বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ Steps Taken to Boost up Overseas Employment and Remittances মধ্যপাচ্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সুপরিচিত শ্রমবাজার। সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে সংঘটিত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য সরকার বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে নতুন শ্রম বাজারে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ উৎসাহিত করা ও দ্রুততম সময়ে তা প্রাপকের নিকট পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিদেশে শ্রমবাজার অনুসন্ধানে সরকার কর্তৃক কতিপয় পদক্ষেপ নিম্নে তুলে ধরা হলো ।
(ক) নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান (Exploration of new labour market) : নুতন. শ্রমবাজার অনসন্ধানের জন্য ৫টি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে। নতুন শ্রমবাজার হিসাবে ইরাক, রোমানিয়া, অষ্টেলিয়া, নিউজিল্যাণ্ড, পাপুয়া নিউগিনি, রাশিয়া, কানাডা, সুইডেন, সুদান, গ্রীস, কঙ্গো, এসতোনিয়া, তানজানিয়া, লাইবেরিয়া, আলজেরিয়া, আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকা, এঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, বোতসোয়ানা, সিয়েরা লিওন প্রভৃতি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ইউরোপ ও আফ্রিকার শ্রমবাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে সুইডেন, এঙ্গোলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, আলজেরিয়া, কঙ্গো প্রভৃতি দেশে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে ।
(খ) প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপন (Establishment of Probashi Kalyan Bank ) : বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের সহায়তা দিতে ও বিদেশ হতে প্রত্যাগত কর্মীদের পুনঃকর্মসংস্থানে আর্থিক সহায়তা দিতে ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ তহবিলের অর্থায়নে স্থাপিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। ইতোমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে প্রায় ৪০০ জন বিদেশগামী কর্মীকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
(গ) জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কল্যাণ শাখা স্থাপন (Creation of welfare branch of manpower, employment and training bureau) : জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর আওতাধীন স্থাপিত একটি সেবাধর্মী শাখা হলো কল্যাণ শাখা। উক্ত শাখা প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় মৃত বাংলাদেশী কর্মীদের মৃতদেহ দেশে আনয়ন, মৃতের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ আর্থিক সাহায্য প্রদান, প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মী বিদেশ হতে মৃত্যুজনিত কারণে কোন ক্ষতিপূরণ না পেলে উক্ত মৃতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান, বিনিয়োগকর্তার নিকট হতে প্রাপ্ত মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, ইন্স্যুরেন্স, বকেয়া বেতনের অর্থ বিতরণের ব্যবস্থা করা, বিদেশগামী কর্মীদের ব্রিফিং প্রদান, বিদেশে আটকা পড়া কর্মীদের দেশে ফেরত আনয়ন, বিমান বন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে বিদেশগামী কর্মীদের
নিরাপদে বিদেশ গমন এবং প্রত্যাবর্তনে সহায়তা প্রদানের মত বিভিন্ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে । ১৯৯৬-২০১৩ সালে ৫,৯৯৪ জন মৃতের উত্তরাধিকারীগণকে আর্থিক সহায়তা বাবদ ৮৯.৮৪ কোটি টাকা ও ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১১২ মৃতের উত্তরাধিকারীগণকে ১.১৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
(ঘ) বহির্গমন প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন (Modernization of emigration process) : রিক্রুটিং এজেন্সী এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরত্ম হ্রাস ও প্রতারণা রোধে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিংগার প্রিন্টসহ বিদেশগামী কর্মীর যাবতীয় তথ্য ডাটাবেজে নিবন্ধন করা হচ্ছে। ডাটাবেজ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্মার্ট কার্ডের সাহায্যে বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদান করা হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডে রেকর্ড থাকার কারণে বিমানবন্দরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মীর এমবারকেশন কার্ড প্রিন্ট হওয়ার ফলে বিমান বন্দরে কর্মীদের হয়রানি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে ।
(ঙ) বৈধ চ্যানেলে দ্রুত রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিতকরণ (Encouragement to quick transmission of remittances through legal channel)
১ । রেমিট্যান্স আহরণ এবং বিতরণের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর সাথে বাংলাদেশস্থ ব্যাংকগুলোর ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০টি বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউসের সাথে বাংলাদেশের ৪২টি ব্যাংকের প্রায় ৮৫০টি ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে ।
২। বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন এবং এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশস্থ ১৬টি ব্যাংকের বিদেশে ৪৪টি নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে ।
৩। রেমিটেন্স বিতরণ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার প্রয়োজনে এ পর্যন্ত ১৬টি Microfinance Institution কে রেমিটেন্স বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
৪ । রেমিটেন্স বিতরণ নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসেবে সম্প্রতি দেশের ৪টি ব্যাংক (ঢাকা ব্যাংক লিঃ, ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ এবং সিটি ব্যাংক এনএ) কে রেমিটেন্স এর অর্থ Mobile Operator গুলোর Outlets এর মাধ্যমে বিতরণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে ।
৫। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণকারীগণকে এককভাবে বা এদেশীয় উদ্যোক্তাদের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনের অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি Foreign Direct Investment (FDI) আকারে এদেশে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে ।
৬। প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য দেশে বিবিধ বিনিয়োগ সুবিধা যেমন- (ক) Wage Earners' Development Bond (*) US Dollar Investment Bond (4) US Dollar Premium Bond 4 বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান ইত্যাদি ।
৭। রেমিটেন্স বিতরণ দ্রুততর ও ব্যয় সাশ্রয়ীকরণের লক্ষ্যে Remittance and Payment Partnership Project (PPP) এর আওতায় Challenge Fund এর মাধ্যমে Remittance Delivery Infrastructure উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
৮। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার অন্তর্মুখী প্রবাহ বৃদ্ধি তথা অধিক রেমিটেন্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে অধিক রেমিটেন্স প্রেরণকারীকে সরকার কর্তৃক CIP মর্যাদা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]