২০০৮ সালের শুরু থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব লক্ষ্য করা গেলেও ২০০৮ সালের শেষ দিকে মন্দা চরম আকার ধারণ করে। বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে শীর্ষে থাকা দেশগুলো থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও মন্দার ধাক্কা লাগে। বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা, শেয়ার বাজারগুলোর সূচকের ব্যাপক দর পতন, পুঁজির প্রবাহ হ্রাস, বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়াসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ইস্যু বিশ্ববাসীকে চিত্তিত করে তোলে । নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এ প্রসঙ্গে বলেন, "বিশ্বব্যাপী ফাইনান্সিয়াল সুনামী বয়ে যাচ্ছে ।" বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ
১। ব্যয়বহুল যুদ্ধ পরিচালনা;
২। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি;
৩। অনুৎপাদনশীল খাতে পুঁজি বিনিয়োগ
৪ । বহুজাতিক কোম্পানীর দৌরাত্মে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস;
৫। ভারসাম্যহীন অর্থনীতির প্রসার;
৬। বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদন হ্রাস;
৭ । বিশ্বায়নের নামে বাজার উন্মুক্তকরণ;
৮ । বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ ।
বৈশ্বিক মন্দার অভিঘাত মোকাবেলায় যথেষ্ট দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে তার প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছে ৬.১৬ শতাংশ যা ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ৬.১৪ শতাংশ । কৃষিখাতের ধারাবাহিক সাফল্য প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা পালন করেছে । মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ও রাজস্ব খাতে গৃহীত ব্যবস্থার পাশাপাশি মুদ্রা খাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং বিদ্যুৎ খাতসহ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০-১১ অর্থবছরের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত হ্রাস পেয়েছে । এ সময় বিনিয়োগ হারেরও কিছুটা অবনতি ঘটেছে । ডলারের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে । তা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মোটামুটি স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা ফিরে এসেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাই তে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়ার আশংকা কম। তারপরেও বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত নয় । বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার কারণে বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাবগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো ।
১। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য সংকুচিত হবে এবং রপ্তানি আয় হ্রাস পাবে;
২। বৈদেশিক সাহায্য ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে;
৩। শিল্পের প্রসার ও উৎপাদন ব্যাহত হবে;
৪। বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পাবে;
৫। জনশক্তি রপ্তানী হ্রাস পাবে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাবে;
৬। কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে;
৭। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর উপর চাপ পড়বে ।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত