বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতসমূহ
Heads of Expenditure of Bangladesh Government

রাজস্ব আদায় কার্যক্রম Revenue Collection Activities
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১,৪৯,৭২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে শক্তিশালী গতিধারা পরিলক্ষিত হয় । দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উচ্চতর প্রবৃদ্ধিমুখী কর্মচাঞ্চল্যের প্রভাবে বেসরকারি খাতের বর্ধিত অংশ গ্রহণের ফলে রাজস্ব সংগ্রহের প্রায় সবকটি খাতে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। খাতভিত্তিক রাজস্ব আদায় কার্যক্রম বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে আয়কর। মোট রাজস্ব সংগ্রহে আয়করের বর্ধিত অবদান রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক প্রবণতা। কারণ রাজস্ব সংগ্রহের চিরাচরিত ধারায় আমদানি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর বরাবরই প্রাধান্য বিস্ত ার করে আসলেও বিগত দুই অর্থবছর থেকে এ ধারা পরিবর্তনের সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে মূল্য সংযোজন কর, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, অন্যান্য কর এবং আবগারি শুল্কের অবস্থান । জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১,১২,২৫৯ কোটি টাকা কর-রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রকোপ পরবর্তী পুনর্গঠন পর্যায়ে বিগত ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহের যে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল তা অর্জনের চেষ্টা অর্থবছরের শুরু থেকেই কিছুটা
বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতসমূহ Heads of Expenditure of Bangladesh Government
সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার (fiscal management) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । বাংলাদেশ সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে । এছাড়া সরকারকে প্রশাসনিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডেও ব্যয় নির্বাহ করতে হয় । সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা । সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়নমূলক এ দু'রকম ব্যয়ের অর্থ বরাদ্দ করে থাকেন । বিগত অর্থবছরসমূহের মধ্যে কয়েক বছরের সরকারের রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয় নিয়ে দেখানো হল ।
বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়র প্রধান খাতগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল।
১। শিক্ষা ও বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ J. Maurice Clark বলেছেন "Knowledge is the only 'instrument of product that is not subject to diminishing returns.” অর্থাৎ "জ্ঞানই উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ যার প্রতিদান ক্রমহ্রাসমান নয়।” এ কারণে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়ন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাবিকাশে বৃত্তির সংখ্যা এবং হার বৃদ্ধি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার, গুণগত মান উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতিধারাকে টেকসই করার জন্য উচ্চশিক্ষার প্রসারেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। এছাড়া দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে তথ্য ও ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতেও প্রতি বছর সরকার অর্থ ব্যয় করে।
২। স্বাস্থ্য ঃ স্বাস্থ্য সেবার সম্প্রসারণ ও সার্বিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি 'স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কৌশলগত বিনিয়োগ পরিকল্পনা'র আওতায় 'স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি প্রস্তাব' প্রণয়ন করা হয়েছে। সাত বছর মেয়াদি (২০০৩-১০) এ কর্মসূচির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৩২,৪৫০ কোটি টাকা ধরা হয় ।
৩। কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প : সরকার কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষি ঋণ বিতরণ ও ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে, বাড়িয়েছে কৃষি- গবেষণা খাতে বরাদ্দ; প্রদান করছে বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনা (incentive ) ।
-৪ । মহিলা ও শিশু ঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী ও শিশুদেরকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অধিকতর সম্পৃক্ত করেছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার । এ খাতেও সরকার প্রতি বছর অর্থ ব্যয় করে ।
৫। পানি সম্পদ : সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি সম্পদের কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও অনুকূল পরিবেশ উন্নয়নের প্রয়াস অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অনুকূল উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে প্রতি বছর সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
৬। মৎস্য ও পশু সম্পদ : বাংলাদেশে মৎস্য চাষ ও পশু পালন অ-খামার উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে খামার নির্ভর বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ খাতে সরকার অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ করে থাকে ।
1
৭। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প : দেশে ব্যক্তিখাতের বিকাশ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য নিরসন এবং পল্লী ও শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সেক্টরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ঋণ বাজারে সীমিত প্রবেশাধিকার এবং অর্থায়নের উচ্চ ব্যয় এ খাত বিকাশের প্রধান অন্তরায়। এ পরিস্থিতিতে- (ক) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি 'পুনঃঅর্থায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনায় বিশ্বব্যাংক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগান দিবে। এছাড়া, (খ) কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ভিত্তিক শিল্প ও সফটওয়্যার শিল্প বিকাশের জন্য, (গ) কৃষিভিত্তিক খামার ও শিল্প গড়ে তোলার জন্য কৃষিভিত্তিক শিল্প সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ, (ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলসহানি এবং ক্ষুদ্র কৃষক ও খামারিদের দুর্দশা লাঘবের লক্ষ্যে 'দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারিদের সহায়তা তহবিল' বাবদ সরকার প্রতি বছর অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
৮। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও গ্রামীণ অবকাঠামো ঃ স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয়সহ সরকার প্রতি বছর অনেক অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
৯। দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ ঃ
(ক) সরকার 'ন্যাশনাল সার্ভিস' প্রকল্পের মাধ্যমে দু'বছরের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বল্প শিক্ষিত, কর্মঠ ও বেকার যুবকদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নানারূপ কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখাতেও সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে।
(খ) গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা), খয়রাতি সাহায্য (জিআর) ভিজিএফ ও ভিজিডি বাবদ প্রতি বছর সরকার প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক খাদ্যশস্য বিতরণ বাবদ ব্যয় করে ।
(গ) দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নয়ন বাজেটের বাইরে অনুন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে সৃষ্ট ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল বাবদ ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয় ।
(ঘ) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (PKSP)-সহ ছোট বড় ২২৫টি সহযোগী এনজিও, এনজিও ফাউন্ডেশন-এর অনুকূলে পল্লী অঞ্চলে সামাজিক খাতসমূহের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এবং আয়বর্ধক তহবিলকে (Endowment Fund) শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার ব্যয় বরাদ্দ করে ।
১০ । সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (Social Safety Nets) : বাংলাদেশের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির জীবনধারনের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে সরকার সামর্থ অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী যেমন- বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় মহিলাদের ভাতা প্রদান, এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিদের পুনর্বাসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা, অক্ষম প্রতিবন্ধিদের জীবনধারনে সহায়তা, প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক কারণে (বিশেষ করে-মঙ্গা এলাকার) সৃষ্ট সাময়িক বেকারত্ব মোচন, স্বেচ্ছা অবসর/কর্মচ্যূত শ্রমিক/কর্মচারীদের পুনঃপ্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়ন তহবিল এবং বাস্তুহারা গৃহায়ণ তহবিল, ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি, একটি বাড়ি একটি খামার এবং গরীব দুঃস্থদের মাঝে রেশনিং কাজে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
১১ । যোগাযোগ ঃ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলে সরকার এ খাতের উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করে থাকে ।
১২। ডাক ও টেলিযোগাযোগ ঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে সরকার প্রতি বছর অর্থ ব্যয় করে ।
১৩। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি : উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বৃদ্ধি দ্রুততর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ পুনর্বাসন কর্মসূচি, বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ পরিস্থিতির উন্নতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন তহবিল গঠন প্রভৃতি খাতে প্রতি বছর সরকার উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ।
১৪। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে দক্ষ জনবল বৃদ্ধি, পরিবহণ, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সুবিধা বাবদ অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন খাতে সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে।
১৫। প্রতিরক্ষা ঃ বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত প্রতিরক্ষা। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এ খাতে অনেক ব্যয় বরাদ্দ অপ্রকাশিত থাকে ।
১৬। পরিবেশ ও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ সংরক্ষণ, মান উন্নয়ন, শিল্প দূষণ থেকে রক্ষা, তরল বর্জ্য উৎপাদকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ইত্যাদি নানামুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকার অর্থ ব্যয় করে ।
বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব বা অনুন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ প্রায় ৫৫টি খাতে করে থাকে। এরমধ্যে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধও ধরা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর প্রায় ১৮/১৯টি খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য ব্যয় বরাদ্দ করে থাকে ।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি'র (এডিপি) অধীনে ব্যয় Expenditure under Annual Development Programme (ADP) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জাতীয় অর্থনীতির সার্বিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য হলেও গত দশকে এডিপি'র প্রকৃত ব্যয়ের গড় হার নিম্নমুখী । সারণি-তে প্রদত্ত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৮-০৯ পর্যন্ত সময়ে ব্যয়ের গড় হার সংশোধিত বরাদ্দের ৮৬.৯৮ শতাংশ হয়েছে । ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ এ দুই অর্থবছরে এডিপি ব্যয়ের জাতীয় গড় দাঁড়ায় সংশোধিত বরাদ্দের যথাক্রমে ৯১ ও ৯২ শতাংশ । দেখা যাচ্ছে যে, বিগত দুই অর্থবছরে পূর্ববর্তী দশকে এডিপি ব্যয়ের জাতীয় গড়ের চেয়ে কিছুটা উচ্চতর হারে এডিপি বাস্তবায়ন হচ্ছে । এক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ২০১২-১৩ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার পূর্বের বছরসমূহের তুলনায় উল্লেখযোগ্য আকারে বড় হওয়া সত্ত্বেও এডিপি ব্যবহারের গড় হার ও মোট ব্যয়ের পরিমাণ পূর্বের বছরসমূহের তুলনায় বেশী হওয়ায় এটি সরকারি খাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত এডিপি বরাদ্দ ব্যবহারের হার ৫৫ শতাংশ এবং ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৫২ শতাংশ । দেখা যাচ্ছে যে, চলতি অর্থবছরে এডিপি পূর্ববর্তী বছরসমূহের তুলনায় আকারে উল্লেখযোগ্য পরিসরে বড় হওয়া সত্ত্বেও এডিপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত পূর্বের বছরসমূহের একই সময়ে অনুরূপ বা সামান্য উচ্চ হার পরিলক্ষিত হওয়ায় বছর শেষে এডিপি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]