একনেক কি? What is ECNEC ?

একনেক ECNEC
একনেকের পূর্ণ নাম হচ্ছে Executive Committee of National Economic Council বা জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি। দেশের সরকার প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন একনেকের প্রধান নির্বাহী । পরিকল্পনা বিভাগ তথা পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেকের সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৮২ সালে প্রথম একনেকের গঠন ও কার্যাবলি নিরুপন করা হয় । পরবর্তীতে ২০০০ সালে এর গঠন কাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন আনা যায় । প্রধানমন্ত্রী একনেকের সভাপতি এবং অর্থমন্ত্রী বিকল্প সভাপতি । এছাড়া সদস্য হিসাবে থাকে ৯টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ।
একনেকের কার্যাবলিঃ
১। বার্ষিক পরিকল্পনা ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ।
২ । অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে দিক নির্দেশনা প্রদান ।
৩। পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও জাতীয় নীতিমালাগুলোর চুড়ান্ত অনুমোদন ।
৪ । জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কমিটি গঠন ।
৫ । উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা ।
৬ । দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়াবলি পর্যালোচনা ।
বিবেচ্য বিষয় : একনেকের বিবেচ্য বিষয়গুলো নিম্নরূপ।
১। সকল প্রকল্প পরিকল্পনাপত্র যাচাই ও অনুমোদন ।
২। ৫ কোটি টাকার উর্ধ্বে সকল প্রকল্প যাচাই ও অনুমোদন।
৩ । উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা ।
৪ । বেসরকারি ও যৌথ উদ্যোগের প্রকল্পসমূহ যাচাই ।
৫ । দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালা পর্যালোচনা ।
৬। সরকারি বিধিবদ্ধ কর্পোরেশনসমূহের আর্থিক কর্মসূচি পর্যালোচনা ।
৭ । সরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ ।
৮। জনশক্তি রপ্তানী, বিনিয়োগ, বৈদেশিক সাহায্য প্রভৃতি বিষয়ে বিদেশে বাংলাদেশী মিশনের করণীয় নির্ধারণ ।

মূল্যস্ফীতি Inflation

মূল্যস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা অর্থের ক্রমক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়াকে মূল্যস্ফীতি বলে। বিশ্ব অর্থনীতি মন্দাবস্থা কাঠিয়ে ওঠার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, ২০১০ সালে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। এ বছর খাদ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশে বিরূপ আবহাওয়াজনিত কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতির উপরে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কতিপয় রাষ্ট্র কর্তৃক খাদ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা মূল্যস্ফীতির চাপকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। আইএমএফ এর সার্বিক পণ্যমূল্য সূচক (IMF overall commodity. price index-OCPI) জানুযায়ী ২০১০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত সময়ে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি প্রধানত ২০১০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রকট হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা জ্বালানি তেলের মূল্যের ওপর নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের মূল্য জানুযারি ২০১১ এ ব্যারেল প্রতি ৯৫ মার্কিন ডলার থেকে মার্চ ২০১১ এ ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
এ পরিস্থতিতে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে । পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ২০১২ এর মার্চ মাসে ৮.৬৯ শতাংশ । এ সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭.৭২ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৫.২২ শতাংশে দাঁড়ায় । পক্ষান্তরে, খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ১০.২১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৯.১৭ শতাংশে দাঁড়ায়। সার্বিকভাবে ২০১৩ সালে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬.৭৮ শতাংশ যা পূর্ববর্তী অর্থবছরে ছিল ৮.৬৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) ৭.৭৫ শতাংশ । মূল্যস্ফীতি ক সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার প্রশাসনিক রাজস্ব ও মুদ্রা খাতে কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে,
১। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং ।
২ । খোলাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রী (ওএমএস) ।
৩ ।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত গড়ে তোলা ।
রাজস্ব ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
১ । নিত্য প্রয়োজনীয় কতিপয় পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস/পুনর্বিন্যাস ।
২ । কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে, কৃষি উপকরণের (যথা-সার, বীজ, সেচের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুৎ) ওপর ভর্তুকি প্রদান ।
মুদ্রা খাতে গৃহীত ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে,
১। ব্যাংক ব্যবস্থায় অতিরিক্ত তারল্য যাতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে তফসিলি ব্যাংকসমূহের নগদ জমা আবশ্যকতা (Cash Reserve Requirement- CRR) এবং সংবিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ হার (Statutory Liquidity Ratio-SLR) বৃদ্ধি করা ।
২। নীতি নির্ধারণী সুদের হার যথা রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদের হার পুননির্ধারণ । বোরোর উৎপাদন ভাল হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিজাত খাদ্য পণ্যের মূল্য একনাগাড়ে আট মাস বৃদ্ধির পর মার্চ ২০১১ থেকে মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মূল্যস্ফীতির হার কমে ২০১৪ সালে এসে ৭:৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও কমতে থাকবে বলে আশা করা যায়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]