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
৫। অপরদিকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে। সেজন্য স্থানীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং একই সঙ্গে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যাতে দ্রুত ঘটে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে ।
ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (সিডিএম) কার্যক্রম Clean Development Mechanism (CDM) Activities
বাংলাদেশ United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC), Kyoto Protocol স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনে ১৯৯২ সালে স্বাক্ষর এবং ১৯৯৪ সালে তা অনুসমর্থন করে । বাংলাদেশ অক্টোবর ২০০১ সালে কিয়োটো প্রটোকলে প্রবেশ লাভ করেছে। কিয়োটো প্রটোকলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক Clean Development Mechanism (CDM), এর আওতায় উন্নত বিশ্বের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের পরিবর্তে উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে Certified Emission Reduction (CER) ক্রেডিট নিজের খাতে জমা করতে পারবে। বাংলাদেশ CDM প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দু'স্তর বিশিষ্ট Designated National Authority (DNA) গঠন করেছে। প্রথম স্তরে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় CDM বোর্ড এবং দ্বিতীয় স্তরে ২২ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় CDM কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় CDM কমিটি এ পর্যন্ত মোট ৮টি CDM প্রকল্প অনুমোদন করেছে । Infrastructure development Co. Ltd. (IDCOL) বিশ্বব্যাংক, Global Environment Facility (GEF) এর সহায়তায় জুন ২০০৮ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ৫০,০০০ সোলার হোম সিস্টেম (SHS) স্থাপন করেছে । অক্টোবর ২০০৯ পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪,০৩,০০০টি । বিশ্বব্যাংক, কেএফডব্লিও (Kreditanstalt fur wiederaufbau), জিটিজেড (বর্তমানে জিআইজেড), এডিবি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক), আইডিবি (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় IDCOL কর্তৃক ২০১২ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]